০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গরবা কাণ্ডের প্রতিবাদে বিধানসভা ভোট বয়কট  করেছে গুজরাতের খেদা জেলার মুসলমানরা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৬ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 47

প্রতীকী ছবি

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ পুলিশের পৈশাচিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে চলতি বিধানসভা ভোটকে বয়কট করেছেন গুজরাতের  খেদা জেলার মুসলিম বাসিন্দারা। চলতি বছর অক্টোবর মাসে  গরবা অনুষ্ঠানে পাথর ছোড়ার অভিযোগে মুসলমানদের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে মারধর করেছিল পুলিশ। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছিল গুজরাতের  খেদা জেলার  উন্ডেলা গ্রামে। তারই  প্রতিবাদে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় গ্রামের  কোনও মুসলিম ভোট দেয়নি। প্রায় ১৪০০ জন ভোট বয়কট করেছে বলেই সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর।

 

আরও পড়ুন: উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে বাহিনী

তবে নির্বাচন কর্মকর্তারা এই দাবি অস্বীকার করেছেন বলেই জানা গেছে। সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন , উন্ডেলা গ্রামের মোট ৩৭০০ জন ভোটার রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ১৪০০ জন মুসলিম রয়েছে। তারা রাজ্যের বিধানসভা ভোটে দ্বিতীয় দফায় ভোট দেয়নি।

আরও পড়ুন: মুসলিম যুবককে হত্যা, প্রতিবাদে গণইস্তফা কর্নাটকের সংখ্যালঘু নেতাদের

 

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

এই প্রসঙ্গে স্থানীয় মুসলিম নেতা  সৈয়দ মকবুল   জানিয়েছেন, গরবা কাণ্ডে মুসলিমদের প্রতি পুলিশের অমানবিক নির্যাতন ও জনসমক্ষে বেত্রাঘাতের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দফার ভোটকে বয়কট করেছে তারা। এবং ভোটদান  প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের বিরত রেখেছে।  এদিন তিনি আরও বলেন, পুলিশের একতরফা অবিচারের প্রতিবাদ করেছি আমরা ।

 

তবে এই কথা অস্বীকার করেছেন খেদার  কালেক্টর কে এল বাচানি। তিনি স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তাদের  জানিয়েছেন এমন কোনও ঘটনায় ঘটেনি তাদের গ্রামে।

 

উল্লেখ্য, খেদা জেলায় গত ৩ অক্টোবর নবরাত্রির অনুষ্ঠানে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগে সাদা পোশাকে বেশ কয়েকজন পুলিশ কয়েকজন মুসলিম যুবককে বেধড়ক মারধর করে। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরালও হয়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিল,  একজন পুলিশ অফিসার খুঁটির সঙ্গে কয়েকজন মুসলিম যুবককে একে একে বেঁধে দেয় এবং অন্যজন  পিছন থেকে তাদের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। আর রাস্তায় থাকা মানুষজন তার প্রতিবাদ না করে পুলিশকে মারধর করার জন্য আরও উৎসাহিত করতে থাকে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গরবা কাণ্ডের প্রতিবাদে বিধানসভা ভোট বয়কট  করেছে গুজরাতের খেদা জেলার মুসলমানরা

আপডেট : ৬ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ পুলিশের পৈশাচিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে চলতি বিধানসভা ভোটকে বয়কট করেছেন গুজরাতের  খেদা জেলার মুসলিম বাসিন্দারা। চলতি বছর অক্টোবর মাসে  গরবা অনুষ্ঠানে পাথর ছোড়ার অভিযোগে মুসলমানদের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে মারধর করেছিল পুলিশ। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছিল গুজরাতের  খেদা জেলার  উন্ডেলা গ্রামে। তারই  প্রতিবাদে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় গ্রামের  কোনও মুসলিম ভোট দেয়নি। প্রায় ১৪০০ জন ভোট বয়কট করেছে বলেই সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর।

 

আরও পড়ুন: উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে বাহিনী

তবে নির্বাচন কর্মকর্তারা এই দাবি অস্বীকার করেছেন বলেই জানা গেছে। সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন , উন্ডেলা গ্রামের মোট ৩৭০০ জন ভোটার রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ১৪০০ জন মুসলিম রয়েছে। তারা রাজ্যের বিধানসভা ভোটে দ্বিতীয় দফায় ভোট দেয়নি।

আরও পড়ুন: মুসলিম যুবককে হত্যা, প্রতিবাদে গণইস্তফা কর্নাটকের সংখ্যালঘু নেতাদের

 

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

এই প্রসঙ্গে স্থানীয় মুসলিম নেতা  সৈয়দ মকবুল   জানিয়েছেন, গরবা কাণ্ডে মুসলিমদের প্রতি পুলিশের অমানবিক নির্যাতন ও জনসমক্ষে বেত্রাঘাতের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দফার ভোটকে বয়কট করেছে তারা। এবং ভোটদান  প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের বিরত রেখেছে।  এদিন তিনি আরও বলেন, পুলিশের একতরফা অবিচারের প্রতিবাদ করেছি আমরা ।

 

তবে এই কথা অস্বীকার করেছেন খেদার  কালেক্টর কে এল বাচানি। তিনি স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তাদের  জানিয়েছেন এমন কোনও ঘটনায় ঘটেনি তাদের গ্রামে।

 

উল্লেখ্য, খেদা জেলায় গত ৩ অক্টোবর নবরাত্রির অনুষ্ঠানে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগে সাদা পোশাকে বেশ কয়েকজন পুলিশ কয়েকজন মুসলিম যুবককে বেধড়ক মারধর করে। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরালও হয়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছিল,  একজন পুলিশ অফিসার খুঁটির সঙ্গে কয়েকজন মুসলিম যুবককে একে একে বেঁধে দেয় এবং অন্যজন  পিছন থেকে তাদের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। আর রাস্তায় থাকা মানুষজন তার প্রতিবাদ না করে পুলিশকে মারধর করার জন্য আরও উৎসাহিত করতে থাকে।