ট্যাবলো বিতর্কে রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়াল বাম

- আপডেট : ১৯ জানুয়ারী ২০২২, বুধবার
- / 58
পুবের কলম প্রতিবেদকঃ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু একটি অন্যতম নাম। তাঁর জন্মদিনকে ‘দেশপ্রেম দিবস’ হিসাবে পালনের দাবি দীর্ঘদিনের। তবে কোনও সরকারই এই দাবিকে মান্যতা দেয়নি। নেতাজি নিয়ে সব ফাইল প্রকাশ করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা করেনি কেন্দ্র সরকার। অন্যদিকে ভারতীয় টাকার গায়ে নেতাজির ছবি ছাপানো নিয়েও মামলা হয়েছে। এসবের বাইরে ফের আলোচনার কেন্দ্র-বিন্দুতে নেতাজি। আর হবে নাই বা কেন– এবার যে তাঁর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। তবে সব থেকে বড় বির্তক তৈরি হয়েছে নেতাজিকে নিয়ে রাজ্য সরকারের একটি ট্যাবলো প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বাতিল করা নিয়ে।
কেন্দ্র এবার বাংলার ট্যাবলো বাতিল করেছে। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলার শাসক-শিবির। বিজেপি নেতা তথাগত রায়ও এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ট্যাগ করে ট্যুইট করেছেন। এবার সেই বিতর্কে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল বামেরা। মঙ্গলবার এ নিয়ে তাদের বেঠক হয়– সেখানেই নেতাজির জন্মদিন পালন নিয়ে আলোচনা হয়। একইসঙ্গে একটি বিবৃতি দিয়েছেন বাম-চেয়ারম্যান বিমান বসু। তাতে মমতার পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বামেদের দাবি– ট্যাবলো বাদ দেওয়া মানেই ঔপনিবেশ বিরোধী সংগ্রামকে অস্বীকার করা হয়েছে।
সাধারণতন্ত্র দিবসে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর চিত্র এবং কর্ম সমন্বিত বাংলার ট্যাবলোকে বাতিল করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে হতবাক পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দেন। এবার কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে সরব বামফ্রন্ট। রাজ্য সরকারের দাবিকে সমর্থন করে রাজধানীতে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে ট্যাবলো প্রদর্শনের দাবিও জানিয়েছে বামেরা।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বিবৃতি দিয়ে বলেছেন– কেন্দ্রীয় সরকার নেতাজির চিত্র এবং কর্ম সমন্বিত ট্যাবলোটি বাতিল করে দেশের ঔপনিবেশিকতা বিরোধী সংগ্রামের মহান ঐতিহ্যকে অস্বীকার করেছে। রাজ্য সরকারের পাঠানো এই ট্যাবলোটি প্রদর্শন না করার সিদ্ধান্ত অবশ্যই দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার চক্রান্ত। বামফ্রন্ট এই অনৈতিকতার বিরোধী।
বামেদের দাবি– ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলোটি প্রদর্শন করতে হবে। তাদের অভিযোগ– দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতাজির সংগ্রামী চেতনার প্রকারান্তরে অবলুপ্তি ঘটানো এবং ইতিহাসের সাম্প্রদায়িক হিন্দুকরণের অপচেষ্টা হচ্ছে।