০২ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লালনের মৃত্যু সিবিআইকে ভর্ৎসনা বিচারপতির

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার
  • / 41

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআইয়ের গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের জামিন বিষয়ক মামলার শুনানি চলে। এদিন শুনানি পর্বে ডিভিশন বেঞ্চ বীরভূমের বগটুই কান্ডে মূল অভিযুক্ত লালন সেখের রহস্য মৃত্যু নিয়ে মন্তব্য করে থাকে। তাতে সিবিআই বেকায়দায় পড়ে যায়।

 

আরও পড়ুন: ইডি সিবিআই সেজে লুটপাটের ঘটনা ঠেকাতে সিসিটিভি নজরদারি বাড়াচ্ছে লালবাজার

বগটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুতে  সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর  করে তদন্ত করছে পুলিশ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর করতে পারে কিনা? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। তবে এদিন অন্য এক  মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এই বিষয়ে মন্তব্য করেন যে, ‘লালন সেখের সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে পুলিশ এফআইআর করে ভুল করেনি।’

আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের চার্জশিট, ২২০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ

 

আরও পড়ুন: বিচারককে খুনের হুমকি! অভিযুক্ত এবং তার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

এদিন অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মামলার শুনানিতে উঠে আসে লালন সেখের মৃত্যু প্রসঙ্গে। সিবিআইয়ের আইনজীবী ডিপি সিং আদালতে সওয়াল করে বলেন, ‘অন্য একটি মৃত্যুর মামলায় গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তকারী আইও-কে যুক্ত করা হয়েছে।

 

তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।’ সেই শুনে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, ‘সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু কখনই সাধারণ মৃত্যু নয়। আত্মহত্যা হলেও সেই দায় তদন্তকারী সংস্থার থেকেই যায়।  লালন সেখের মৃত্যু নিয়ে পুলিশ এফআইআর করে কোনও ভুল করেনি। সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মেনে পুলিশ যথার্থ কাজই করেছে।’

 

উল্লেখ্য, বীরভূমে সিবিআই এর অস্থায়ী  ক্যাম্পে লালন সেখের মৃত্যু ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই দলের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে।

 

তবে  পুলিশের এফআইআর-এর ফলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা বিপদের মুখে আছেন। তাই নিজেদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই। সেই মামলায় বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, সিআইডি যেমন তদন্ত করছে, তেমন চলিয়া যাবে। তবে যে সাত আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তাঁরা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত করছেন তাই তাঁদের বিরুদ্ধে এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না পুলিশ’। যদিও লালনের মৃতদেহের ময়নাতদন্তে আঘাতের কোন চিহ্ন মিলেনি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লালনের মৃত্যু সিবিআইকে ভর্ৎসনা বিচারপতির

আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআইয়ের গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের জামিন বিষয়ক মামলার শুনানি চলে। এদিন শুনানি পর্বে ডিভিশন বেঞ্চ বীরভূমের বগটুই কান্ডে মূল অভিযুক্ত লালন সেখের রহস্য মৃত্যু নিয়ে মন্তব্য করে থাকে। তাতে সিবিআই বেকায়দায় পড়ে যায়।

 

আরও পড়ুন: ইডি সিবিআই সেজে লুটপাটের ঘটনা ঠেকাতে সিসিটিভি নজরদারি বাড়াচ্ছে লালবাজার

বগটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুতে  সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর  করে তদন্ত করছে পুলিশ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর করতে পারে কিনা? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। তবে এদিন অন্য এক  মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এই বিষয়ে মন্তব্য করেন যে, ‘লালন সেখের সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে পুলিশ এফআইআর করে ভুল করেনি।’

আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের চার্জশিট, ২২০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ

 

আরও পড়ুন: বিচারককে খুনের হুমকি! অভিযুক্ত এবং তার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

এদিন অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মামলার শুনানিতে উঠে আসে লালন সেখের মৃত্যু প্রসঙ্গে। সিবিআইয়ের আইনজীবী ডিপি সিং আদালতে সওয়াল করে বলেন, ‘অন্য একটি মৃত্যুর মামলায় গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তকারী আইও-কে যুক্ত করা হয়েছে।

 

তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।’ সেই শুনে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, ‘সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু কখনই সাধারণ মৃত্যু নয়। আত্মহত্যা হলেও সেই দায় তদন্তকারী সংস্থার থেকেই যায়।  লালন সেখের মৃত্যু নিয়ে পুলিশ এফআইআর করে কোনও ভুল করেনি। সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মেনে পুলিশ যথার্থ কাজই করেছে।’

 

উল্লেখ্য, বীরভূমে সিবিআই এর অস্থায়ী  ক্যাম্পে লালন সেখের মৃত্যু ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই দলের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে।

 

তবে  পুলিশের এফআইআর-এর ফলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা বিপদের মুখে আছেন। তাই নিজেদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই। সেই মামলায় বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, সিআইডি যেমন তদন্ত করছে, তেমন চলিয়া যাবে। তবে যে সাত আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তাঁরা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত করছেন তাই তাঁদের বিরুদ্ধে এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না পুলিশ’। যদিও লালনের মৃতদেহের ময়নাতদন্তে আঘাতের কোন চিহ্ন মিলেনি।