প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলা: চাকরি হারানো প্যারাটিচারদের পক্ষ থেকে সিঙ্গল বেঞ্চের রায় খারিজের দাবি

- আপডেট : ৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 393
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলা ঘিরে নতুন মোড়—চাকরি খোয়ানো প্যারাটিচারদের তরফে শুরু হলো ডিভিশন বেঞ্চে আপিল। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত প্যারাটিচাররা এবার নিজেদের যুক্তি তুলে ধরলেন ডিভিশন বেঞ্চে।
ডিভিশন বেঞ্চে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে প্যারাটিচারদের পক্ষে সওয়াল করেন তাঁদের আইনজীবী। তিনি জানান, “দীর্ঘদিন ধরে কম বেতনে প্যারাটিচাররা স্কুলে শিক্ষকতার কাজ করেছেন। অথচ তাঁদের বক্তব্য শোনা হয়নি, সরাসরি চাকরি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।”
আইনজীবীর দাবি, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে শূন্যপদের ১০% সংরক্ষিত ছিল প্যারাটিচারদের জন্যে, সেই কোটা অনুসারেই তাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন। এই কোটা না মানা হলে, নিয়োগ প্রক্রিয়ার বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
তিনি আরও বলেন, “সিঙ্গল বেঞ্চের রায় একতরফা এবং ঢালাও। এত মানুষের জীবন জড়িয়ে রয়েছে, অথচ আমাদের বক্তব্য না শুনেই চাকরি বাতিল করা হয়েছে। আমরা যদি আদালতের ওপর আস্থা না রাখতাম, তাহলে আমরাও আন্দোলনে বসতাম।”
এই মামলার কেন্দ্রে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ৩২ হাজার শিক্ষক, যাঁদের নিয়োগে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে নিয়োগ বাতিল হওয়ার পরই বিভিন্ন কোটাভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে শুরু হয় আপিল।
এই দিন ল্যান্ড লুজর ক্যাটাগরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পক্ষ থেকেও সওয়াল করেন তাঁদের আইনজীবী। তিনি জানান, “আমার মক্কেলরা সরকারের কাজে জমি দিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে বৈধ সার্টিফিকেট পেশ করে তাঁরা চাকরি পেয়েছেন। মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলায় এই কোটার বহু পদ খালি ছিল। আবেদনকারীও কম ছিল। অ্যাপটিটিউড টেস্টের প্রয়োজনীয়তা এখানে নেই।”
আইনজীবীর বক্তব্য অনুযায়ী, ল্যান্ড লুজর কোটাও সরকার স্বীকৃত এবং নির্দিষ্ট শূন্যপদের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে।
বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, “যেমন অন্য অনেকে মামলার অংশ ছিলেন না, তেমনই প্যারাটিচাররাও সরাসরি মামলায় যুক্ত ছিলেন না। ফলে তাঁদের বক্তব্য শোনা হয়নি।”
এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ১৪ জুলাই, যখন WB Primary Teacher Termination Case-এর ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হতে পারে।