পারিজাত মোল্লা: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে উঠে নওশাদ সিদ্দিকীর জামিন বিষয়ক মামলা।এদিন আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকীকে জামিন দিল না ডিভিশন বেঞ্চও। এর ফলে এখনই জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না ভাঙড়ের বিধায়ক। এর আগে দু’টি মামলাতে নওশাদকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চে ভাঙড়ের বিধায়কের জামিনের মামলার শুনানি চলে।
এদিনের শুনানিতে রাজ্য সরকার রিপোর্ট জমা দেয়। এছাড়াও ২১ জানুয়ারি ধর্মতলা চত্বরের ভিডিও আদালতে জমা দেওয়া হয়। আদালত সূত্রে প্রকাশ, গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল ডোরিনা ক্রসিংয়ে। সেখান থেকে নওশাদ-সহ বাকিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে একাধিক মামলায় এখনও জেলেই রয়েছেন নওশাদ। গত সোমবার লেদার কমপ্লেক্স থানার মামলায় নওসাদকে ১০ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত।
গত মঙ্গলবার নিউ মার্কেট থানার অন্য এক মামলায় ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এবার কলকাতা হাইকোর্টেও ধাক্কা খেলেন নওসাদ সিদ্দিকী। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গত ২২ ফেব্রুয়ারি নওসাদের মামলার প্রথম শুনানি ছিল। সেদিন নওসাদের জেলবন্দি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল হাইকোর্ট। সেদিন পুলিশের কাছে ২১ তারিখের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ও মেডিক্যাল রিপোর্ট চেয়েছিল আদালত এদিন তা জমা দেয় পুলিশ। জামিন এখনও অধরা থেকে গেল আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর।
এদিন তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের করা মামলায় সরকার রিপোর্ট এবং সিসিটিভির ফুটেজ জমা দিয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের আরও প্রমাণ নিয়ে আসার জন্য সময় চেয়েছে রাজ্য, সেই সময় মঞ্জুর করেছে আদালত। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি। তাই আপাতত জেলেই আইএসএফ বিধায়ক।