মারাঠিদের জন্য ওবিসি’তে ৪২ শতাংশ কোটা চেয়ে র্যালি কংগ্রেসের

- আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২৫, শুক্রবার
- / 108
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কুনবি গোত্রের হলেই মিলবে শিক্ষা ও চাকরিতে সংরক্ষণ। মারাঠাদের ওবিসি’তে সংরক্ষণ দিতে এমনই ব্যবস্থা করেছিল মহারাষ্ট্র সরকার। অর্থাৎ, কুনবি-যোগ থাকলেই ওবিসি সংরক্ষণ পাবে মারাঠারা। এই মর্মে মহারাষ্ট্র সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
আর তার কয়েকদিন পরই এবার ওবিসি সম্প্রদায়ের লোকরা ‘তেলেঙ্গানা মডেল’-এর মতো আরও উচ্চতর সংরক্ষণের দাবিতে নাগপুরে একটি বিশাল মিছিল বের করেছে। কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ারের নেতৃত্বে এই সমাবেশে বিভিন্ন ওবিসি গোষ্ঠীর নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মিছিল থেকে ওয়াদেত্তিওয়ার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ,উপ-মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং অজিত পাওয়ারের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘এই মিছিল একটি ট্রেলার মাত্র। আসল পিকচার এখনও বাকি রয়েছে।’’
বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘যদি তোমাদের ইচ্ছা থাকে, তাহলে তেলেঙ্গানার মতো ওবিসি কোটা ৪২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করো। আর যদি তোমরা সেটা কর সেক্ষেত্রে আমরাও তোমাদের সাথে আছি।’’ উল্লেখ্য, মারাঠা সংরক্ষণ আন্দোলনের অন্যতম নেতা মনোজ জারাঙ্গে অভিযোগ করেছিলেন, মারাঠা সংরক্ষণ নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। তা নিয়ে ওয়াদেত্তিওয়ার বলেন, এটা একটি বড় ইস্যু। আমরা এই বিষয়ের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
যাই হোক না কেন, আমরা ওবিসি কোটা রক্ষা করব এবং এটিকে দুর্বল হতে দেব না। যদিও মহারাষ্ট্র সরকার যেভাবে ওবিসি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে তাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, সরকার মারাঠাদের ওবিসি কোটায় সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে ‘পিছনের দরজা দিয়ে’। এটা অন্যায্য এবং বৈষম্যমূলক। আমরা আইনিভাবে এবং û বিক্ষোভের মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখব। উল্লেখ্য, ‘ওবিসি সমাজ’ ব্যানারে আয়োজিত এই সমাবেশটি যশবন্ত স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে সংবিধান চকে শেষ হয়।
প্রসঙ্গত, ওবিসি তালিকাভুক্ত কুনবি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করা হলেই মারাঠা সম্প্রদায়ের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ কার্যকর হবে। একই সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, সংরক্ষণ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আন্দোলন চলাকালীন যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারের এক সদস্যকে চাকরি দিতে হবে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে মহারাষ্ট্রের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে মরাঠা জনগোষ্ঠীকে কুনবি শ্রেণিভুক্ত হিসাবে ওসিবি তালিকায় সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
২০২৪ সালে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিল পাশ হয়েছিল মহারাষ্ট্র বিধানসভায়। দাবিপূরণের জন্য আবার অনির্দিষ্ট কালের জন্য মুম্বইয়ে অনশন শুরু করেছিলেন মরাঠা সংরক্ষণ আন্দোলনের নেতা মনোজ জারাঙ্গে পাটিল। যদিও পরে তিনি অনশন প্রত্যাহার করেন এই দাবিতে যে, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের নেতৃত্বাধীন বিজেপি-শিন্ডেসেনা-এনসিপি (অজিত) জোটের সরকার তাঁদের মূল দাবিগুলি মেনে নিয়েছে। তাঁদের আন্দোলনের জয় হয়েছে।