বেসরকারি উদ্যোগে বীরভূমে মেডিকেল কলেজ ও ক্যান্সার হাসপাতালের শিলান্যাস

- আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার
- / 45

Warning: Attempt to read property "post_excerpt" on null in /home/u419551674/domains/puberkalom.in/public_html/wp-content/themes/NewsFlash-Pro/template-parts/common/single_one.php on line 122
কৌশিক সালুই বীরভূম: বীরভূম জেলায় চিকিৎসা ব্যবস্থায় মুকুটে আরেকটি পালক যোগ হলো। বেসরকারী উদ্যোগে সিউড়ি সদর মহকুমায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর শিলান্যাস হল মঙ্গলবার।
সিউড়ির অদূরে চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিপুরে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলার দুই সাংসদ শতাব্দী রায় এবং অসিত মাল, কলকাতা উচ্চ আদালতের বিচারপতি দীপক সাহা রায় সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা।
বীরভুম জেলায় সরকারী উদ্যোগে প্রথমে রামপুরহাটে এবং সদ্য বেসরকারি উদ্যোগে বোলপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়েছে। এবার সিউড়ি সদর মহকুমার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিলান্যাস হলো এদিন। ঠাকুর শ্রী শ্রী অনুকূল চন্দ্রের সৎসঙ্গ মিশন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউট আগামী তিন বছরের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। প্রায় এক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগে এই প্রকল্প হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই হাসপাতালের যেমন সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন মানুষজন।
পাশাপাশি এলাকায় প্রচুর কর্মসংস্থান হবে বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় ঝাড়খন্ড রাজ্যের বাসিন্দারাও এখানে চিকিৎসার পরিসেবা পাবেন ।
বীরভূমের অন্য দুই মহকুমায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে গেলেও সদর মহাকুমা সিউড়িতে ছিল না। এই নতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তৈরি হয়ে গেলে সেই আক্ষেপ মিটবে স্থানীয়দের। চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি হরিপুরে তপবন বিদ্যালয়, ঋষি শান্ডিল্য বিশ্ববিদ্যালয়, সৎসঙ্গ মিশন কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র, পুরুষোত্তম ফার্মা অ্যান্ড রিটেল চেন প্রভৃতি গড়ে উঠবে এখানে।
সংশ্লিষ্ট এলাকাটি পিছিয়ে পড়া হিসেবে চিহ্নিত। রুক্ষ মাটিতে চাষ বাস হতোনা। প্রায় এক হাজার একর জমি নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গুলি গড়ে উঠবে। ফলে স্থানীয় মানুষজনর তেমন প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকবে। শিক্ষাক্ষেত্রেও এই প্রকল্প একটি অগ্রণী ভূমিকা নেবে জেলাতে। এছাড়াও অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রও হিসেবে উঠে আসবে।
উদ্যোক্তাদের পক্ষে চেয়ারপারসন বিভাস চন্দ্র অধিকারী বলেন,” আমরা বিশ্বাস করি মানবতাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম। আমাদের সংস্থা মনে করে সামাজিক দায়বদ্ধতা শুধু কথাবার্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। তাই সমাজের উন্নতির জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে এবং মানব জাতির সেবা করে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আদর্শ অনুসরণ করা আমাদের বিশ্বাস”।