বিদেশনীতির ব্যর্থতায় ৫০ শতাংশ শুল্ক, মোদিকে কটাক্ষ মল্লিকার্জুন খারগের

- আপডেট : ৭ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 2
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী যখন বলছেন, কৃষি, মৎস্য ও দুগ্ধ শিল্পের স্বার্থ বিকিয়ে কোনও চুক্তি করা হবে না, তখন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে অভিযোগ করেছেন, ভারতের বিদেশ নীতির ব্যর্থতার কারণেই আমেরিকা আমাদের পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে। কীভাবে আমেরিকার এই শুল্ক হামলার মোকাবিলা করবে কেন্দ্র, সে ব্যাপারে সরকার পুরোপুরি অন্ধকারে। খারগে বলেছেন, আমাদের কূটনীতি মারাত্মকভাবে দোদুল্যমান বলেই এইসব হচ্ছে।
মোদি কয়েক মাস ধরে চেষ্টা করেও আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে পারলেন না। এখন ট্রাম্প আমাদের পিষে মারতে চাইছেন। নিজের এক্স হ্যাণ্ডেলে খারগে লেখেন, যে দেশ নির্জোট আন্দোলনের আবহে গড়ে ওঠা আমাদের পরীক্ষিত এবং তাৎপর্যপূর্ণ স্বশাসনের নীতিকে স্বেচ্ছাচারী কায়দায় শাস্তি দিতে চায় সেই দেশ আমাদের ইস্পাত-দৃঢ় কাঠামো সম্পর্কে কিছুই জানেনা।
সপ্তম নৌবহর পাঠানোর হুমকি থেকে শুরু করে পরমাণু পরীক্ষার পর অবরোধ, আমেরিকার অনেককিছুই আমরা দেখেও আত্মসম্মান এবং মর্যাদা নিয়ে সম্পর্ক বজায় রেখেছি। নরেন্দ্র মোদিজি, ট্রাম্প যখন বারবার যুদ্ধবিরতি মেটানোর দাবি করলেন আপনি মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। ২০২৪ এর ৩০ নভেম্বর ট্রাম্প ব্রিকসভুক্ত দেশগুলির উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর হুমকি দেন ট্রাম্প।
সেখানে আপনি উপস্থিত ছিলেন। আপনাদের সামনে ট্রাম্প বলেন, ব্রিক্স এক মৃত সংগঠন। আপনি এত কৃষক দরদ দেখাচ্ছেন। তাহলে বাজেটে কৃষি,মাঝারি ক্ষুদ্র শিল্প এবং অন্য শিল্পের জন্য কিছুই করেননি। আপনার মন্ত্রীরা ওয়াশিংটনে আস্তানা গড়ে পড়ে থেকেও কোনও চুক্তি করতে পারলেন না। আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ৭.৫১ লক্ষ কোটি টাকার।
এর উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপার অর্থ ৩.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা বোঝা ঘাড়ে চাপবে ভারতের। আমাদের ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প, ইলেকট্রনিকস শিল্প, গহনা শিল্প, ওষুধ, পোশাক এবং পেট্রোপণ্য কত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে সে ধারণা আছে আপনার? কংগ্রেসের ৭০ বছরের রাজত্বে কখনও এমন হয়নি।