ইসরাইলের বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে আইসিসি’তে পাঁচ দেশ

- আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২৩, শনিবার
- / 20
হেগ, ১৮ নভেম্বর: ‘আইসিসি’তে বা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধের তদন্ত দাবি করেছে ৫ দেশ। এক্সে (পূর্বে টুইটার) এক বিবৃতিতে আইসিসি’র প্রসিকিউটর করিম আহমেদ খান জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, বলিভিয়া, কমোরোস ও জিবুতি যৌথভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ওই আবেদন করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, গাজার বর্তমান পরিস্থিতির দিকে আইসিসি যেন জরুরিভিত্তিতে মনোযোগ দেয় ও ইসরাইলের বিচার নিশ্চিত করে। ২০১৪ সালের ১৩ জুন ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে আগে থেকেই একটি তদন্ত চালিয়ে আসছে আইসিসি। ফলে শুক্রবার বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশ যে আবেদন জমা দিয়েছে, বাস্তবে সেটির প্রভাব হবে সীমিত। আইসিসির প্রসিকিউটর বলেন, গত ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে সংঘাত ও সহিংসতা বৃদ্ধির ঘটনাও তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে।
করিম আহমেদ খান আরও জানান, ২০০২ সালে যে রোমান সংবিধির ওপর ভিত্তি করে আইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা অনুযায়ী কোনও সদস্য রাষ্ট্র যদি বাইরের কোনও রাষ্ট্রের হামলার শিকার হয় ও ওই হামলাকারী রাষ্ট্র যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সনদে স্বাক্ষরকারী কিংবা স্বীকৃতি দানকারী দেশ না-ও হয়, ওই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে আইসিসি। আইসিসি প্রসিকিউটরের দফতর বলেছে, এরই মধ্যে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের ‘উল্লেখযোগ্য তথ্য ও প্রমাণ’ সংগ্রহ করা হয়েছে। ইসরাইল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয়। এ আদালতের বিচারিক এখতিয়ারকেও স্বীকৃতি দেয় না দেশটি। তবে ফিলিস্তিন ২০১৫ সাল থেকেই আইসিসি’র আইন মেনে চলে। সে কারণেই ফিলিস্তিনে ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধ তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আইসিসি।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার অধিদফতর ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করে আসছে, গাজার হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স ও শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে অসামরিক নাগরিকদের হত্যার মাধ্যমে ‘যুদ্ধাপরাধ’ সংঘটিত করছে ইসরাইল। আরও অভিযোগ, গাজায় অবরোধ চাপিয়ে দিয়ে অসামরিক নাগরিকদের খাবার, পানি ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করাও মানবতা-বিরোধী অপরাধ।