০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫৮ বছর ধরে পাকিস্তানের জেলে বন্দি সৈনিক বাবা, দেশে ফেরাতে মুর্মু-মোদিকে আবেদন ছেলের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, রবিবার
  • / 11

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: সেনা জওয়ানরা দেশের নিরাপত্তার জন্য নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করে। ত্যাগ-তীতিক্ষার মাধ্যমে সীমান্তকে নিরাপদ করে তোলে, যুদ্ধ রকে নিজ ভূমিকে হেফাজত করে। তাদেরকে এর প্রতিদান কীভাবে দেওয়া হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। কার্যত সেই প্রশ্নই তুলেছেন এক নির্ভীক সৈনিকের পুত্র বিদ্যাধর পাত্রি।

২০০৭ সালে তার বাবা আনন্দ পাত্রিকে পাকিস্তানের  জেল থেকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে তাদের শর্ত ছিল, তাকে ছাড়া হবে ‘সিভিলিয়ান’ হিসেবে। ভারত সরকার তা মেনে নিতে রাজি না হওয়ায় প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া থমকে যায়।

আজও পাকিস্তানের জেলে বসে ভারতের খোলা আকাশ দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন প্রাক্তন সেনা জওয়ান আনন্দ। আর এপারে তার ছেলের প্রশ্ন, বাবা  এত ত্যাগ স্বীকার করার পরও দেশ কি এভাবে তার প্রতিদান দেবে? রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র  মোদিকে বাবার মুক্তির ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন জানিয়েছে পুত্র।

এই ক্ষোভ স্বাভাবিক। কারণ তার বাবা দু-দশ বছরের জন্য পাকিস্তানের জেলে বন্দি নন। সেই ১৯৬৫ সালে ভারত- পাকিস্তান যুদ্ধের সময় আনন্দ পাকিস্তানের হাতে ধরা  পড়েন। তবে তিনি কোথায় আছেন তা পরিবারের কেউই  জানত না। যুদ্ধের সময় থেকেই তিনি নিখোঁজ।

২০০৩ সালে পুত্র বিদ্যাধরী জানতে পারেন, তার বাবা পাকিস্তানের জেলে বন্দি। জীবিত বাবার খবর পেয়ে তার মুক্তির জন্য  প্রশাসনের দুয়ারে ঘুরতে ঘুরতে জুতোর তলা ক্ষয় হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। এখন বাবার বয়স প্রায় ৮৮ বছর। প্রায় ৫৮ বছর ধরে পাকিস্তানের জেলেই রয়েছেন এই সেনা। ওড়িশাতে তাদের বাড়ি। বেঙ্গল ডিফেন্স রেজিমেন্টের হয়ে তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৫৮ বছর ধরে পাকিস্তানের জেলে বন্দি সৈনিক বাবা, দেশে ফেরাতে মুর্মু-মোদিকে আবেদন ছেলের

আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: সেনা জওয়ানরা দেশের নিরাপত্তার জন্য নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করে। ত্যাগ-তীতিক্ষার মাধ্যমে সীমান্তকে নিরাপদ করে তোলে, যুদ্ধ রকে নিজ ভূমিকে হেফাজত করে। তাদেরকে এর প্রতিদান কীভাবে দেওয়া হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। কার্যত সেই প্রশ্নই তুলেছেন এক নির্ভীক সৈনিকের পুত্র বিদ্যাধর পাত্রি।

২০০৭ সালে তার বাবা আনন্দ পাত্রিকে পাকিস্তানের  জেল থেকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে তাদের শর্ত ছিল, তাকে ছাড়া হবে ‘সিভিলিয়ান’ হিসেবে। ভারত সরকার তা মেনে নিতে রাজি না হওয়ায় প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া থমকে যায়।

আজও পাকিস্তানের জেলে বসে ভারতের খোলা আকাশ দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন প্রাক্তন সেনা জওয়ান আনন্দ। আর এপারে তার ছেলের প্রশ্ন, বাবা  এত ত্যাগ স্বীকার করার পরও দেশ কি এভাবে তার প্রতিদান দেবে? রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র  মোদিকে বাবার মুক্তির ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন জানিয়েছে পুত্র।

এই ক্ষোভ স্বাভাবিক। কারণ তার বাবা দু-দশ বছরের জন্য পাকিস্তানের জেলে বন্দি নন। সেই ১৯৬৫ সালে ভারত- পাকিস্তান যুদ্ধের সময় আনন্দ পাকিস্তানের হাতে ধরা  পড়েন। তবে তিনি কোথায় আছেন তা পরিবারের কেউই  জানত না। যুদ্ধের সময় থেকেই তিনি নিখোঁজ।

২০০৩ সালে পুত্র বিদ্যাধরী জানতে পারেন, তার বাবা পাকিস্তানের জেলে বন্দি। জীবিত বাবার খবর পেয়ে তার মুক্তির জন্য  প্রশাসনের দুয়ারে ঘুরতে ঘুরতে জুতোর তলা ক্ষয় হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। এখন বাবার বয়স প্রায় ৮৮ বছর। প্রায় ৫৮ বছর ধরে পাকিস্তানের জেলেই রয়েছেন এই সেনা। ওড়িশাতে তাদের বাড়ি। বেঙ্গল ডিফেন্স রেজিমেন্টের হয়ে তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।