‘গুলি চালালে কামানের গোলা ছুড়ব’, ভোপালের সভা থেকে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি মোদির

- আপডেট : ৩১ মে ২০২৫, শনিবার
- / 179
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ফের পাকিস্তানকে নিশানা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এবার মধ্যপ্রদেশের ভোপালের জনসভা থেকে পাকিস্তানকে আক্রমণ করেন তিনি। পাকিস্তান যদি গুলি চালায় তাহলে ভারত কামানোর গোলা ছুড়বে বলে জানান তিনি।
পহেলগাঁওতে হামলা চালিয়ে জঙ্গিরা ভারতের ঐতিহ্য, সংস্কৃতির পাশাপাশি নারীশক্তিকে ‘চ্যালেঞ্জ’ করেছিল বলে মনে করেন মোদি। নারীশক্তিকে ‘চ্যালেঞ্জ’ করতে গিয়ে সন্ত্রাসবাদীরা নিজেরাই বিপদে পড়ে গেছে। সিঁদুর হয়ে উঠেছে বীরত্বের প্রতীক।
আজ অর্থাৎ শনিবার রানি অহল্যাবাঈ হোলকারের ৩০০তম জন্মবার্ষিকী। ভোপালে অনুষ্ঠিত রানি অহল্যাবাঈ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন সেখানেও পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা এবং তার পরবর্তীতে হওয়া অপারেশন সিঁদুর নিয়ে কথা বলেন।
‘অপারেশন সিঁদুর’ ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সফল অভিযান বলে জানান তিনি। মোদি বলেছেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদীরা তো শুধু রক্ত ঝরায়নি, ওরা আমাদের সংস্কৃতিকে আঘাত করেছে। আমাদের সমাজকে ভাগ করে দিতে চেয়েছে। ভারতের নারীশক্তিকে চ্যালেঞ্জ করেছে। আর সেই চ্যালেঞ্জ ওদেরই ধ্বংস ডেকে এনেছে। পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। সিঁদুর এখন হয়ে উঠেছে বীরত্বের প্রতীক।’’
পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদীদের ‘মদতদাতা’ বলে আক্রমণ প্রধানমন্ত্রীর। তিনি বলেন, ‘‘অপারেশন সিঁদুর দেখিয়ে দিয়েছে, সন্ত্রাসবাদকে ব্যবহার করে ‘প্রক্সি ওয়ার’ আর সহ্য করা হবে না। আমরা এ বার থেকে ঘরে ঢুকে মারব। জঙ্গিদের যারা সাহায্য করবে, তাদের মূল্য দিতে হবে। তোমরা যদি গুলি চালাও, আমরাও কামানের গোলা ছুড়ব।’’
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত চালিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। এর পর টানা চার দিন চলে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ। গত ১০ মে দুই দেশ সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
সংঘর্ষ পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী বিহার, বাংলা, রাজস্থান ও গুজরাত-সহ নানা জায়গায় জনসভা করেন। দেশের নানা প্রান্তের জনসভা থেকে ‘সিঁদুর’ অভিযানের প্রসঙ্গ তোলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিটা সভা থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি। ভোপালের অনুষ্ঠানেও তার ব্যতিক্রম হল না।