১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোটার তালিকার সংশোধনীতে বিহারে নতুন নিয়ম

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার
  • / 108

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ভোটার তালিকার সংশোধনীতে বিহারে যে নিয়ম করা হয়েছে, তাতে বদলে গেছে অনেক কিছু। কি সেই পরিবর্তন?

বিধানসভা ভোটের আগে বিহারের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সেখানে প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ পড়ায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যেও।

আরও পড়ুন: ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে এক গুচ্ছ প্রস্তাব দিল টিডিপি

বিরোধী দলগুলির  পাশাপাশি এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সুপ্রিম কোর্টেও। কমিশন জানিয়েছে, প্রতি বারের মতো এবারও পর্যাপ্ত সময় দিয়েই কিন্তু প্রক্রিয়াটি  সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু তথ্য অনুযায়ী, ২০০২-০৩ সালে এক প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লেগেছিল প্রায় আট মাস। এই বছর পুরো কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৯৭ দিনে।

আরও পড়ুন: ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আজ শুনানি

১) ২০০২-০৩ সালে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হতে সময় লেগেছিল প্রায় ৮ মাস। এবার সেই একই প্রক্রিয়া সেরে ফেলা হল ৯৭ দিনের মধ্যে।

আরও পড়ুন: ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে ‘ডু অর ডাই’-এর ডাক সাংসদ পাপ্পু যাদবের

২) আগেরবার প্রাথমিক তালিকা তৈরি, প্রশিক্ষণ, যাচাই, আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি এত নিয়ম মিলিয়ে কাজ সম্পূর্ণ করতে দীর্ঘ সময় লেগেছিল। আর এবারে সমীক্ষা, ফর্ম বিতরণ ও যাচাই শেষ হয়েছে মাত্র ৩১ দিনে। মাত্র ৫ দিনে খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

৩) ২০০২-০৩ সালে নাগরিকত্বের প্রমাণের জন্য শুধু ভোটার কার্ডই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু এবার ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে ১১ ধরনের নথি প্রমাণ হিসাবে দেখা হচ্ছে। অথচ সেই তালিকায় ভোটার, আধার কিংবা প্যান কার্ডের উল্লেখও নেই।

৪) আগের সংশোধনীতে ভুল হলে আপত্তি জানানোর জন্য সময় ধার্য করা হয়েছিল ১৫ দিন, এবং আর নিষ্পত্তির জন্য সময় লেগেছিল প্রায় ২ মাস। আর এই নতুন নিয়মে ১লা অগস্ট থেকে ১লা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ ৩১ দিন আপত্তি জানানোর সুযোগ পাবেন সবাই। আগামী ২৫শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি সংক্রান্ত সমস্ত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

৫) ২০০২-০৩ সালে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল মে মাসে ও ডিসেম্বর মাসে তা প্রকাশিত হয়েছিল। নতুন নিয়মে ঘোষণা করা হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।

বাংলাতেও কি আসছে এই নিয়ম? এবার উঠে আসছে সেই প্রশ্ন।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভোটার তালিকার সংশোধনীতে বিহারে নতুন নিয়ম

আপডেট : ২৪ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ভোটার তালিকার সংশোধনীতে বিহারে যে নিয়ম করা হয়েছে, তাতে বদলে গেছে অনেক কিছু। কি সেই পরিবর্তন?

বিধানসভা ভোটের আগে বিহারের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সেখানে প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ পড়ায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যেও।

আরও পড়ুন: ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে এক গুচ্ছ প্রস্তাব দিল টিডিপি

বিরোধী দলগুলির  পাশাপাশি এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সুপ্রিম কোর্টেও। কমিশন জানিয়েছে, প্রতি বারের মতো এবারও পর্যাপ্ত সময় দিয়েই কিন্তু প্রক্রিয়াটি  সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু তথ্য অনুযায়ী, ২০০২-০৩ সালে এক প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লেগেছিল প্রায় আট মাস। এই বছর পুরো কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৯৭ দিনে।

আরও পড়ুন: ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আজ শুনানি

১) ২০০২-০৩ সালে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হতে সময় লেগেছিল প্রায় ৮ মাস। এবার সেই একই প্রক্রিয়া সেরে ফেলা হল ৯৭ দিনের মধ্যে।

আরও পড়ুন: ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে ‘ডু অর ডাই’-এর ডাক সাংসদ পাপ্পু যাদবের

২) আগেরবার প্রাথমিক তালিকা তৈরি, প্রশিক্ষণ, যাচাই, আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি এত নিয়ম মিলিয়ে কাজ সম্পূর্ণ করতে দীর্ঘ সময় লেগেছিল। আর এবারে সমীক্ষা, ফর্ম বিতরণ ও যাচাই শেষ হয়েছে মাত্র ৩১ দিনে। মাত্র ৫ দিনে খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

৩) ২০০২-০৩ সালে নাগরিকত্বের প্রমাণের জন্য শুধু ভোটার কার্ডই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু এবার ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে ১১ ধরনের নথি প্রমাণ হিসাবে দেখা হচ্ছে। অথচ সেই তালিকায় ভোটার, আধার কিংবা প্যান কার্ডের উল্লেখও নেই।

৪) আগের সংশোধনীতে ভুল হলে আপত্তি জানানোর জন্য সময় ধার্য করা হয়েছিল ১৫ দিন, এবং আর নিষ্পত্তির জন্য সময় লেগেছিল প্রায় ২ মাস। আর এই নতুন নিয়মে ১লা অগস্ট থেকে ১লা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ ৩১ দিন আপত্তি জানানোর সুযোগ পাবেন সবাই। আগামী ২৫শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি সংক্রান্ত সমস্ত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

৫) ২০০২-০৩ সালে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল মে মাসে ও ডিসেম্বর মাসে তা প্রকাশিত হয়েছিল। নতুন নিয়মে ঘোষণা করা হয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।

বাংলাতেও কি আসছে এই নিয়ম? এবার উঠে আসছে সেই প্রশ্ন।