১৫ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত পুনর্বিবেচনার জন্য পাকিস্তানের চিঠি

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৫ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 36

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য ভারতকে চিঠি পাকিস্তানের। সূত্রের খবর, সিন্ধু জল চুক্তির অধীনে নদীগুলির প্রবাহ পুনরায় চালু করার জন্য পাকিস্তানের জল সম্পদ মন্ত্রক নয়াদিল্লিকে চিঠি দিয়েছে।  সিন্ধু জল চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ জলবণ্টন চুক্তি। যা ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে টিকে আছে। ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় নিহত হন ২৬ জন সাধারণ নাগরিক। তারপরই ১৯৬০ সালের চুক্তি স্থগিত করে ভারত। সন্ত্রাসবাদের প্রতি ইসলামাবাদ যতক্ষণ না সমর্থন বন্ধ করছে ততক্ষণ চুক্তিটি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।পাকিস্তানের পাঠনো চিঠিতে জানানো হয়েছে চুক্তি স্থগিত করলে দেশের অভ্যন্তরে সংকট তৈরি হবে।

অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথম ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের আপোষহীন অবস্থানের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “জল ও রক্ত ​​একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না।” “সন্ত্রাস ও আলোচনা একই সঙ্গে হতে পারে না। সন্ত্রাস ও বাণিজ্য একই সঙ্গে হতে পারে না।” সিন্ধু জল চুক্তি অনুসারে তিনটি পশ্চিমাঞ্চলীয় নদী সিন্ধু, ঝিলাম এবং চন্দ্রভাগা পাকিস্তানের জন্য  আর পূর্বাঞ্চলীয় নদী – শতদ্রু, বিপাসা এবং ইরাবতী ভারতের কাছেই রয়েছে। ১৯৬০ সালের চুক্তি অনুসারে, ভারতে অবস্থিত সিন্ধু নদীর মোট জলের প্রায় ৩০ শতাংশ  আর বাকি ৭০ শতাংশ পেয়েছিল পাকিস্তান। ভারত তিন স্তরের কৌশল ঘোষণা করেছে- স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী। এর মাধ্যমে সিন্ধু নদীর জল পাকিস্তানে প্রবাহ রোধ করা হবে।  এই সপ্তাহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জলসম্পদ মন্ত্রী পাতিল, বিদ্যুৎ মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর, কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত হওয়ার পর থেকে, অমিত শাহ, পাতিল এবং মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে ইতিমধ্যে দু’টি বৈঠক হয়েছে।

আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে উত্তেজনার মধ্যেই সফলভাবে হল স্পেশাল ট্রেনের ট্রায়াল

 

আরও পড়ুন: পুলওয়ামার ত্রালে সেনার গুলিতে নিহত ৩ জঙ্গি

আরও পড়ুন: কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে কুরুচিকর মন্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের তিরস্কার বিজেপি মন্ত্রীকে

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত পুনর্বিবেচনার জন্য পাকিস্তানের চিঠি

আপডেট : ১৫ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য ভারতকে চিঠি পাকিস্তানের। সূত্রের খবর, সিন্ধু জল চুক্তির অধীনে নদীগুলির প্রবাহ পুনরায় চালু করার জন্য পাকিস্তানের জল সম্পদ মন্ত্রক নয়াদিল্লিকে চিঠি দিয়েছে।  সিন্ধু জল চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ জলবণ্টন চুক্তি। যা ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে টিকে আছে। ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় নিহত হন ২৬ জন সাধারণ নাগরিক। তারপরই ১৯৬০ সালের চুক্তি স্থগিত করে ভারত। সন্ত্রাসবাদের প্রতি ইসলামাবাদ যতক্ষণ না সমর্থন বন্ধ করছে ততক্ষণ চুক্তিটি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।পাকিস্তানের পাঠনো চিঠিতে জানানো হয়েছে চুক্তি স্থগিত করলে দেশের অভ্যন্তরে সংকট তৈরি হবে।

অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথম ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের আপোষহীন অবস্থানের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “জল ও রক্ত ​​একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না।” “সন্ত্রাস ও আলোচনা একই সঙ্গে হতে পারে না। সন্ত্রাস ও বাণিজ্য একই সঙ্গে হতে পারে না।” সিন্ধু জল চুক্তি অনুসারে তিনটি পশ্চিমাঞ্চলীয় নদী সিন্ধু, ঝিলাম এবং চন্দ্রভাগা পাকিস্তানের জন্য  আর পূর্বাঞ্চলীয় নদী – শতদ্রু, বিপাসা এবং ইরাবতী ভারতের কাছেই রয়েছে। ১৯৬০ সালের চুক্তি অনুসারে, ভারতে অবস্থিত সিন্ধু নদীর মোট জলের প্রায় ৩০ শতাংশ  আর বাকি ৭০ শতাংশ পেয়েছিল পাকিস্তান। ভারত তিন স্তরের কৌশল ঘোষণা করেছে- স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী। এর মাধ্যমে সিন্ধু নদীর জল পাকিস্তানে প্রবাহ রোধ করা হবে।  এই সপ্তাহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জলসম্পদ মন্ত্রী পাতিল, বিদ্যুৎ মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর, কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত হওয়ার পর থেকে, অমিত শাহ, পাতিল এবং মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে ইতিমধ্যে দু’টি বৈঠক হয়েছে।

আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে উত্তেজনার মধ্যেই সফলভাবে হল স্পেশাল ট্রেনের ট্রায়াল

 

আরও পড়ুন: পুলওয়ামার ত্রালে সেনার গুলিতে নিহত ৩ জঙ্গি

আরও পড়ুন: কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে কুরুচিকর মন্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের তিরস্কার বিজেপি মন্ত্রীকে