০২ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুখ্যমন্ত্রীর এক ধমকেই কাজ হল, চিংড়িঘাটায় বাড়ল পুলিশি কড়াকড়ি

পুবের কলম
  • আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার
  • / 29

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রীর কড়া ধমকেই কাজ হল রাতারাতি পালটে গেল চিংড়িঘাটার চেনা চিত্র। বুধবার মধ্যমগ্রামের প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই কড়া সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করে, চিংড়িঘাটায় কেন এত দুর্ঘটনা ঘটছে? যাতে আর এই রকম সেটা দেখতে হবে। চিংড়িঘাটা কার? কলকাতা পুলিশের নাকি বিধাননগর কমিশনারেটের? আর এর পরেই নড়েচড়ে বসে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারেট। চিংড়িঘাটায় ছুটে যান বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সহ একাধিক আধিকারিক।


চিংড়িঘাটায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা। বাড়ানো হচ্ছে পুলিশের সংখ্যা। নজরে রাখা হয়েছে বাইককে। সিগন্যাল ভেঙে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চললেই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কেস চলে যাবে মালিকের কাছে। রাতে ব্যারিকেডের সঙ্গে থাকবে রেড ব্লিংকার। গাড়ির আলো ব্লিংকারের পড়লেই জ্বলে উঠবে। রাতে প্রয়োজন মতো গার্ডরেল দেওয়া হবে। দ্রুত চালু হবে ফুট ওভারব্রিজ।রাতে রাস্তার পরিধি চিহ্নিত করতে বসবে রেইজড পেভমেন্ট মার্কার। বাইপাসে নজরদারি চলবে মেট্রোপলিটন থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: পুণেতে সেতু দুর্ঘটনায় শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর


উল্লেখ্য, প্রায় চিংড়িঘাটায় দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অফিস যাত্রীদের অভিযোগ প্রয়োজন মতো পথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই।
পঞ্চমীর রাতেই এক যুবক ও এক তরুণী সায়েন্স সিটির দিক থেকে বাইকে চেপে চিংড়িঘাটার দিকে যাচ্ছিলেন। মেট্রোপলিটন লেনের কাছে রাস্তার ডিভাইডারে সজোরে ধাক্কা মারে বাইকটি। সঙ্গে সঙ্গেই গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে লোহার গার্ডরেলে সজোরে ধাক্কা মারেন যুবক। দুর্ঘটনায় শরীর থেকে মাথা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উল্টোদিকের লেনে গিয়ে পড়েন বাইক চালক। বাইকের পেছনের সিটে থাকা তরুণী গুরুতর জখম অবস্থায় এখনও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত কয়েকদিন আগেও এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর বাইকের পিছনে বসে অফিস যাচ্ছিলেন। বাইক থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। হেলমেট মাথা থেকে খুলে যায়। মারা যান তথ্য প্রযুক্তি কর্মী। জখম হন বাইক চালক।

আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনা হচ্ছে প্রস্তাব, থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী

আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী: চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মুখ্যমন্ত্রীর এক ধমকেই কাজ হল, চিংড়িঘাটায় বাড়ল পুলিশি কড়াকড়ি

আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রীর কড়া ধমকেই কাজ হল রাতারাতি পালটে গেল চিংড়িঘাটার চেনা চিত্র। বুধবার মধ্যমগ্রামের প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই কড়া সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করে, চিংড়িঘাটায় কেন এত দুর্ঘটনা ঘটছে? যাতে আর এই রকম সেটা দেখতে হবে। চিংড়িঘাটা কার? কলকাতা পুলিশের নাকি বিধাননগর কমিশনারেটের? আর এর পরেই নড়েচড়ে বসে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারেট। চিংড়িঘাটায় ছুটে যান বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সহ একাধিক আধিকারিক।


চিংড়িঘাটায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা। বাড়ানো হচ্ছে পুলিশের সংখ্যা। নজরে রাখা হয়েছে বাইককে। সিগন্যাল ভেঙে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চললেই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কেস চলে যাবে মালিকের কাছে। রাতে ব্যারিকেডের সঙ্গে থাকবে রেড ব্লিংকার। গাড়ির আলো ব্লিংকারের পড়লেই জ্বলে উঠবে। রাতে প্রয়োজন মতো গার্ডরেল দেওয়া হবে। দ্রুত চালু হবে ফুট ওভারব্রিজ।রাতে রাস্তার পরিধি চিহ্নিত করতে বসবে রেইজড পেভমেন্ট মার্কার। বাইপাসে নজরদারি চলবে মেট্রোপলিটন থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: পুণেতে সেতু দুর্ঘটনায় শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর


উল্লেখ্য, প্রায় চিংড়িঘাটায় দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অফিস যাত্রীদের অভিযোগ প্রয়োজন মতো পথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই।
পঞ্চমীর রাতেই এক যুবক ও এক তরুণী সায়েন্স সিটির দিক থেকে বাইকে চেপে চিংড়িঘাটার দিকে যাচ্ছিলেন। মেট্রোপলিটন লেনের কাছে রাস্তার ডিভাইডারে সজোরে ধাক্কা মারে বাইকটি। সঙ্গে সঙ্গেই গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে লোহার গার্ডরেলে সজোরে ধাক্কা মারেন যুবক। দুর্ঘটনায় শরীর থেকে মাথা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উল্টোদিকের লেনে গিয়ে পড়েন বাইক চালক। বাইকের পেছনের সিটে থাকা তরুণী গুরুতর জখম অবস্থায় এখনও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত কয়েকদিন আগেও এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর বাইকের পিছনে বসে অফিস যাচ্ছিলেন। বাইক থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। হেলমেট মাথা থেকে খুলে যায়। মারা যান তথ্য প্রযুক্তি কর্মী। জখম হন বাইক চালক।

আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনা হচ্ছে প্রস্তাব, থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী

আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী: চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য