১৪ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জো বাইডেনের সফরের বিরুদ্ধে গাজায় বিক্ষোভ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২২, শুক্রবার
  • / 118

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মধ্যপ্রাচ্য সফরের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলে অবতরণ করার পরই বিক্ষোভ শুরু হয় ফিলিস্তিনের ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক ও গাজায়। হাজার হাজার সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ফিলস্তিনি মিডিয়া ও মানবাধিকারকর্মীরা বাইডেনের সফরের বিরোধিতা শুরু করেন।

 

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে গাজাবাসীর আনন্দ, তবে আছে উৎকণ্ঠাও

ফিলিস্তিনের মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন গাজায় আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে ঘোষণা করে, আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ-কে হত্যা করার কারণে গণমাধ্যম ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর উচিত ইসরাইলকে পুরোপুরি বয়কট করা।

আরও পড়ুন: কে রুখবে নেতানিয়াহুকে? ট্রাম্পের শান্তি আহ্বান অগ্রাহ্য করে গাজায় ইসরাইলের ভয়াবহ হামলা, নিহত ৭০

 

আরও পড়ুন: মাঝ পথেই থেমে গেল গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা, আটক শেষ জাহাজটিও

ফিলিস্তিনি মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ আবু কামারও বলেছেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ইসরাইল যে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে তাতে আমেরিকাও সরাসরি জড়িত। ফিলিস্তিনের অন্যান্য সংগঠনও জো বাইডেনের ইসরাইল সফরের বিরোধিতা করেছে। সকলেই সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ হত্যার বিচার দাবি করছে। ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলন বলেছে, বাইডেনের বেথলেহেম শহরে সফর ফিলিস্তিনি ইস্যুতে কোনও লাভ বয়ে আনবে না। এই সফরের মাধ্যমে শুধুমাত্র দখলদার ইহুদি শাসকগণ লাভবান হবে।

 

ইসলামি জিহাদের মতে, মুসলিম ও আরব বিশ্বের জন্য এ সফর ভালো কিছু নয়। ইসলামি জিহাদের জ্যেষ্ঠ নেতা আহমাদ আল-মুদাল্লাল বলেন, ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে এই সফর কোনও ভূমিকা রাখতে পারবে না। আরও বলেন, শুধুমাত্র আরব বিশ্বের ওপর জায়নবাদী ইসরাইল ও আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করা এবং তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করার লক্ষ্যে বাইডেনের এ সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

 

মুদাল্লালের মতে, বাইডেনের চলমান মধ্যপ্রাচ্য সফরের আরেকটি মূল লক্ষ্য ফিলিস্তিন ইস্যুকে চিরতরে মুছে ফেলে দখলদার ইসরাইল সরকারকে একটি বৈধ রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং এ অঞ্চলে ইরান-ভীতি ছড়িয়ে দেওয়া যাতে পারস্য উপসাগরীয় আরব দেশগুলো ওয়াশিংটন ও তেল আবিবের ওপর নির্ভরশীল থাকে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জো বাইডেনের সফরের বিরুদ্ধে গাজায় বিক্ষোভ

আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মধ্যপ্রাচ্য সফরের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলে অবতরণ করার পরই বিক্ষোভ শুরু হয় ফিলিস্তিনের ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক ও গাজায়। হাজার হাজার সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ফিলস্তিনি মিডিয়া ও মানবাধিকারকর্মীরা বাইডেনের সফরের বিরোধিতা শুরু করেন।

 

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে গাজাবাসীর আনন্দ, তবে আছে উৎকণ্ঠাও

ফিলিস্তিনের মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন গাজায় আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে ঘোষণা করে, আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ-কে হত্যা করার কারণে গণমাধ্যম ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর উচিত ইসরাইলকে পুরোপুরি বয়কট করা।

আরও পড়ুন: কে রুখবে নেতানিয়াহুকে? ট্রাম্পের শান্তি আহ্বান অগ্রাহ্য করে গাজায় ইসরাইলের ভয়াবহ হামলা, নিহত ৭০

 

আরও পড়ুন: মাঝ পথেই থেমে গেল গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা, আটক শেষ জাহাজটিও

ফিলিস্তিনি মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মুহাম্মদ আবু কামারও বলেছেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ইসরাইল যে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে তাতে আমেরিকাও সরাসরি জড়িত। ফিলিস্তিনের অন্যান্য সংগঠনও জো বাইডেনের ইসরাইল সফরের বিরোধিতা করেছে। সকলেই সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ হত্যার বিচার দাবি করছে। ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলন বলেছে, বাইডেনের বেথলেহেম শহরে সফর ফিলিস্তিনি ইস্যুতে কোনও লাভ বয়ে আনবে না। এই সফরের মাধ্যমে শুধুমাত্র দখলদার ইহুদি শাসকগণ লাভবান হবে।

 

ইসলামি জিহাদের মতে, মুসলিম ও আরব বিশ্বের জন্য এ সফর ভালো কিছু নয়। ইসলামি জিহাদের জ্যেষ্ঠ নেতা আহমাদ আল-মুদাল্লাল বলেন, ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে এই সফর কোনও ভূমিকা রাখতে পারবে না। আরও বলেন, শুধুমাত্র আরব বিশ্বের ওপর জায়নবাদী ইসরাইল ও আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করা এবং তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করার লক্ষ্যে বাইডেনের এ সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

 

মুদাল্লালের মতে, বাইডেনের চলমান মধ্যপ্রাচ্য সফরের আরেকটি মূল লক্ষ্য ফিলিস্তিন ইস্যুকে চিরতরে মুছে ফেলে দখলদার ইসরাইল সরকারকে একটি বৈধ রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং এ অঞ্চলে ইরান-ভীতি ছড়িয়ে দেওয়া যাতে পারস্য উপসাগরীয় আরব দেশগুলো ওয়াশিংটন ও তেল আবিবের ওপর নির্ভরশীল থাকে।