০৩ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যৌনবর্ধক ওষুধ খেয়ে ধর্ষণ, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু উত্তরপ্রদেশের ধর্ষিতা কলেজ ছাত্রীর

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২২, সোমবার
  • / 87

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গ থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু, এমনটাই জানিয়ে দিলেন ইউ পি’র এক হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। উত্তরপ্রদেশে উন্নাওতে এক কলেজ পড়ুয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় ফের যোগী রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে।
অভিযুক্ত যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর ওষুধ খেয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বাড়িতে একা থাকার সুযোগ নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। বোন বাড়ি ফিরে এসে দেখে দিদি অচৈতন্য অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে। ঘটনায় ২৫ বছর যুবক রাজ গৌতমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে যৌনাঙ্গ থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

জেরার মুখে অভিযুক্ত জানিয়েছে যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর ওষুধ খেয়ে এই নারকীয় কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে সে। নির্যাতিতা বাধা দিলেও সে তার নারকীয় অত্যাচার চালাতে থাকে। পরে নির্যাতিতা অজ্ঞান হয়ে যায়, আর তার রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এর পরে ভয় পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত রাজ গৌতম।

আরও পড়ুন: ৮০ বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন ইসরাইলের, লাগাতার বিমান হামলায় বাড়ছে নিহতের সংখ্যা

নির্যাতিতার বোন রক্তাক্ত অবস্থায় দিদিকে হাসপাতালে ভর্তি করে, সেখানেই চিকিৎসকেরা জানান যৌনাঙ্গ থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয়েছে তার। দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে ধর্ষণে নির্যাতিতার যৌনাঙ্গ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: ভারত হিন্দু রাষ্ট্র নয়, এটা ধর্মনিরপেক্ষ দেশ: অখিলেশের পাশে দাঁড়িয়ে যোগীকে তোপ আলভির

নির্যাতিতার বাবা প্রথমে এই ঘটনায় তার এক প্রতিবেশী সহ ৬৫ বছরের মহিলার দিকে অভিযোগ তুলেছিলেন। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ নির্যাতিতার মোবাইল ফোনের তথ্যের ভিত্তিতে গৌতমকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে দলিত যুবককে পিটিয়ে হত্যা, সরব রাহুল গান্ধি

পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ শঙ্কর সাংবাদিকদের জানান, জেরা চলাকালীন ধর্ষক রাজ গৌতম পুলিশকে জানায়, বাড়িতে একা থাকার সুযোগ নিয়ে সে ওই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। মেয়েটির রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ার পর সে ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

যৌনবর্ধক ওষুধ খেয়ে ধর্ষণ, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু উত্তরপ্রদেশের ধর্ষিতা কলেজ ছাত্রীর

আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২২, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গ থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু, এমনটাই জানিয়ে দিলেন ইউ পি’র এক হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। উত্তরপ্রদেশে উন্নাওতে এক কলেজ পড়ুয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় ফের যোগী রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে।
অভিযুক্ত যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর ওষুধ খেয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বাড়িতে একা থাকার সুযোগ নিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। বোন বাড়ি ফিরে এসে দেখে দিদি অচৈতন্য অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে। ঘটনায় ২৫ বছর যুবক রাজ গৌতমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে যৌনাঙ্গ থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

জেরার মুখে অভিযুক্ত জানিয়েছে যৌন উত্তেজনা বাড়ানোর ওষুধ খেয়ে এই নারকীয় কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে সে। নির্যাতিতা বাধা দিলেও সে তার নারকীয় অত্যাচার চালাতে থাকে। পরে নির্যাতিতা অজ্ঞান হয়ে যায়, আর তার রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এর পরে ভয় পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত রাজ গৌতম।

আরও পড়ুন: ৮০ বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন ইসরাইলের, লাগাতার বিমান হামলায় বাড়ছে নিহতের সংখ্যা

নির্যাতিতার বোন রক্তাক্ত অবস্থায় দিদিকে হাসপাতালে ভর্তি করে, সেখানেই চিকিৎসকেরা জানান যৌনাঙ্গ থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয়েছে তার। দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে ধর্ষণে নির্যাতিতার যৌনাঙ্গ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: ভারত হিন্দু রাষ্ট্র নয়, এটা ধর্মনিরপেক্ষ দেশ: অখিলেশের পাশে দাঁড়িয়ে যোগীকে তোপ আলভির

নির্যাতিতার বাবা প্রথমে এই ঘটনায় তার এক প্রতিবেশী সহ ৬৫ বছরের মহিলার দিকে অভিযোগ তুলেছিলেন। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ নির্যাতিতার মোবাইল ফোনের তথ্যের ভিত্তিতে গৌতমকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে দলিত যুবককে পিটিয়ে হত্যা, সরব রাহুল গান্ধি

পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ শঙ্কর সাংবাদিকদের জানান, জেরা চলাকালীন ধর্ষক রাজ গৌতম পুলিশকে জানায়, বাড়িতে একা থাকার সুযোগ নিয়ে সে ওই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। মেয়েটির রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ার পর সে ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।