০৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘রেড লাইন অতিক্রম নয়’ – আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, শনিবার
  • / 52

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ আমেরিকা যদি ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয় তবে তারা ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করবে এবং সরাসরি সংঘাতের একটি অংশ হয়ে উঠবে। আমেরিকাকে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে লক্ষাধিক সেনা নিয়ে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া।

 

আরও পড়ুন: তালিবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া, আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে কিয়েভকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে আমেরিকা। সম্প্রতি কিয়েভকে নতুন প্রজন্মের শক্তিশালী অস্ত্র দেওয়া শুরু করেছে ওয়াশিংটন। যার ফলে ইউক্রেনে যুদ্ধের ময়দানে অনেকটা বেকায়দায় পড়েছে রুশ বাহিনী। দখলে নেওয়া অনেক এলাকায় ইতিমধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্যাকফুটে মস্কো।

আরও পড়ুন: ৪৭ বছর ধরে আমেরিকায় থাকা ইরানি নারীকে গ্রেফতার

 

আরও পড়ুন: আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের মুখ ফসকে মন্তব্য: ‘ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে’

সূত্রের খবর, ওয়াশিংটন কিয়েভকে উন্নত রকেট সরবরাহ করেছে। এগুলো হিমার্স থেকে ছোড়া হচ্ছে। এই রকেটগুলি ৮০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এই পরিস্থিতিতে রুশ বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষা করার অধিকার রাশিয়ার আছে। ওয়াশিংটন যদি কিয়েভকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেয় তবে তারা ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করবে’। তবে এই হুঁশিয়ারি আমেরিকার নীতিতে বিশেষ পরিবর্তন আনবে না তা বলাই যায়। কারণ, নতুন করে ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করেছে বাইডেন সরকার।

 

এসব দেখে আমেরিকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতলি অ্যান্তোনভ বলেছেন, এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ইউক্রেন সংঘাতে আমেরিকা প্রকাশ্যে একটি পক্ষ।  ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে যতটুকু সফলতা এসেছে তা পেন্টাগনের সরাসরি যুক্ত থাকার কারণেই সম্ভব হয়েছে।  এক সাক্ষাৎকারে অ্যান্তোনভ বলেন, ‘এ অবস্থায় ওয়াশিংটন যে নিরপেক্ষতার দাবি করে তা একেবারে হাস্যকর ও ভিত্তিহীন।’

 

রুশ রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘বর্তমানে পশ্চিমা মিডিয়ার ভিডিয়োতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, সাবলীলভাবে ব্রিটিশ ও আমেরিকান ইংরেজিতে কথা বলা অনেক সৈন্য ইউক্রেনে আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।’ অ্যান্তোনভ বলেন, আমেরিকা ইউক্রেনকে তার অপ্রচলিত অস্ত্রের ডাম্পিং গ্রাউন্ড বানিয়েছে। অন্যদিকে ন্যাটো তার সামরিক সরঞ্জামগুলোর পরীক্ষাগার হিসেবে ইউক্রেনকে ব্যবহার করছে। এছাড়া ইউক্রেনের যুদ্ধের মাধ্যমে মার্কিন সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্সের অসীম চাহিদাও কিছুটা মিটছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘রেড লাইন অতিক্রম নয়’ – আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ আমেরিকা যদি ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয় তবে তারা ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করবে এবং সরাসরি সংঘাতের একটি অংশ হয়ে উঠবে। আমেরিকাকে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে লক্ষাধিক সেনা নিয়ে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া।

 

আরও পড়ুন: তালিবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া, আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বার্তা

বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে কিয়েভকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে আমেরিকা। সম্প্রতি কিয়েভকে নতুন প্রজন্মের শক্তিশালী অস্ত্র দেওয়া শুরু করেছে ওয়াশিংটন। যার ফলে ইউক্রেনে যুদ্ধের ময়দানে অনেকটা বেকায়দায় পড়েছে রুশ বাহিনী। দখলে নেওয়া অনেক এলাকায় ইতিমধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্যাকফুটে মস্কো।

আরও পড়ুন: ৪৭ বছর ধরে আমেরিকায় থাকা ইরানি নারীকে গ্রেফতার

 

আরও পড়ুন: আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের মুখ ফসকে মন্তব্য: ‘ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে’

সূত্রের খবর, ওয়াশিংটন কিয়েভকে উন্নত রকেট সরবরাহ করেছে। এগুলো হিমার্স থেকে ছোড়া হচ্ছে। এই রকেটগুলি ৮০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এই পরিস্থিতিতে রুশ বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষা করার অধিকার রাশিয়ার আছে। ওয়াশিংটন যদি কিয়েভকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেয় তবে তারা ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করবে’। তবে এই হুঁশিয়ারি আমেরিকার নীতিতে বিশেষ পরিবর্তন আনবে না তা বলাই যায়। কারণ, নতুন করে ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করেছে বাইডেন সরকার।

 

এসব দেখে আমেরিকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতলি অ্যান্তোনভ বলেছেন, এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ইউক্রেন সংঘাতে আমেরিকা প্রকাশ্যে একটি পক্ষ।  ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে যতটুকু সফলতা এসেছে তা পেন্টাগনের সরাসরি যুক্ত থাকার কারণেই সম্ভব হয়েছে।  এক সাক্ষাৎকারে অ্যান্তোনভ বলেন, ‘এ অবস্থায় ওয়াশিংটন যে নিরপেক্ষতার দাবি করে তা একেবারে হাস্যকর ও ভিত্তিহীন।’

 

রুশ রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘বর্তমানে পশ্চিমা মিডিয়ার ভিডিয়োতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, সাবলীলভাবে ব্রিটিশ ও আমেরিকান ইংরেজিতে কথা বলা অনেক সৈন্য ইউক্রেনে আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।’ অ্যান্তোনভ বলেন, আমেরিকা ইউক্রেনকে তার অপ্রচলিত অস্ত্রের ডাম্পিং গ্রাউন্ড বানিয়েছে। অন্যদিকে ন্যাটো তার সামরিক সরঞ্জামগুলোর পরীক্ষাগার হিসেবে ইউক্রেনকে ব্যবহার করছে। এছাড়া ইউক্রেনের যুদ্ধের মাধ্যমে মার্কিন সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্সের অসীম চাহিদাও কিছুটা মিটছে।