মোটরযান আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত রাজ্যের

- আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, শনিবার
- / 14
পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক গাড়ির মালিকদের কর প্রদানে উৎসাহিত করতে রাজ্য সরকার মোটরযান আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই উদ্দ্যেশ্যে সংশ্লিষ্ট আইনের এক সংশোধনী শনিবার রাজ্য বিধানসভায় গৃহীত হয়েছে। বিধানসভায় এই সংশোধনী বিল পেশ করে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানান, এই বিলের মূল লক্ষ্য, কর ব্যবস্থাকে আরও সরল করা। গাড়ির মালিকদের আরও বেশি ছাড়ের সুযোগ দেওয়া। তিনি বলেন, এই ভাবে নানা উদ্ভাবনী প্রকল্পের সুযোগ দিয়ে পরিবহণ দফতর মানুষের ওপর চাপ না বাড়িয়েই রাজস্ব সংগ্রহের হার বাম জমানার তুলনায় বহুগুণে বাড়িয়েছে। ২০১০-১১ সালে যেখানে পরিবহণ দফতরের মোট রাজস্বের পরিমাণ ছিল ৯০০ কোটি টাকা। তা ২০২৩-২৪ এ বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকা।
পরিবহণ মন্ত্রী আরও জানান, পরিবহণ আইনের সংশাধনীতে, নতুন কেনা ৬ টনের কম ওজনের বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রে পথ কর প্রদানের সময়সীমা তিন মাস থেকে বাড়িয়ে একবছর করা হয়েছে। তিনি জানান, অটো, টোটো, ই-রিকশ, ট্র্যাক্টর, ছোট মালবাহী গাড়ির তিন মাস অন্তর ট্যাক্স প্রদানের সুযোগ ছিল। যার ফলে করের হার কম হওয়া স্বত্তেও গাড়ি মালিকরা ঝামেলা এড়াতে কর দিতেন না। এবার তাঁরা একবছর অন্তর কর মেটানোর সুযোগ পাবেন। এর পাশাপাশি, সমস্ত ধরণের বাণিজ্যিক গাড়ির মালিকদেরও একাধিক ছাড়ের সুযোগের দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের গাড়ি কেনার সময় একলপ্তে অগ্রিম ৩ বছরের রোড ট্যাক্স মেটালে ১৫ শতাংশ ছাড় মিলবে। একইভাবে অগ্রিম ৫ এবং ১০ বছরের বেশি সময়ের রোড ট্যাক্স মেটালে যথাক্রমে ৩০ এবং ৪০ শতাংশ ছাড় মিলবে।
অন্যদিকে, অ্যাপ নির্ভর গাড়ির মালিকদের মুখে হাসি ফোটাতে ৫ আসন বিশিষ্ট অ্যাপ ক্যাব গাড়ি কেনার সময় সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা পথ কর রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বর্তমান আইনে এই কর সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা ছিল। তা একধাক্কায় অর্ধেক করে দেওয়া হচ্ছে বলে মন্ত্রী জানান।
ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকদের জন্য ঢালাও ছাড়ের সংস্থান রাখা হয়েছে এই সংশোধনীতে। বর্তমানে ব্যক্তিগত গাড়ি রেজিস্টেশনের সময় ৫.৫ শতাংশ রোড ট্যাক্স মেটাতে হয়। পরবর্তী ধাপে অর্থাৎ ১০ বছরে দুই দফায় সমহারে অর্থাৎ আরও ১১ শতাংশ কর দিতে হয়। নয়া সংশোধনী নতুন ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে মাত্র ৭.৫ শতাংশ হারে ১৫ বছর বা লাইফ টাইম কর ধার্য করা হচ্ছে। আলোচনার শেষে বিরোধী শূন্য বিধান সভায় পরিবহণ আইনের সংশোধনীটি গৃহীত হয়।