২২ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 315

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন ২৫৭৩৫ জন শিক্ষক। তাঁরা ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সদ্য কমিশন ‘দাগি অযোগ্য’ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে। আর এই আবহে বৃহস্পতিবার, কলকাতার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহ থেকে সরাসরি বার্তা  দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি জানালেন, আদালত যে রায় দিয়েছে সেটাই শিরোধার্য। তাই শিক্ষকের পুনরায় চাকরিতে ফেরানো সম্ভব নয়। তবে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হবে রাজ্য। অন্ততপক্ষে গ্রুপ সি পদে চাকরির সুযোগ করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “দশ বছর ধরে  শিক্ষকতা যারা করে গেছেন, আজ তাঁদের অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। কেউ হতাশ হবেন না। বিকল্প ব্যবস্থার চেষ্টা চলছে। কারণ আমাদের সরকার মানবিক।”

আরও পড়ুন: Chetla Agrani Club: চেতলা অগ্রণীর পুজো মণ্ডপে আগুন

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি-র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। এরপরেই একই বছরের নভেম্বর মাসে পরীক্ষা নেওয়ার পর ২০১৮  সালের মার্চে প্রকাশিত হয় চূড়ান্ত তালিকা। ঠিক তার পরের বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে অনেকেই শিক্ষক হিসাবে স্কুলে যোগ দেন। ৬-৭ বছর চাকরি করার পর তাঁদের চাকরি গিয়েছে। ১৮০৬ জন প্রার্থীকে আপাতভাবে ‘দাগি অযোগ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে কমিশন।

আরও পড়ুন: TET 2022 candidate: নিয়োগের দাবিতে টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ, বিধানসভার সামনে তুমুল উত্তেজনা

তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়াতে অংশও নিয়েছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে তাঁদের অ্যাডমিট কার্ডও বাতিল করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট আরও নির্দেশ দিয়েছেন ভবিষ্যতে তাঁরা আর  কোনো নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে শিক্ষক পদের ৫৬ হাজার শূন্যপদ রয়েছে।  ৩৫,৭২৬টি পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এখনও বাকি ২১ হাজার দ্রুত পূরণ করার ইচ্ছা আছে বলেও জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: আদিবাসী ভাই-বোনেদের করম পুজোর শুভেচ্ছা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর

আইনি জটিলতার কারণে সেই প্রক্রিয়াও আটকে আছে। মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন,   “আদালতকে দোষ দেব না। আমাদেরই মধ্যে কয়েকজনের জন্য এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে অসংখ্য মানুষের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত  হয়ে গেল।” অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ রাখার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি  কর্মচারী নিয়োগের পরীক্ষাও দ্রুত নেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি।

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

আপডেট : ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন ২৫৭৩৫ জন শিক্ষক। তাঁরা ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সদ্য কমিশন ‘দাগি অযোগ্য’ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে। আর এই আবহে বৃহস্পতিবার, কলকাতার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহ থেকে সরাসরি বার্তা  দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি জানালেন, আদালত যে রায় দিয়েছে সেটাই শিরোধার্য। তাই শিক্ষকের পুনরায় চাকরিতে ফেরানো সম্ভব নয়। তবে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হবে রাজ্য। অন্ততপক্ষে গ্রুপ সি পদে চাকরির সুযোগ করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “দশ বছর ধরে  শিক্ষকতা যারা করে গেছেন, আজ তাঁদের অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। কেউ হতাশ হবেন না। বিকল্প ব্যবস্থার চেষ্টা চলছে। কারণ আমাদের সরকার মানবিক।”

আরও পড়ুন: Chetla Agrani Club: চেতলা অগ্রণীর পুজো মণ্ডপে আগুন

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি-র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। এরপরেই একই বছরের নভেম্বর মাসে পরীক্ষা নেওয়ার পর ২০১৮  সালের মার্চে প্রকাশিত হয় চূড়ান্ত তালিকা। ঠিক তার পরের বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে অনেকেই শিক্ষক হিসাবে স্কুলে যোগ দেন। ৬-৭ বছর চাকরি করার পর তাঁদের চাকরি গিয়েছে। ১৮০৬ জন প্রার্থীকে আপাতভাবে ‘দাগি অযোগ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে কমিশন।

আরও পড়ুন: TET 2022 candidate: নিয়োগের দাবিতে টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ, বিধানসভার সামনে তুমুল উত্তেজনা

তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়াতে অংশও নিয়েছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে তাঁদের অ্যাডমিট কার্ডও বাতিল করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট আরও নির্দেশ দিয়েছেন ভবিষ্যতে তাঁরা আর  কোনো নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে শিক্ষক পদের ৫৬ হাজার শূন্যপদ রয়েছে।  ৩৫,৭২৬টি পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। এখনও বাকি ২১ হাজার দ্রুত পূরণ করার ইচ্ছা আছে বলেও জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: আদিবাসী ভাই-বোনেদের করম পুজোর শুভেচ্ছা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর

আইনি জটিলতার কারণে সেই প্রক্রিয়াও আটকে আছে। মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন,   “আদালতকে দোষ দেব না। আমাদেরই মধ্যে কয়েকজনের জন্য এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে অসংখ্য মানুষের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত  হয়ে গেল।” অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ রাখার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি  কর্মচারী নিয়োগের পরীক্ষাও দ্রুত নেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি।