০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অপুষ্টির শিকার রোহিঙ্গারা, আরও কমল খাদ্য সহায়তা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ মে ২০২৩, বুধবার
  • / 14

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তায় ফের কাটছাঁট করল রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য সহায়তা সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম’ (ডব্লিউএফপি)।

এক সাক্ষাৎকারে ডব্লিউএফপির মুখপাত্র কুন লি জানিয়েছেন, আগামী ১ জুন থেকে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ ১০ ডলার থেকে কমিয়ে ৮ ডলার করা হবে। মূলত তহবিল স্বল্পতার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে মার্চেও রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ হ্রাস করেছিল ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম। সেবার মাথাপিছু ১২ ডলার থেকে ১০ ডলার করা হয়েছিল বরাদ্দ। বরাদ্দ হ্রাস করার কারণ ব্যাখ্যা করে কুন লি বলেন, ‘মূলত তহবিল সংকটের কারণে আমরা বরাদ্দ কমাতে বাধ্য হয়েছি। যদি আগের মতো মাথাপিছু ১২ ডলার বরাদ্দ দিতে হয়, সেক্ষেত্রে জরুরিভিত্তিতে আমাদের প্রয়োজন ৫ কোটি ৬০ লক্ষ ডলার।

রাষ্ট্রসংঘের এই নতুন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বাংলাদেশের সরকারের তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের অন্যতম নেতা খিন মং এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন।

রোহিঙ্গা ইউথ অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান খিন মং বলেন, ‘এটা  খুবই লজ্জাজনক একটি সিদ্ধান্ত এবং আমরা মনে করছি; এটি রাজনৈতিক। শিবিরের অনেকেই মনে করছেন, মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর মতলবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও জানান, ‘ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গারা এমনিতেই ব্যাপক অপুষ্টির শিকার হচ্ছেন। বরাদ্দ কমে গেলে এই হার আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অপুষ্টির শিকার রোহিঙ্গারা, আরও কমল খাদ্য সহায়তা

আপডেট : ২৪ মে ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তায় ফের কাটছাঁট করল রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য সহায়তা সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম’ (ডব্লিউএফপি)।

এক সাক্ষাৎকারে ডব্লিউএফপির মুখপাত্র কুন লি জানিয়েছেন, আগামী ১ জুন থেকে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ ১০ ডলার থেকে কমিয়ে ৮ ডলার করা হবে। মূলত তহবিল স্বল্পতার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে মার্চেও রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ হ্রাস করেছিল ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম। সেবার মাথাপিছু ১২ ডলার থেকে ১০ ডলার করা হয়েছিল বরাদ্দ। বরাদ্দ হ্রাস করার কারণ ব্যাখ্যা করে কুন লি বলেন, ‘মূলত তহবিল সংকটের কারণে আমরা বরাদ্দ কমাতে বাধ্য হয়েছি। যদি আগের মতো মাথাপিছু ১২ ডলার বরাদ্দ দিতে হয়, সেক্ষেত্রে জরুরিভিত্তিতে আমাদের প্রয়োজন ৫ কোটি ৬০ লক্ষ ডলার।

রাষ্ট্রসংঘের এই নতুন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বাংলাদেশের সরকারের তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে কক্সবাজার জেলার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের অন্যতম নেতা খিন মং এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন।

রোহিঙ্গা ইউথ অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান খিন মং বলেন, ‘এটা  খুবই লজ্জাজনক একটি সিদ্ধান্ত এবং আমরা মনে করছি; এটি রাজনৈতিক। শিবিরের অনেকেই মনে করছেন, মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর মতলবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও জানান, ‘ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গারা এমনিতেই ব্যাপক অপুষ্টির শিকার হচ্ছেন। বরাদ্দ কমে গেলে এই হার আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।’