০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিধায়ক ইদ্রিশ আলির খবর নিতে হাসপাতালে ইমরান ও ওয়ায়েজুল

পুবের কলম প্রতিবেদক: বিধায়ক ইদ্রিশ আলি বিধানসভায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পরে তাঁকে চিকিৎসার জন্য এসএসকেএম (পিজি) হাসপাতালের উডবার্ন ব্লকে ভর্তি

অসুস্থ রেজ্জাক মোল্লার খোঁজ নিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব, মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ রেজ্জাক

মুহাম্মদ ফিরোজ, ভাঙড়: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাল মনের মানুষ, তিনি আমায় খোঁজ রাখেন। জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। হাসপাতাল থেকে ফিরে মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ অসুস্থ প্রবীণ নেতা আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। ৭৫ বছর বয়সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় প্রয়াত হয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখার্জী। ৭৭ বছরের প্রবীণ নেতা রেজ্জাক মোল্লা তিনিও অসুস্থ।বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত। হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। পুরানো দলের কেউ তার শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ না রাখলেও খোঁজ নেন মমতা। এদিন অসুস্থ রেজ্জাক মোল্লা গ্রামের বাড়িতে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের প্রশংসা করে তিনি বলেন, দলকে আরও সংগঠিত করতে হবে শান্তিপূর্ণ ভাবে সবাই কে নিয়ে চলতে হবে। ভাঙড় থেকেই রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলাম, ভাঙড়েই শেষ করেছি।কিন্তু ভাঙড়ের জন্য আমার সর্বদাই মন টানে। এদিন ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকারি সভাপতি আব্দুর রহিম এবং যুব নেতা রশিদ মোল্লা অসুস্থ রেজ্জাক মোল্লাকে দেখতে তার গ্রামের বাড়িতে যান।কয়েক দিন আগেই তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকেই ছুটি পেয়ে ভাঙড়ের বাঁকড়ি গ্রামের বাড়িতে আসেন। এদিন সকালে ফল, মিষ্টি নিয়ে রেজ্জাক সাহেবকে দেখতে যান ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আব্দুর রহিম এবং রশিদ। পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে প্রয়াত হওয়ার পর দলের প্রবীণতম নেতা রেজ্জাক মোল্লার শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ খবর নিতে এবং সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে ছুটে যান তৃণমূল নেতা রহিমবাবু সহ যুব নেতা রশিদ মোল্লা।এমনটাই জানান তৃণমূল নেতা আব্দুর রহিম। দল নিয়ে এবং ভাঙড়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। রেজ্জাক মোল্লা নিজে হাঁটাচলা করতে পারেন না।তাকে ধরে বাইরে রৌদ্র নিয়ে এসে বসিয়ে দেওয়া হয়।প্রায় আধঘণ্টা তাদের সঙ্গে গল্পগুজব করেন। ভাঙড়ের দুই তৃণমূল নেতা নান্নু হোসেন এবং অহিদুল ইসলামের মৃত্যুতে নেতৃত্ব শুন‍তা তৈরি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।  ছাত্র রাজনীতির মধ্যে দিয়ে রাজনীতিতে হাতেখড়ি ভাঙড়ের বাঁকড়ি গ্রামের কৃষক পরিবারের সন্তান রেজ্জাকের। ১৯৭২ সালে ভাঙড় কেন্দ্র থেকে সিপিএমের টিকিটে জিতে বিধায়ক হন। ১৯৭৭ সাল থেকে তিনি ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা থেকে সিপিএমের প্রার্থী। ২০১১ সাল পর্যন্ত সিপিএমের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন।২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে রেজ্জাক বার বার দল বিরোধী মন্তব্য করতে থাকেন। ২০১৪ সালে সিপিএম তাঁকে বহিষ্কার করে। ‘ন্যায়বিচার পার্টি’ তৈরি করে সামাজিক আন্দোলনে সামিল ছিলেন কিছুদিন। ২০১৬ সালে তৃণমূলে যোগ দেন। ওই বছরই তৃণমূলের টিকিটে জেতেন ভাঙড়ে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রীর দায়িত্বও পান।

বিধায়কের নাম ভাঙিয়ে তোলাবাজি, শিল্পপতির অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে

নসিবুদ্দিন সরকার, হুগলি: বিধায়কের নাম করে তোলাবাজির অভিযোগ প্রভাবশালী এক স্থানীয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ধনেখালি বিধানসভার দাদপুর থানার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে নবনির্মিত লজিস্টিক হাব ও রিসর্টে। সেইসঙ্গে ওই প্রকল্পে কর্মরত তিন ইঞ্জিনিয়ারকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিল্পপতি মহেশ আগরওয়াল মেইল করে মুখ্যমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে অভিযোগ জানান। এমনকি দাদপুর থানাতেও তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহেশ আগরওয়াল নামে ওই শিল্পপতি দাদপুর থানা এলাকার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে লজিস্টিক হাব ও রিসর্ট নির্মাণ করছেন। ওই প্রকল্পে তিনি কয়েক’শ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। মহেশ আগরওয়ালের অভিযোগ, পুজোর সময় স্থানীয় ধনেখালি বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা রাজীব বসু রায় ওরফে চ্যাংকা তার কাছে ৫০ হাজার টি-শার্ট দেওয়ার দাবি জানান। এক একটি শার্টের মূল্য ৭০ টাকা করে ধার্য করে। তাহলে ৫০ হাজার শার্টের দাম দাঁড়ায় ৩৫ লক্ষ টাকা।  গত ২৮ অক্টোবর কারখানা এলাকায় গিয়ে রাজীব কারখানার মালিকের কাছে টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। একদিনের মধ্যে ওই টাকা না দিলে তিনি তার ক্ষমতা দেখিয়ে দেবেন বলে ওই শিল্পপতিকে হুমকি দেন। শিল্পপতি মহেশ আগরওয়াল প্রথমত রাজীবের হুমকিকে পাত্তাই দেননি। রাজীবের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু ২৯ অক্টোবর সকালে রাজীব তার দলবল নিয়ে একটি স্করপিও গাড়িতে করে কারখানা এলাকায় পৌঁছান। কারখানার কর্মীদের বাঁশ ও লাঠি দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। কারখানার ইঞ্জিনিয়ার পীযূষকান্তি পোড়েল, তন্ময় বারিক ও সুদীপ সরকারকে জোর করে ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায়। তাদেরকে একটি হোটেলে আটকে রাখা হয়। মহেশ আগারওয়াল জানান, তার কাছে তোলাবাজির টাকা চাইতে গিয়ে এলাকার বিধায়ক অসীমা পত্রের নাম ভাঙায় রাজীব। তার সন্দেহ হয়। তিনি অসীমা পাত্রর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু যোগাযোগ হয়নি। রাজীবসহ দুষ্কৃতীরা মুখ্যমন্ত্রী ও বিধায়কের বদনাম করতেই ওই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে শিল্পপতির অভিযোগ।

ফলকে নাম থাকা ভুয়ো আইএএস-কে চিনি না– তালতলা থানায় এফআইআর দায়ের করলেন নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ভুয়ো টীকাকান্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেবের নাম রয়েছে তালতলায় রবীন্দ্রমূর্তির ফলকে। একই সঙ্গে নাম রয়েছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়– নয়না

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder