আন্দোলন না করে স্কুলে ফিরুন চাকরি হারা শিক্ষকরা, আর্জি ফিরহাদের
- আপডেট : ১৬ মে ২০২৫, শুক্রবার
- / 297
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সম্প্রতি চাকরি খুয়েছেন রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারি। চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে পথে নেমেছেন চাকরিহারা শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা। অযোগ্যদের বাতিল করে যোগ্যদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে গত দশ দিন ধরেই সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে চলছিল ধর্না-বিক্ষোভ কর্মসূচি।
যদিও চাকরিহারাদের বিক্ষোভের জেরে বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় বিকাশ ভবন চত্ত্বরে। গত বৃহস্পতিবার ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’-এর বিকাশ ভবন ঘেরাও অভিযানে থাকা বিক্ষোভকারীরা পুলিশি ব্যারিকেড টপকে একসময় বিকাশ ভবনে প্রবেশ করার চেষ্টা করলেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে কার্যত রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করে। ওই সময় বিক্ষোভকারী সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি এবং চাকরিহারাদের উপর পুলিশের আক্রমনের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে ওঠে নিন্দার ঝড়।
গত বৃহস্পতিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে শুক্রবার কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমার মনে হয় আন্দোলনকারী চাকরিহারারা সম্ভবত মিস গাইড্ডে হচ্ছেন।তার কারণ, আপনি এখানে যতই আন্দলন করুন, সুপ্রিম কোর্টের রায় একমাত্র সুপ্রিম কোর্টেই পরিবর্তন হতে পারে। কোন আন্দোলনের মাধ্যমে, কোনো নেতার উসকানিতে সুপ্রিম কোর্টের রায় কখনও পরিবর্তন হয়না।’
আন্দোলনরত শিক্ষকদের উদ্দেশে এদিন মেয়র ফিরহাদ হাকিম আরও বলেন, আন্দোলন-বিক্ষোভ না করে শিক্ষকদের উচিত স্কুলে গিয়ে ছাত্রদের পাঠদান করা। শিক্ষকরা যদি স্কুলে গিয়ে পড়ান, তাহলে অন্তত সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে আপিল করে বলা হবে যে এতগুলো ছাত্রদের ভবিষ্যত কী হবে? কিন্তু শিক্ষকদের যারা বিপথে চালিত করছেন, তারা আসলে শিক্ষকদেরই ক্ষতি করছেন। বিরোধীরা প্ররোচনা দিয়ে ক্ষতি করছেন বলে অভিযোগ করে তাঁর দাবি, একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা রাখুন
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এই লড়াই তাঁর, তিনি লড়বেন । সবার পাশেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন বলেও জানান ফিরহাদ হাকিম।সল্টলেকের সাধারণ মানুষের অসুবিধা করে আন্দোলন না করারও আর্জি জানান তিনি।বিজেপির প্রাক্তন সংসদ জন বারলার তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ বলেন, গোটা রাজ্যেই বিজেপি ব্যর্থ। বাংলায় বিজেপি বলে কিছু আছে নাকি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।


















































