০৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেদিনীপুর সদর ও স্বরুপনগরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে

রফিকুল হাসান
  • আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার
  • / 67

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ফের বিজেপি ছেড়ে হাজারের বেশি লোকজন যোগ দিলেন তৃণমূলে৷ বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর সদর ব্লকের ফুলপাহাড়ি এলাকাতে কনকাবতী অঞ্চল তৃণমূলের উদ্যোগে একটি যোগদান মেলা কর্মসুচীর আয়োজন করা হয়েছিল৷ জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা বিজেপি থেকে আসা এই লোকজনদের হাতে পতাকা তুলে দিয়েছেন৷ 

মুলত জঙ্গলমহল এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে এই লোকজন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন৷ সুজয় হাজরার দাবি, গত কয়েকদিন ধরে যোগদান সিরিজ চলছে জেলাতে৷ নারায়ানগড়ে কয়েকদিন আগে যোগদান করেছিল কয়েকশ বিজেপি কর্মী, এমন যোগদান জেলাজুড়ে চলছে৷ খুব শীঘ্রই রাজ্যজুড়ে যেভাবে বিজেপি ছাড়ার হিড়িক চলছে তাতে বিরোধী দলের তকমা হারাতে পারে বিজেপি৷ 

আরও পড়ুন: Trinamool protest stage: গান্ধিমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের মঞ্চ খুলছিল সেনা, খবর পেয়েই পৌঁছলেন মমতা

অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগণার স্বরূপনগর ব্লকে বিজেপির বড়সড় ভাঙন দেখা গেল। দলের জেলা সভাপতি, সদস্যসহ পাঁচ শতাধিক কর্মী সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিল।বসিরহাট মহকুমার স্বরুপনগর বিধানসভার চারঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের যোগদান মেলায়  বুধবার রাতে  তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচিতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের হেলথ মিশন তথা স্বাস্থ্য সেলের বিজেপি সভাপতি সোমনাথ ব্যানার্জি, চারঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির মেম্বার অনিন্দ্য ঘোষ, সুরেশ মণ্ডল,  বিজেপি নেতাকর্মীসহ পাচ শতাধিক কর্মী তৃণমূলে যোগদান করলেন।তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন বনগাঁর সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান শংকর দত্ত, স্বরূপনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঙ্গীতা কর, তৃণমূল নেতা নারায়ণ কর সহ তৃণমূল নেতৃত্বরা। 

আরও পড়ুন: মোদির বিরুদ্ধে অপশব্দ ব্যবহারে বিতর্ক কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে

স্বাস্থ্য সেলের সভাপতি সোমনাথবাবু বলেন পশ্চিমবাংলায় বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করছে। হিন্দু-মুসলিম পার্থক্য তৈরি করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে। পাশাপাশি এই দলে থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছিলাম না। তৃণমূল কংগ্রেস সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে দল চালাচ্ছে। সব সম্প্রদায়ের মানুষকে সমান গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই আমি আমার পঞ্চায়েত সদস্য অনিন্দ্য সুরেশ সহ কর্মী সমর্থকরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, ওনার  রাজনৈতিক মতাদর্শ ভাবধারাকে মাথায় নিয়ে আগামীদিন যাতে মানুষের উন্নয়ন করতে পারি, তাই  সেজন্য এই দলে যোগদান করলাম।

আরও পড়ুন: বাংলা ভাগের দাবিদারদের সঙ্গে শমীকের বৈঠক

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মেদিনীপুর সদর ও স্বরুপনগরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে

আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ফের বিজেপি ছেড়ে হাজারের বেশি লোকজন যোগ দিলেন তৃণমূলে৷ বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর সদর ব্লকের ফুলপাহাড়ি এলাকাতে কনকাবতী অঞ্চল তৃণমূলের উদ্যোগে একটি যোগদান মেলা কর্মসুচীর আয়োজন করা হয়েছিল৷ জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা বিজেপি থেকে আসা এই লোকজনদের হাতে পতাকা তুলে দিয়েছেন৷ 

মুলত জঙ্গলমহল এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে এই লোকজন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন৷ সুজয় হাজরার দাবি, গত কয়েকদিন ধরে যোগদান সিরিজ চলছে জেলাতে৷ নারায়ানগড়ে কয়েকদিন আগে যোগদান করেছিল কয়েকশ বিজেপি কর্মী, এমন যোগদান জেলাজুড়ে চলছে৷ খুব শীঘ্রই রাজ্যজুড়ে যেভাবে বিজেপি ছাড়ার হিড়িক চলছে তাতে বিরোধী দলের তকমা হারাতে পারে বিজেপি৷ 

আরও পড়ুন: Trinamool protest stage: গান্ধিমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের মঞ্চ খুলছিল সেনা, খবর পেয়েই পৌঁছলেন মমতা

অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগণার স্বরূপনগর ব্লকে বিজেপির বড়সড় ভাঙন দেখা গেল। দলের জেলা সভাপতি, সদস্যসহ পাঁচ শতাধিক কর্মী সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিল।বসিরহাট মহকুমার স্বরুপনগর বিধানসভার চারঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের যোগদান মেলায়  বুধবার রাতে  তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচিতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের হেলথ মিশন তথা স্বাস্থ্য সেলের বিজেপি সভাপতি সোমনাথ ব্যানার্জি, চারঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির মেম্বার অনিন্দ্য ঘোষ, সুরেশ মণ্ডল,  বিজেপি নেতাকর্মীসহ পাচ শতাধিক কর্মী তৃণমূলে যোগদান করলেন।তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিলেন বনগাঁর সাংগঠনিক জেলা চেয়ারম্যান শংকর দত্ত, স্বরূপনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঙ্গীতা কর, তৃণমূল নেতা নারায়ণ কর সহ তৃণমূল নেতৃত্বরা। 

আরও পড়ুন: মোদির বিরুদ্ধে অপশব্দ ব্যবহারে বিতর্ক কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে

স্বাস্থ্য সেলের সভাপতি সোমনাথবাবু বলেন পশ্চিমবাংলায় বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করছে। হিন্দু-মুসলিম পার্থক্য তৈরি করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে। পাশাপাশি এই দলে থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছিলাম না। তৃণমূল কংগ্রেস সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে দল চালাচ্ছে। সব সম্প্রদায়ের মানুষকে সমান গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই আমি আমার পঞ্চায়েত সদস্য অনিন্দ্য সুরেশ সহ কর্মী সমর্থকরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, ওনার  রাজনৈতিক মতাদর্শ ভাবধারাকে মাথায় নিয়ে আগামীদিন যাতে মানুষের উন্নয়ন করতে পারি, তাই  সেজন্য এই দলে যোগদান করলাম।

আরও পড়ুন: বাংলা ভাগের দাবিদারদের সঙ্গে শমীকের বৈঠক