২৬ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে এখনই বাদ নয় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ: কেন্দ্রে 

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার
  • / 39

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকার এই মুহূর্তে সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘সমাজতান্ত্রিক’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দদুটি বাদ দেওয়ার কথা ভাবছে না। শুক্রবার রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘাওয়াল। এই বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন রামজিলাল সুমন।

 

মেঘাওয়াল বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনায় কোনও বদল আনার দরকার হলে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তার আগে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ১৯৭৬ সালে সংবিধানের যে ৪২তম সংশোধন করে প্রস্তাবনায় বদল করা হয় তা সুপ্রিম কোর্ট বৈধ বলে জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: ধর্মনিরপেক্ষতা সংস্কৃতির অংশ নয়, সমাজতন্ত্রের প্রয়োজন নেই: শিবরাজ সিং চৌহান

 

আরও পড়ুন: জুলাইয়ে বেঙ্গালুরুতে ‘ওয়াকফ বাঁচাও, সংবিধান বাঁচাও’ সম্মেলন

অর্থাৎ প্রস্তাবনায় বদল করা যায়। ২০২৪ সালের নভেম্বরে বলরাম সিং এবং অন্যরা বনাম কেন্দ্রীয় সরকার মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ৪২তম সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করে আনা আবেদন খারিজ করে দিয়ে আদালত বলেছিল, সংসদ সংবিধান এবং তার প্রস্তাবনাতেও বদল আনতে পারে।

আরও পড়ুন: ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালনে রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের, ‘আপনারা গণতন্ত্র মানেন?’ নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর

 

সেই রায়ে আদালত বলেছিল, ভারতে সমাজতন্ত্র বলতে কল্যাণকর রাষ্ট্রের কথা ভাবতে হবে, তবে তা বেসরকারি ক্ষেত্রের বিকাশে বাধা দেবে না। আর ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, কিছু সামাজিক সংগঠনের কার্যকর্তারা সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ওই শব্দদুটি বাদ দেওয়ার পক্ষে মতপ্রকাশ করেছেন।

 

সরকার তো কিছু বলেনি। এই বিষয়ে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনও পরিবর্তন এখনও অবধি হয়নি। গণতান্ত্রিক সমাজে কেউ ভিন্ন মত পোষণ করতেই পারেন। তাতে সমাজে কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনার পরিবেশ গড়ে ওঠে। এর সঙ্গে সরকারি অবস্থানের কোনও সম্পর্ক নেই। উল্লেখ্য, গত জুন মাসেই আর এস এসের সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবোলে বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনায় সমাজতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ শব্দদুটি জোর করে ঢোকানো হয়েছে।

 

সংবিধানের মূল ধারার সঙ্গে এই শব্দদুটি বেমানান। তাই এই শব্দদুটি বাদ দেওয়া দরকার। পরে বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করা হয়। সেই প্রসঙ্গেই এদিন রাজ্যসভায় প্রশ্ন ওঠে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে এখনই বাদ নয় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ: কেন্দ্রে 

আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকার এই মুহূর্তে সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘সমাজতান্ত্রিক’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দদুটি বাদ দেওয়ার কথা ভাবছে না। শুক্রবার রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘাওয়াল। এই বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন রামজিলাল সুমন।

 

মেঘাওয়াল বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনায় কোনও বদল আনার দরকার হলে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তার আগে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ১৯৭৬ সালে সংবিধানের যে ৪২তম সংশোধন করে প্রস্তাবনায় বদল করা হয় তা সুপ্রিম কোর্ট বৈধ বলে জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: ধর্মনিরপেক্ষতা সংস্কৃতির অংশ নয়, সমাজতন্ত্রের প্রয়োজন নেই: শিবরাজ সিং চৌহান

 

আরও পড়ুন: জুলাইয়ে বেঙ্গালুরুতে ‘ওয়াকফ বাঁচাও, সংবিধান বাঁচাও’ সম্মেলন

অর্থাৎ প্রস্তাবনায় বদল করা যায়। ২০২৪ সালের নভেম্বরে বলরাম সিং এবং অন্যরা বনাম কেন্দ্রীয় সরকার মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ৪২তম সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করে আনা আবেদন খারিজ করে দিয়ে আদালত বলেছিল, সংসদ সংবিধান এবং তার প্রস্তাবনাতেও বদল আনতে পারে।

আরও পড়ুন: ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালনে রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের, ‘আপনারা গণতন্ত্র মানেন?’ নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর

 

সেই রায়ে আদালত বলেছিল, ভারতে সমাজতন্ত্র বলতে কল্যাণকর রাষ্ট্রের কথা ভাবতে হবে, তবে তা বেসরকারি ক্ষেত্রের বিকাশে বাধা দেবে না। আর ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, কিছু সামাজিক সংগঠনের কার্যকর্তারা সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ওই শব্দদুটি বাদ দেওয়ার পক্ষে মতপ্রকাশ করেছেন।

 

সরকার তো কিছু বলেনি। এই বিষয়ে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনও পরিবর্তন এখনও অবধি হয়নি। গণতান্ত্রিক সমাজে কেউ ভিন্ন মত পোষণ করতেই পারেন। তাতে সমাজে কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনার পরিবেশ গড়ে ওঠে। এর সঙ্গে সরকারি অবস্থানের কোনও সম্পর্ক নেই। উল্লেখ্য, গত জুন মাসেই আর এস এসের সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবোলে বলেন, সংবিধানের প্রস্তাবনায় সমাজতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ শব্দদুটি জোর করে ঢোকানো হয়েছে।

 

সংবিধানের মূল ধারার সঙ্গে এই শব্দদুটি বেমানান। তাই এই শব্দদুটি বাদ দেওয়া দরকার। পরে বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করা হয়। সেই প্রসঙ্গেই এদিন রাজ্যসভায় প্রশ্ন ওঠে।