১২ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য: আধার নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ১২ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 35

 পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: নির্বাচন কমিশন আগেই স্পষ্ট করেছিল, আধার নথিকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে ধরা যায় না। এবার সেই অবস্থানকেই সমর্থন করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্ত পর্যবেক্ষণে জানান, কমিশনের বক্তব্য সঠিক – আধার নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ নয়, তাই আলাদা যাচাই প্রয়োজন। এই বিষয়ে আগামী বুধবার ফের শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।

মামলায় সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি যুক্তি দেন, নাগরিকত্ব নির্ধারণ কমিশনের এখতিয়ারে পড়ে না। নির্বাচনের আগে হঠাৎ বিশেষ সমীক্ষা (SIR) চালিয়ে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া যায় না। নাগরিকত্ব-সংক্রান্ত বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আধার ও ভোটার কার্ড গ্রহণে আপত্তি কোথায় কমিশনের? শুধুই নাগরিকত্বের প্রমাণ নয় বলেই কি?”

দিল্লিতে বসবাসকারী বহু বিহার ভোটারের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। অভিযোগ, তাঁদের নামও খসড়া ভোটার তালিকায় ওঠেনি। তিনি বলেন, “সংসদের অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ হচ্ছে। সংসদের অনুমোদন ছাড়া কেন ১১টি নির্দিষ্ট নথি বেছে নেওয়া হল?”

আরও পড়ুন: দিল্লির রাস্তা থেকে সমস্ত পথ-কুকুরকে সরাতে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০০৩ সালের ভোটার তালিকা যে কেউ নথি ছাড়াই দেখতে পারবেন। বিচারপতি কান্ত মন্তব্য করেন, “বিশ্বাসের ঘাটতি থাকায় হয়তো কমিশনকে বলা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: যশোবন্ত ভার্মার আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ অভিযোগ করেন, আগে খসড়া তালিকা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল, এখন তা রাজনৈতিক দলগুলির এজেন্টদের মাধ্যমে দেখতে হচ্ছে। বিচারপতি কান্ত স্পষ্ট করেন, “প্রতিটি ভোটারের তালিকা দেখার অধিকার রয়েছে।” বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী জানান, এই সমীক্ষার উদ্দেশ্য মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হতে পারে। খসড়া তালিকায় ভুল থাকলে রাজনৈতিক দল আপত্তি জানাতে পারবে।

আরও পড়ুন: দিল্লি পুলিশের নজরদারিতে ফাঁক? সুপ্রিম কোর্টের চোখের সামনেই শিশু নিয়ে দেশ ছাড়লেন রাশিয়ান মা

শুনানিতে কমিশন জানায়, ৭ কোটি ২৪ লক্ষ ভোটার আবেদন জমা দিয়েছেন, বাদ পড়া ৬৫ লক্ষের মধ্যে ২২ লক্ষ মৃত এবং ৩৬ লক্ষ অন্যত্র চলে গিয়েছেন। বিচারপতি কান্ত বলেন, “স্থানান্তরিত ভোটার নিয়ে ধূসর এলাকা থাকতে পারে, তবে এসআইআর চালানোর ক্ষমতা কমিশনের আছে কি না, সেটি দেখতে হবে।”

আইনজীবী কপিল সিব্বল প্রশ্ন তোলেন, আবেদন যাচাইয়ের সময় কমিশন কোনও রসিদ দিচ্ছে না, যা প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি করছে। আদালত বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য: আধার নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়

আপডেট : ১২ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার

 পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: নির্বাচন কমিশন আগেই স্পষ্ট করেছিল, আধার নথিকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে ধরা যায় না। এবার সেই অবস্থানকেই সমর্থন করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্ত পর্যবেক্ষণে জানান, কমিশনের বক্তব্য সঠিক – আধার নাগরিকত্বের চূড়ান্ত প্রমাণ নয়, তাই আলাদা যাচাই প্রয়োজন। এই বিষয়ে আগামী বুধবার ফের শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।

মামলায় সিনিয়র আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি যুক্তি দেন, নাগরিকত্ব নির্ধারণ কমিশনের এখতিয়ারে পড়ে না। নির্বাচনের আগে হঠাৎ বিশেষ সমীক্ষা (SIR) চালিয়ে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া যায় না। নাগরিকত্ব-সংক্রান্ত বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আধার ও ভোটার কার্ড গ্রহণে আপত্তি কোথায় কমিশনের? শুধুই নাগরিকত্বের প্রমাণ নয় বলেই কি?”

দিল্লিতে বসবাসকারী বহু বিহার ভোটারের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার। অভিযোগ, তাঁদের নামও খসড়া ভোটার তালিকায় ওঠেনি। তিনি বলেন, “সংসদের অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ হচ্ছে। সংসদের অনুমোদন ছাড়া কেন ১১টি নির্দিষ্ট নথি বেছে নেওয়া হল?”

আরও পড়ুন: দিল্লির রাস্তা থেকে সমস্ত পথ-কুকুরকে সরাতে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০০৩ সালের ভোটার তালিকা যে কেউ নথি ছাড়াই দেখতে পারবেন। বিচারপতি কান্ত মন্তব্য করেন, “বিশ্বাসের ঘাটতি থাকায় হয়তো কমিশনকে বলা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: যশোবন্ত ভার্মার আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ অভিযোগ করেন, আগে খসড়া তালিকা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল, এখন তা রাজনৈতিক দলগুলির এজেন্টদের মাধ্যমে দেখতে হচ্ছে। বিচারপতি কান্ত স্পষ্ট করেন, “প্রতিটি ভোটারের তালিকা দেখার অধিকার রয়েছে।” বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী জানান, এই সমীক্ষার উদ্দেশ্য মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হতে পারে। খসড়া তালিকায় ভুল থাকলে রাজনৈতিক দল আপত্তি জানাতে পারবে।

আরও পড়ুন: দিল্লি পুলিশের নজরদারিতে ফাঁক? সুপ্রিম কোর্টের চোখের সামনেই শিশু নিয়ে দেশ ছাড়লেন রাশিয়ান মা

শুনানিতে কমিশন জানায়, ৭ কোটি ২৪ লক্ষ ভোটার আবেদন জমা দিয়েছেন, বাদ পড়া ৬৫ লক্ষের মধ্যে ২২ লক্ষ মৃত এবং ৩৬ লক্ষ অন্যত্র চলে গিয়েছেন। বিচারপতি কান্ত বলেন, “স্থানান্তরিত ভোটার নিয়ে ধূসর এলাকা থাকতে পারে, তবে এসআইআর চালানোর ক্ষমতা কমিশনের আছে কি না, সেটি দেখতে হবে।”

আইনজীবী কপিল সিব্বল প্রশ্ন তোলেন, আবেদন যাচাইয়ের সময় কমিশন কোনও রসিদ দিচ্ছে না, যা প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি করছে। আদালত বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।