০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামিন পেলেন তৃণমূলের সাকেত

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৮ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 68

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ মোদির সম্পর্কে একটি ট্যুইট করায় ২ দিনের  পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখেলকে। মঙ্গলবার ভোররাতে জয়পুর বিমানবন্দর থেকে তাকে  গ্রেফতার করেছিল গুজরাত পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আহমদাবাদের একটি আদালত।

 

আরও পড়ুন: বিজেপি সহ বিরোধী দল থেকে প্রায় ১৯০০ জন কর্মী সমর্থকের তৃনমূলে যোগদান

বৃহস্পতিবার জামিন পেয়েছেন সাকেত। এদিন তার জামিনের পরপরই সেই খবর ট্যুইট করে জানান তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি বলেন, নির্ভীক সাকেত আহমদাবাদে কয়েক মিনিট আগে জামিন পেয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  অনুপ্রেরণায় আমরা সবাই ন্যায়ের পক্ষে লড়াইয়ের জন্য সর্বদা প্রস্তুত।

আরও পড়ুন: Trinamool protest stage: গান্ধিমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের মঞ্চ খুলছিল সেনা, খবর পেয়েই পৌঁছলেন মমতা

 

আরও পড়ুন: Trinamool Congress: যৌথ সংসদীয় কমিটি বয়কটের সিদ্ধান্ত তৃণমূলের

সাকেতের গ্রেফতারি রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। সামান্য একটি ট্যুইটের জন্য এভাবে গ্রেফতার করা নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। একে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে অভিহিত করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তিনি বলেছিলেন,  প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি সামান্য ট্যুইট করায় ওকে গ্রেফতার করা হল! আমার বিরুদ্ধেও তো কত ট্যুইট হয়।

 

সাকেত বলেছিলেন, যাদের গাফিলতিতে ব্রিজ ভাঙল তাদের কিছু হল না। আর মজা করে একটি ট্যুইট করায় গ্রেফতার হতে হল আমাকে। প্রসঙ্গত, একটি ভুয়ো তথ্য দিয়ে ট্যুইটের জন্য সাকেতকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গুজরাতে মোরবি ব্রিজ বিপর্যয়ের পর মোদি সেই স্থল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। এই ঘটনায় প্রায় ১৪১ জন প্রাণ হারান। মোদির পরিদর্শনকে কটাক্ষ করতে সাকেত একটি ট্যুইট করেছিলেন যে আরটিআই মারফত জানা গিয়েছে, এতে সরকারের ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

 

পুলিশের দাবি, এমন কোনও আরটিআই হয়নি। জাল আরটিআই নথি দেখানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল। সাকেতের পক্ষ নিয়ে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন,  বিজেপি যদি মনে করে এতে আমরা ভয় পেয়ে মাথা নোয়াবো, তাহলে সেটা হবে তাদের মূর্খামি।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জামিন পেলেন তৃণমূলের সাকেত

আপডেট : ৮ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ মোদির সম্পর্কে একটি ট্যুইট করায় ২ দিনের  পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখেলকে। মঙ্গলবার ভোররাতে জয়পুর বিমানবন্দর থেকে তাকে  গ্রেফতার করেছিল গুজরাত পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আহমদাবাদের একটি আদালত।

 

আরও পড়ুন: বিজেপি সহ বিরোধী দল থেকে প্রায় ১৯০০ জন কর্মী সমর্থকের তৃনমূলে যোগদান

বৃহস্পতিবার জামিন পেয়েছেন সাকেত। এদিন তার জামিনের পরপরই সেই খবর ট্যুইট করে জানান তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি বলেন, নির্ভীক সাকেত আহমদাবাদে কয়েক মিনিট আগে জামিন পেয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  অনুপ্রেরণায় আমরা সবাই ন্যায়ের পক্ষে লড়াইয়ের জন্য সর্বদা প্রস্তুত।

আরও পড়ুন: Trinamool protest stage: গান্ধিমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের মঞ্চ খুলছিল সেনা, খবর পেয়েই পৌঁছলেন মমতা

 

আরও পড়ুন: Trinamool Congress: যৌথ সংসদীয় কমিটি বয়কটের সিদ্ধান্ত তৃণমূলের

সাকেতের গ্রেফতারি রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল। সামান্য একটি ট্যুইটের জন্য এভাবে গ্রেফতার করা নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। একে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে অভিহিত করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তিনি বলেছিলেন,  প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি সামান্য ট্যুইট করায় ওকে গ্রেফতার করা হল! আমার বিরুদ্ধেও তো কত ট্যুইট হয়।

 

সাকেত বলেছিলেন, যাদের গাফিলতিতে ব্রিজ ভাঙল তাদের কিছু হল না। আর মজা করে একটি ট্যুইট করায় গ্রেফতার হতে হল আমাকে। প্রসঙ্গত, একটি ভুয়ো তথ্য দিয়ে ট্যুইটের জন্য সাকেতকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গুজরাতে মোরবি ব্রিজ বিপর্যয়ের পর মোদি সেই স্থল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। এই ঘটনায় প্রায় ১৪১ জন প্রাণ হারান। মোদির পরিদর্শনকে কটাক্ষ করতে সাকেত একটি ট্যুইট করেছিলেন যে আরটিআই মারফত জানা গিয়েছে, এতে সরকারের ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

 

পুলিশের দাবি, এমন কোনও আরটিআই হয়নি। জাল আরটিআই নথি দেখানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল। সাকেতের পক্ষ নিয়ে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন,  বিজেপি যদি মনে করে এতে আমরা ভয় পেয়ে মাথা নোয়াবো, তাহলে সেটা হবে তাদের মূর্খামি।