০২ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসলামি বিপ্লবের বার্ষিকী ইরানে হাজার হাজার বন্দিকে ক্ষমা ঘোষণা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, সোমবার
  • / 153

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি দেশটির হাজার হাজার বন্দিকে ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশটিতে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া অনেক ব্যক্তিও ক্ষমা পেয়েছেন। ইরানের  ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের বার্ষিকী উপলক্ষে এই বিপুল সংখ্যক বন্দিকে ক্ষমা করা হয়। প্রতি বছরই এমন ক্ষমা ঘোষণা করে থাকেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। তবে এবছর তুলনামূলকভাবে বেশি সংখ্যক বন্দিকে ক্ষমার আওতায় আনা হয়েছে। ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম হোসেন বন্দিদের একটি তালিকা পাঠিয়ে তাদের ক্ষমা করতে সর্বোচ্চ নেতার কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। রবিবার সর্বোচ্চ নেতা তিনি ঐ প্রস্তাব অনুমোদন করেন। তবে গুপ্তচরবৃত্তি, গুপ্তচরদের সহযোগিতা, ইচ্ছাকৃত হত্যা, রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ধ্বংস ও অগ্নিসংযোগে অভিযুক্ত কোনও ব্যক্তিকে ক্ষমা বা সাজা মওকুফের তালিকায় স্থান দেওয়া হয়নি। ক্ষমা পাবেন না ইরানে বসবাসকারী দ্বৈত নাগরিকরাও। ইরানের সংবিধানের ১১০ নম্বর ধারায় সর্বোচ্চ নেতাকে ক্ষমা ঘোষণার এই ক্ষমতা দেওয়া আছে। তবে শর্ত হল, যাদের ক্ষমা ঘোষণা করা হচ্ছে বা হবে তাদের একটি চিঠি লিখে সরকারকে জমা দিতে হবে। সেই চিঠিতে বন্দিকে তার নিজের কৃতকর্মের জন্য দু:খ প্রকাশ করতে হবে। এমনটা না হলে সেই বন্দি ক্ষমার অযোগ্য হয়ে যাবেন। ইরানের বিচার বিভাগীয় উপপ্রধান সাদেক রাহিমি জানান, প্রথমবারের মতো যাদের বিরুদ্ধে আদালত চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেনি তারাও ক্ষমার আওতায় আসবেন।

আরও পড়ুন: বোমা মারলেও ইরান শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরবে না, আমেরিকাকে বার্তা ইরানের বিদেশমন্ত্রীর

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইসলামি বিপ্লবের বার্ষিকী ইরানে হাজার হাজার বন্দিকে ক্ষমা ঘোষণা

আপডেট : ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি দেশটির হাজার হাজার বন্দিকে ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়ায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশটিতে সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া অনেক ব্যক্তিও ক্ষমা পেয়েছেন। ইরানের  ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের বার্ষিকী উপলক্ষে এই বিপুল সংখ্যক বন্দিকে ক্ষমা করা হয়। প্রতি বছরই এমন ক্ষমা ঘোষণা করে থাকেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। তবে এবছর তুলনামূলকভাবে বেশি সংখ্যক বন্দিকে ক্ষমার আওতায় আনা হয়েছে। ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম হোসেন বন্দিদের একটি তালিকা পাঠিয়ে তাদের ক্ষমা করতে সর্বোচ্চ নেতার কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। রবিবার সর্বোচ্চ নেতা তিনি ঐ প্রস্তাব অনুমোদন করেন। তবে গুপ্তচরবৃত্তি, গুপ্তচরদের সহযোগিতা, ইচ্ছাকৃত হত্যা, রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ধ্বংস ও অগ্নিসংযোগে অভিযুক্ত কোনও ব্যক্তিকে ক্ষমা বা সাজা মওকুফের তালিকায় স্থান দেওয়া হয়নি। ক্ষমা পাবেন না ইরানে বসবাসকারী দ্বৈত নাগরিকরাও। ইরানের সংবিধানের ১১০ নম্বর ধারায় সর্বোচ্চ নেতাকে ক্ষমা ঘোষণার এই ক্ষমতা দেওয়া আছে। তবে শর্ত হল, যাদের ক্ষমা ঘোষণা করা হচ্ছে বা হবে তাদের একটি চিঠি লিখে সরকারকে জমা দিতে হবে। সেই চিঠিতে বন্দিকে তার নিজের কৃতকর্মের জন্য দু:খ প্রকাশ করতে হবে। এমনটা না হলে সেই বন্দি ক্ষমার অযোগ্য হয়ে যাবেন। ইরানের বিচার বিভাগীয় উপপ্রধান সাদেক রাহিমি জানান, প্রথমবারের মতো যাদের বিরুদ্ধে আদালত চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেনি তারাও ক্ষমার আওতায় আসবেন।

আরও পড়ুন: বোমা মারলেও ইরান শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরবে না, আমেরিকাকে বার্তা ইরানের বিদেশমন্ত্রীর