০৪ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পণের দাবিতে ‘খুন’! ট্যুইট মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৪ জুন ২০২১, বৃহস্পতিবার
  • / 83

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কিছুদিন আগেই শ্বশুরবাড়ি থেকে হোয়াটস অ্যাপ করেন। তাতে জানিয়েছিলেন, পণের জন্য মারধর করছেন তাঁর স্বামী। মারধরের সেই ছবি বাপের বাড়ি পাঠান ভীষ্মা নায়ার। সোমবার সেই যুবতীর রহস্যমৃত্যু। আয়ুর্বেদিক মেডিসিনের ছাত্রীর দেহ  শ্বশুরবাড়ির শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয়। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য কেরলে। যুবতীর স্বামী কিরণ কুমারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনার নিন্দা করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর জুন মাসে বিয়ে হয় বছর ২৪-র ওই তরুণীর। অভিযোগ, বিয়েতে তরুণীর বাবা পণ হিসাবে ১০০ সোনার কয়েন, এক একরেরও বেশি জমি, ১০ লক্ষ টাকার একটি গাড়ি দেন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই ফের পণের জন্য চাপ দিতে থাকেন কিরণ কুমার। মারধর করায় জানুয়ারি মাসে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলেও আসেন ওই যুবতী। কিন্তু মার্চ মাসে ফের স্বামী নিতে আসলে পরিবারের বারণ না শুনেই শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যান ভীষ্মা। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই ফের অত্যাচার শুরু। মারধরের চিহ্নও ওই তরুণী হোয়াটসঅ্যাপে পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠায়। তবে পরিবারের তরফে কোনও পদক্ষেপ করার আগেই সোমবার তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

এই খবরে দুঃখ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি টুইটে লেখেন, ‘সমাজ হিসাবে আমাদের বিবাহ ব্যবস্থায় সংশোধন আনতেই হবে। পরিবারের সামাজিক অবস্থান ও অর্থের পরিমাণ প্রকাশের অনুষ্ঠান নয় বিয়ে। অভিভাবকদের বুঝতে হবে যে বর্বরোচিত পণ প্রথায় আমাদের মেয়েদের পণ্য হিসাবে নামিয়ে আনা হচ্ছে।’

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পণের দাবিতে ‘খুন’! ট্যুইট মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের

আপডেট : ২৪ জুন ২০২১, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কিছুদিন আগেই শ্বশুরবাড়ি থেকে হোয়াটস অ্যাপ করেন। তাতে জানিয়েছিলেন, পণের জন্য মারধর করছেন তাঁর স্বামী। মারধরের সেই ছবি বাপের বাড়ি পাঠান ভীষ্মা নায়ার। সোমবার সেই যুবতীর রহস্যমৃত্যু। আয়ুর্বেদিক মেডিসিনের ছাত্রীর দেহ  শ্বশুরবাড়ির শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয়। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য কেরলে। যুবতীর স্বামী কিরণ কুমারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনার নিন্দা করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর জুন মাসে বিয়ে হয় বছর ২৪-র ওই তরুণীর। অভিযোগ, বিয়েতে তরুণীর বাবা পণ হিসাবে ১০০ সোনার কয়েন, এক একরেরও বেশি জমি, ১০ লক্ষ টাকার একটি গাড়ি দেন। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই ফের পণের জন্য চাপ দিতে থাকেন কিরণ কুমার। মারধর করায় জানুয়ারি মাসে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলেও আসেন ওই যুবতী। কিন্তু মার্চ মাসে ফের স্বামী নিতে আসলে পরিবারের বারণ না শুনেই শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যান ভীষ্মা। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই ফের অত্যাচার শুরু। মারধরের চিহ্নও ওই তরুণী হোয়াটসঅ্যাপে পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠায়। তবে পরিবারের তরফে কোনও পদক্ষেপ করার আগেই সোমবার তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

এই খবরে দুঃখ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি টুইটে লেখেন, ‘সমাজ হিসাবে আমাদের বিবাহ ব্যবস্থায় সংশোধন আনতেই হবে। পরিবারের সামাজিক অবস্থান ও অর্থের পরিমাণ প্রকাশের অনুষ্ঠান নয় বিয়ে। অভিভাবকদের বুঝতে হবে যে বর্বরোচিত পণ প্রথায় আমাদের মেয়েদের পণ্য হিসাবে নামিয়ে আনা হচ্ছে।’