২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফের কোভিড আতঙ্ক! এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২৫৭

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২০ মে ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 146

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ফের কোভিড আতঙ্ক। সূত্রের খবর,  ঘনবসতিপূর্ণ হংকং এবং সিঙ্গাপুর জুড়ে ফের বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সতর্কতা জারি করেছে সেখানকার স্বাস্থ্য দফতরের। ভারতেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এর মধ্যেই মহারাষ্ট্রে মিলেছে দু’জনের মৃত্যুর খবর। পিটিআই সূত্রে খবর, মু্ম্বইয়ের কেইএম হাসপাতালে দুই কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে একজন নাবালকও রয়েছেন।

যদিও বিএমসি জানিয়েছে ‘আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। প্রতিবেদন অনুসারে, ডাক্তাররা নিশ্চিত করেছেন, এই দুই মৃতই কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিলেন ঠিকই, কিন্তু তাঁরা অন্য বড় রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তাই কোভিডই এদের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এমনটা বলা যাবে না।  এর সঙ্গে কো-মর্বিডিটির বিষয়টিও উল্লেখযোগ্য।  ১৪ বছর বয়সী এক রোগী নেফ্রোটিক সিনড্রোমের নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর কিডনি বিকল হয়ে পড়ছিল। অন্য আরেকজন রোগী, যাঁর বয়স ৫৪, তিনি ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তাই তাঁদের মৃত্যু কোভিডের জন্য হয়েছে এমনটা নয়।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রের পোর্টালে বাংলার কোভিড তথ্য আপলোড নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা! মুখে কুলুপ স্বাস্থ্য ভবন

হাসপাতাল স্পষ্ট করে জানিয়েছে, কোভিড-১৯ এর কারণে মৃত্যু নয়, বরং নেফ্রোটিক সিনড্রোমের মতো গুরুতর রোগ, হাইপোক্যালসেমিক খিঁচুনির জন্য হয়েছে। আরেকজন রোগী ক্যান্সারের গুরুতর পর্যায়ে ছিলেন। তাই সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুসারে, ভারতে সক্রিয় কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ২৫৭ জন, যা দেশের বিশাল জনসংখ্যা বিবেচনায় খুবই কম।

আরও পড়ুন: মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে মন্ত্রীদের করতে হবে কোভিড পরীক্ষা!

মহারাষ্ট্রে এই মুহূর্তে মোট ৫৬ জন করোনা পজিটিভ। মুম্বইয়ের কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালে সম্প্রতি দুই জনের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে একজন ৫৯ বছরের ক্যানসার আক্রান্ত এবং অপর একজন ১৪ বছরের এক কিশোরী। যে কিডনি রোগে ভুগছিল। এরা করোনাতেও আক্রান্ত ছিলেন। তাই প্রশ্ন উঠেছে, তাঁদের ডেথ সার্টিফিকেটে কেন কোভিডের উল্লেখ করা হয়নি।

আরও পড়ুন: ভারতে ঊর্ধ্বমুখী কোভিড, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কেরল এবং গুজরাত

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৫৯ বছরের ওই মহিলার মৃতদেহ তাঁর পরিবারকে হস্তান্তর করেনি। সেখানকার প্রাক্তন কর্পোরেটর অনিল কোকিল বলেন, “ভোইওয়াডা শ্মশানে ওই মহিলার মৃতদেহের সৎকার করা হয়েছে। প্রোটোকল মেনে সেখানে পরিবারের মাত্র দুই সদস্য ছিলেন।”

২০২০ থেকে ২০২২, চোখের সামনে ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি। স্বাস্থ্যব্যবস্থা পড়েছে সঙ্কটে। একটা ভাইরাসের সামনে অসহায়ের মতো হাঁটু মুড়ে বসেছিল বিশ্বের তাবড় দেশগুলি। ঘরে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য-প্রতিরক্ষাকে পোক্ত করতে লেগে গিয়েছে বেশ কিছু দিন। আবার কি সেই দিন ফেরার পথে? চিন্তা বাড়াচ্ছে পরিসংখ্যান।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফের কোভিড আতঙ্ক! এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২৫৭

আপডেট : ২০ মে ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ফের কোভিড আতঙ্ক। সূত্রের খবর,  ঘনবসতিপূর্ণ হংকং এবং সিঙ্গাপুর জুড়ে ফের বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সতর্কতা জারি করেছে সেখানকার স্বাস্থ্য দফতরের। ভারতেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এর মধ্যেই মহারাষ্ট্রে মিলেছে দু’জনের মৃত্যুর খবর। পিটিআই সূত্রে খবর, মু্ম্বইয়ের কেইএম হাসপাতালে দুই কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে একজন নাবালকও রয়েছেন।

যদিও বিএমসি জানিয়েছে ‘আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। প্রতিবেদন অনুসারে, ডাক্তাররা নিশ্চিত করেছেন, এই দুই মৃতই কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিলেন ঠিকই, কিন্তু তাঁরা অন্য বড় রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তাই কোভিডই এদের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এমনটা বলা যাবে না।  এর সঙ্গে কো-মর্বিডিটির বিষয়টিও উল্লেখযোগ্য।  ১৪ বছর বয়সী এক রোগী নেফ্রোটিক সিনড্রোমের নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর কিডনি বিকল হয়ে পড়ছিল। অন্য আরেকজন রোগী, যাঁর বয়স ৫৪, তিনি ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তাই তাঁদের মৃত্যু কোভিডের জন্য হয়েছে এমনটা নয়।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রের পোর্টালে বাংলার কোভিড তথ্য আপলোড নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা! মুখে কুলুপ স্বাস্থ্য ভবন

হাসপাতাল স্পষ্ট করে জানিয়েছে, কোভিড-১৯ এর কারণে মৃত্যু নয়, বরং নেফ্রোটিক সিনড্রোমের মতো গুরুতর রোগ, হাইপোক্যালসেমিক খিঁচুনির জন্য হয়েছে। আরেকজন রোগী ক্যান্সারের গুরুতর পর্যায়ে ছিলেন। তাই সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুসারে, ভারতে সক্রিয় কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ২৫৭ জন, যা দেশের বিশাল জনসংখ্যা বিবেচনায় খুবই কম।

আরও পড়ুন: মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে মন্ত্রীদের করতে হবে কোভিড পরীক্ষা!

মহারাষ্ট্রে এই মুহূর্তে মোট ৫৬ জন করোনা পজিটিভ। মুম্বইয়ের কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালে সম্প্রতি দুই জনের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে একজন ৫৯ বছরের ক্যানসার আক্রান্ত এবং অপর একজন ১৪ বছরের এক কিশোরী। যে কিডনি রোগে ভুগছিল। এরা করোনাতেও আক্রান্ত ছিলেন। তাই প্রশ্ন উঠেছে, তাঁদের ডেথ সার্টিফিকেটে কেন কোভিডের উল্লেখ করা হয়নি।

আরও পড়ুন: ভারতে ঊর্ধ্বমুখী কোভিড, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কেরল এবং গুজরাত

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৫৯ বছরের ওই মহিলার মৃতদেহ তাঁর পরিবারকে হস্তান্তর করেনি। সেখানকার প্রাক্তন কর্পোরেটর অনিল কোকিল বলেন, “ভোইওয়াডা শ্মশানে ওই মহিলার মৃতদেহের সৎকার করা হয়েছে। প্রোটোকল মেনে সেখানে পরিবারের মাত্র দুই সদস্য ছিলেন।”

২০২০ থেকে ২০২২, চোখের সামনে ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি। স্বাস্থ্যব্যবস্থা পড়েছে সঙ্কটে। একটা ভাইরাসের সামনে অসহায়ের মতো হাঁটু মুড়ে বসেছিল বিশ্বের তাবড় দেশগুলি। ঘরে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য-প্রতিরক্ষাকে পোক্ত করতে লেগে গিয়েছে বেশ কিছু দিন। আবার কি সেই দিন ফেরার পথে? চিন্তা বাড়াচ্ছে পরিসংখ্যান।