২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজার সাহায্যে অর্থ সংগ্রহ, যোগী রাজ্যে ইমামের বিরুদ্ধে মামলা পুলিশের

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 45

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইসরাইলি আগ্রাসনে ধুলোয় মিশে গিয়েছে গাজা। ইহুদিবাদী সেনাদের হামলায় গৃহহীন হয়ে অনাহারে জীবনযাপন করছেন ফিলিস্থিনিরা। গাজাবাসীর দুর্দশা ও অসহয়তা দেখে কিছু সাহায্য পাঠাতে চেয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের এক মসজিদের ইমাম।

সে মত এলাকায় অর্থ সংগ্রহ শুরু করছিলেন উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের শেরকোট শহরের জামা মসজিদের ইমাম মৌলানা জাকি। গাজাবাসীর সহায়তার জন্য অর্থ সংগ্রহের মধ্যেই ইমাম সহ তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে যোগী পুলিশ। ইতিমধ্যে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। প্রাসানের এই পদক্ষেপে রীতিমত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় মুসলিমরা। তাঁদের বক্তব্য, মানবিকতার কথা ভেবে গাজায় সাহায্য পাঠানো জন্য অর্থ সংগ্রহে কেনো বাঁধা দেওয়া হবে? কেনো পুলিশ মামলা দায়ের করবে? তারা কোনও অপরাধ করেনি। শুধুমাত্র অর্থই সংগ্রহ করছিল। পুলিশি পদক্ষেপকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর আক্রমণ বলেই মত তাদের।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকার ইরশাদ নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি ইমামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগে ইরশাদ অভিযোগ করেন, মাওলানা জাকি ও তার দল গাজার নামে লোকজনের কাছ থেকে জোরপূর্বক অর্থ সংগ্রহ করছে। যারা অর্থ দিতে অস্বীকার করছে তাদের হুমকি দিচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। এমন অভিযোগ পাওয়ার পরই মামলা দায়ের করা হয়েছে। আফজলগড়ের সিও রাজেশ সোলাঙ্কি জানিয়েছেন, “সংগৃহীত অর্থ গাজায় পাঠানো হয়েছে কিনা এবং বিদেশি অর্থায়ন বা আর্থিক আইন সংক্রান্ত কোনো নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছে কিনা তাও আমরা খতিয়ে দেখছি।”

আরও পড়ুন: পুলিশের উর্দি পরে বাইক নিয়ে কেরামতি, সাসপেন্ড কনস্টেবল

ইমামের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ উঠেছে তা অস্বীকার করেছেন মৌলানা জাকি। এদিকে পুলিশি এই পদক্ষেপকে বিভাজনের রাজনীতির অংশ হিসেবেই দেখছেন স্থানীয়রা। বাসিন্দাদের একাংশ বলেছেন, অভিযোগগুলো ‘ভুয়া’ এবং ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। শেরকোটের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আবদুল হামিদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে। মাওলানা জাকি শুধু গাজার দুর্গত মানুষের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিলেন। এটি একটি মহৎ কাজ ছিল। অসহায় ও নিপীড়িত মানুষদের সাহায্য করা কি অপরাধ!”

আরও পড়ুন: আতিক পুত্র আসাদের মৃত্যু ‘ এনকাউন্টারে’! প্রশ্নের মুখে ইউপি পুলিশের দাবি

আরও পড়ুন: বিতর্কে ‘ইউপি মে কা বা’ গান খ্যাত শিল্পী নেহা, নোটিশ পাঠাল ইউপি পুলিশ

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গাজার সাহায্যে অর্থ সংগ্রহ, যোগী রাজ্যে ইমামের বিরুদ্ধে মামলা পুলিশের

আপডেট : ১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইসরাইলি আগ্রাসনে ধুলোয় মিশে গিয়েছে গাজা। ইহুদিবাদী সেনাদের হামলায় গৃহহীন হয়ে অনাহারে জীবনযাপন করছেন ফিলিস্থিনিরা। গাজাবাসীর দুর্দশা ও অসহয়তা দেখে কিছু সাহায্য পাঠাতে চেয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের এক মসজিদের ইমাম।

সে মত এলাকায় অর্থ সংগ্রহ শুরু করছিলেন উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের শেরকোট শহরের জামা মসজিদের ইমাম মৌলানা জাকি। গাজাবাসীর সহায়তার জন্য অর্থ সংগ্রহের মধ্যেই ইমাম সহ তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে যোগী পুলিশ। ইতিমধ্যে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। প্রাসানের এই পদক্ষেপে রীতিমত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় মুসলিমরা। তাঁদের বক্তব্য, মানবিকতার কথা ভেবে গাজায় সাহায্য পাঠানো জন্য অর্থ সংগ্রহে কেনো বাঁধা দেওয়া হবে? কেনো পুলিশ মামলা দায়ের করবে? তারা কোনও অপরাধ করেনি। শুধুমাত্র অর্থই সংগ্রহ করছিল। পুলিশি পদক্ষেপকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর আক্রমণ বলেই মত তাদের।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই এলাকার ইরশাদ নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি ইমামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগে ইরশাদ অভিযোগ করেন, মাওলানা জাকি ও তার দল গাজার নামে লোকজনের কাছ থেকে জোরপূর্বক অর্থ সংগ্রহ করছে। যারা অর্থ দিতে অস্বীকার করছে তাদের হুমকি দিচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। এমন অভিযোগ পাওয়ার পরই মামলা দায়ের করা হয়েছে। আফজলগড়ের সিও রাজেশ সোলাঙ্কি জানিয়েছেন, “সংগৃহীত অর্থ গাজায় পাঠানো হয়েছে কিনা এবং বিদেশি অর্থায়ন বা আর্থিক আইন সংক্রান্ত কোনো নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছে কিনা তাও আমরা খতিয়ে দেখছি।”

আরও পড়ুন: পুলিশের উর্দি পরে বাইক নিয়ে কেরামতি, সাসপেন্ড কনস্টেবল

ইমামের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ উঠেছে তা অস্বীকার করেছেন মৌলানা জাকি। এদিকে পুলিশি এই পদক্ষেপকে বিভাজনের রাজনীতির অংশ হিসেবেই দেখছেন স্থানীয়রা। বাসিন্দাদের একাংশ বলেছেন, অভিযোগগুলো ‘ভুয়া’ এবং ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। শেরকোটের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আবদুল হামিদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে। মাওলানা জাকি শুধু গাজার দুর্গত মানুষের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিলেন। এটি একটি মহৎ কাজ ছিল। অসহায় ও নিপীড়িত মানুষদের সাহায্য করা কি অপরাধ!”

আরও পড়ুন: আতিক পুত্র আসাদের মৃত্যু ‘ এনকাউন্টারে’! প্রশ্নের মুখে ইউপি পুলিশের দাবি

আরও পড়ুন: বিতর্কে ‘ইউপি মে কা বা’ গান খ্যাত শিল্পী নেহা, নোটিশ পাঠাল ইউপি পুলিশ