১৯ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তহবিল সঙ্কটে বর্ষায় স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রোহিঙ্গারা: জাতিসঙ্ঘ

মোক্তার হোসেন মন্ডল
  • আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২৫, শনিবার
  • / 19

প্রবল বর্ষার কারণে কক্সবাজারের শিবিরে আশ্রিত লাখ লাখ রোহিঙ্গা বর্তমানে তীব্র স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়েছেন। তহবিল সঙ্কট পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)।

বিশ্বের বৃহত্তম ও ঘনবসতিপূর্ণ এই শরণার্থী শিবিরে জীবন সবসময়ই কষ্টকর, তবে বর্ষার মৌসুমে দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। ভূমিধস, জলাবদ্ধতা, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়া এবং বিশুদ্ধ পানির সংকট রোহিঙ্গাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন নতুন সমস্যা তৈরি করছে।

ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের দিয়ে রাস্তা মেরামত ও পাহাড়ি ঢাল শক্তিশালীকরণের মতো কাজ করিয়ে বিনিময়ে পারিশ্রমিক দেয়া হতো। এতে তারা পরিবারে অতিরিক্ত খাবার কিনতে পারতেন। কিন্তু বৈশ্বিক তহবিল সঙ্কটের কারণে এই প্রকল্প এখন বন্ধের পথে।

আগে যেখানে ৩০-৪০ জন রোহিঙ্গা এসব কাজের সুযোগ পেতেন, বর্তমানে সেখানে ৭-৮ জনকেও নিয়োগ দেয়া যাচ্ছে না। এর ফলে রাস্তাঘাট, সেতু, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও টয়লেটের সংস্কার কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে, যা বর্ষাকালে তাদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মানবিক সহায়তার অর্থ বরাদ্দ কমে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী শরণার্থী জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রায় সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তহবিল সঙ্কটে বর্ষায় স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রোহিঙ্গারা: জাতিসঙ্ঘ

আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২৫, শনিবার

প্রবল বর্ষার কারণে কক্সবাজারের শিবিরে আশ্রিত লাখ লাখ রোহিঙ্গা বর্তমানে তীব্র স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়েছেন। তহবিল সঙ্কট পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)।

বিশ্বের বৃহত্তম ও ঘনবসতিপূর্ণ এই শরণার্থী শিবিরে জীবন সবসময়ই কষ্টকর, তবে বর্ষার মৌসুমে দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। ভূমিধস, জলাবদ্ধতা, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়া এবং বিশুদ্ধ পানির সংকট রোহিঙ্গাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন নতুন সমস্যা তৈরি করছে।

ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের দিয়ে রাস্তা মেরামত ও পাহাড়ি ঢাল শক্তিশালীকরণের মতো কাজ করিয়ে বিনিময়ে পারিশ্রমিক দেয়া হতো। এতে তারা পরিবারে অতিরিক্ত খাবার কিনতে পারতেন। কিন্তু বৈশ্বিক তহবিল সঙ্কটের কারণে এই প্রকল্প এখন বন্ধের পথে।

আগে যেখানে ৩০-৪০ জন রোহিঙ্গা এসব কাজের সুযোগ পেতেন, বর্তমানে সেখানে ৭-৮ জনকেও নিয়োগ দেয়া যাচ্ছে না। এর ফলে রাস্তাঘাট, সেতু, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও টয়লেটের সংস্কার কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে, যা বর্ষাকালে তাদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মানবিক সহায়তার অর্থ বরাদ্দ কমে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী শরণার্থী জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রায় সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।