০৩ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
BRAKING :

কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় বৈঠকে দাবি বনমন্ত্রীর রাজ্যে হাতি মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পেয়েছে
পুবের কলম প্রতিবেদক: হাতি এবং মানুষের সংঘাত নতুন কিছু নয়। আস্তানা ছেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে হাতির তাণ্ডব প্রায়শই প্রকাশ্যে আসে।

ফের হাতির হানা উত্তরবঙ্গে, চাঞ্চল্য এলাকায়
শুভজিৎ দেবনাথঃ বৃষ্টি ভেজা রাত, নিঝুম পরিবেশ।ঘড়ির কাটায় তখন দুটা ছুঁই ছুঁই।বেশ কয়েকদিনের তীব্র দাবদাহের পর দু-দিন ধরে চলা রাতের

জঙ্গলে হাতির পাল দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়
শুভজিৎ দেবনাথ,গয়েরকাটা- জলপাইগুড়ি বনবিভাগের অন্তর্গত মোরাঘাট বনাঞ্চলে হাতির পাল দেখতে ভিড় জমালেন উৎসুক জনতা। রবিবার বিকেলে গয়েরকাটা, নাথুয়া গামী রাজ্য

ধানক্ষেত চষল হাতির দল, জখম ১
সফিকুল ইসলাম (দুলাল), গলসি: বর্ধমান জেলার গলসির লোকালয় সংলগ্ন ধানক্ষেতে হাতির তান্ডবে জখম হলেন এক ব্যক্তি। এলাকার ধানক্ষেতে ঢুকে পড়ে চল্লিশ-বিয়াল্লিশটির একটি হাতির দল। যার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা গলসি এলাকায়। হাতির তান্ডবে গলসির শিড়রাই গ্রামের শেখ সিরাজুল হক নামে এক ব্যক্তি জখম হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেই গ্রামের চাষি সেখ রবিউল হক। তিনি জানিয়েছেন, ভোরের দিকে সিরাজুল মোটর বাইক নিয়ে নিজের ব্যাবসার কাজে পাশের গ্রাম রাইপুর যাচ্ছিলেন। সেইসময় গ্রামের রাস্তা পার হচ্ছিল হাতির দলটি। তিনি আচমকা ওই দলের কাছাকাছি চলে আসতেই তার দিকে তেড়ে আসে একটি হাতি। তিনি কিছু বুঝে উঠার আগে তার মোটর বাইকে পা দিয়ে আছাড় মারে বলে জানান তিনি। পরে ওই রাস্তার পথচারী ও বাড়ির লোকেরা সিরাজুলকে উদ্ধার করে প্রথমে পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে। সেখান থেকে সিরাজুলকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। এদিকে সকাল হতেই হাতির দল দেখতে এলাকাজুড়ে ভিড় জমান স্থানীয় মানুষজন। রবিউলের দাবি, হাতরি দলটি গলসি এলাকার বিঘার পর বিঘা জমির ধান মাড়িয়ে দিয়েছে। যার জেরে মাথায় হাত পড়েছে গলসির চাষিদের। এদিকে খবর পেয়ে ভোর থেকে সুরক্ষা দিতে হাজির হয় গলসি থানার পুলিশ। পাশাপাশি হাতির গতিবিধির উপর নজর রেখে চলেছেন বনদপ্তরের কর্মীরা। গলিগ্রামের চাষি নবীন সাহা জানান, এদিন ভোর বেলায় গলসির সিংপুরে ওই হাতির দলটিকে প্রথম দেখতে পায় তারা। সেখানে তাদের চোখের সামনেই বিঘার পর বিঘা পাকা ধান জমি নিমেষে মাড়িয়ে দিচ্ছে। এর ফলে তাদের এলাকার চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। তার দাবি, ওই বিষয়ে চাষিদের নায্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করুক সরকার। সিংপুর গ্রামের বাসিন্দা সেখ মুজাফ্ফর হোসেন ও সেখ মোরসেলিম বলেন, শুধু তাদেরই পাঁচ সাত বিঘা জমির ধান মাড়িয়ে দিয়েছে হাতিতে। তাছাড়া তাদের গ্রামের বহু জমি আছে। এর সাথে সাথে গোটা গলসি এলাকার বহু জমির ধান মাটিতে পুঁতে দিয়েছে।