০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পঞ্চায়েত প্রধান বাংলাদেশি! মহকুমাশাসকের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, মঙ্গলবার
  • / 5

মোল্লা জসিমউদ্দিন: চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে উঠে পঞ্চায়েত সংক্রান্ত মামলা।অভিযোগ, এক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তিনি এদেশের নাগরিকই নন! আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মহকুমাশাসককে এই ব্যাপারে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

আদালত সুত্রে প্রকাশ, মালদহের চাঁচলের একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন লাভলি খাতুন নামে এক মহিলা। দাখিল মামলায় অভিযোগ, -‘ তিনি আদৌ ভারতীয় নন, তিনি বাংলাদেশি নাগরিক। ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র বের করে তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এবং জেতার পর এই মুহূর্তে তিনি পঞ্চায়েত প্রধান! ‘ যদিও অভিযুক্ত লাভলি খাতুনের দাবি, -‘তিনি ভারতীয় নাগরিক এবং তাঁর কাছে যাবতীয় প্রমাণপত্র রয়েছে’।

একাংশ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, -‘ বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ দেখা দিতেই তাঁরা একাধিকবার বিডিওর কাছে জানিয়েছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই অভিযোগ জানান হয়েছিল। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি’। আরও দাবি,-‘ লাভলি খাতুনের জন্ম বাংলাদেশে। তারপর এদেশে আসার পর তাঁকে দত্তক নেওয়া হয়েছিল। পরে এক ভারতীয়র সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়’। নথি বিকৃত করে লাভলি খাতুন জাল শংসাপত্র বের করেছেন বলেই দাবি।

চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ওঠার পর দুই পক্ষের বক্তব্য শোনেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তারপর নির্দেশ দেন, -‘ আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সমস্ত অভিযোগ শুনতে হবে মালদহের চাঁচলের মহকুমা শাসককে। পাশাপাশি লাভলি খাতুনকে তাঁর ভারতীয় হওয়ার সব নথি হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে আদালতে। মহকুমা শাসককেও হলফনামা আকারে রিপোর্ট জমা দিতে হবে’। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে ।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পঞ্চায়েত প্রধান বাংলাদেশি! মহকুমাশাসকের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

আপডেট : ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, মঙ্গলবার

মোল্লা জসিমউদ্দিন: চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে উঠে পঞ্চায়েত সংক্রান্ত মামলা।অভিযোগ, এক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তিনি এদেশের নাগরিকই নন! আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মহকুমাশাসককে এই ব্যাপারে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

আদালত সুত্রে প্রকাশ, মালদহের চাঁচলের একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন লাভলি খাতুন নামে এক মহিলা। দাখিল মামলায় অভিযোগ, -‘ তিনি আদৌ ভারতীয় নন, তিনি বাংলাদেশি নাগরিক। ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র বের করে তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এবং জেতার পর এই মুহূর্তে তিনি পঞ্চায়েত প্রধান! ‘ যদিও অভিযুক্ত লাভলি খাতুনের দাবি, -‘তিনি ভারতীয় নাগরিক এবং তাঁর কাছে যাবতীয় প্রমাণপত্র রয়েছে’।

একাংশ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, -‘ বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ দেখা দিতেই তাঁরা একাধিকবার বিডিওর কাছে জানিয়েছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই অভিযোগ জানান হয়েছিল। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি’। আরও দাবি,-‘ লাভলি খাতুনের জন্ম বাংলাদেশে। তারপর এদেশে আসার পর তাঁকে দত্তক নেওয়া হয়েছিল। পরে এক ভারতীয়র সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়’। নথি বিকৃত করে লাভলি খাতুন জাল শংসাপত্র বের করেছেন বলেই দাবি।

চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ওঠার পর দুই পক্ষের বক্তব্য শোনেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তারপর নির্দেশ দেন, -‘ আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সমস্ত অভিযোগ শুনতে হবে মালদহের চাঁচলের মহকুমা শাসককে। পাশাপাশি লাভলি খাতুনকে তাঁর ভারতীয় হওয়ার সব নথি হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে আদালতে। মহকুমা শাসককেও হলফনামা আকারে রিপোর্ট জমা দিতে হবে’। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে ।