থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাতে বাস্তুচ্যুত ১ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষ
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া: যুদ্ধবিরতির আলোচনায় সম্মতি, তবুও জারি হামলা

- আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার
- / 15
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ‘সম্মত’। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার সম্মতিতে পৌঁছালেও থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সংঘর্ষ বন্ধ হয়নি। রবিবারেও সীমান্তের মধ্যে গোলাগুলির বিনিময় জারি ছিল।
এএফপি ও কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভোর ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে দুটি বিতর্কিত মন্দির এলাকার কাছে সংঘর্ষ শুরু হয়। সামরাং শহর থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে, যা সংঘর্ষস্থল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে।
এদিন দুই দেশের সংঘর্ষবিরতি নিয়ে সোশ্যাল সাইটে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেছেন, থাইল্যান্ড -কম্বোডিয়ার সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে। সেখানে ট্র্যাম্প বলেন, যুদ্ধ না থামালে আমেরিকা দুই দেশের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে আলোচনায় বসবে না। তার পরেই ঘোষণা করেন, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সংঘর্ষবিরতিতে রাজি। এই দুই পড়শির সীমান্তবিরোধে মধ্যস্থতা করতে গিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘর্ষের কথা মনে পড়ে গিয়েছে বলেও দাবি করেছেন ট্রাম্প।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সংঘাতে দুই দেশে অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন। নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষকে। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সংঘাত শুরু হয়েছে শত বছরের বেশি পুরোনো সীমান্ত বিরোধ থেকে। নতুন এলাকায় সংঘাত শুরুর আগে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, দেশটির সুরিন, উবন রাতচাথানি ও শ্রিসাকেত প্রদেশে সংঘাত চলছে।
আটটি জেলায় সামরিক আইন জারি করা হয়েছে। থাইল্যান্ডের কর্মকর্তারা ২৬ জুলাই জানিয়েছেন, তিন দিনের সংঘাতে দেশটিতে ১৩ বেসামরিক মানুষ ও ৬ সেনা নিহত হয়েছেন। নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষকে। থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার সংঘাত শুরু হয় বৃহস্পতিবার।
প্রথম দুই দিন নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি কম্বোডিয়া। তবে ২৬ জুলাই দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিন দিনে থাইল্যান্ডের হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৮ জন বেসামরিক মানুষ এবং ৩ জন সেনাসদস্য। সংঘাতের কারণে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন দেশটির ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ। তিন দিন ধরে চলমান সংঘাতে একে অপরের ওপর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনেছে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড।
থাইল্যান্ডের বেসামরিক এলাকাগুলোয় কম্বোডিয়ার সামরিক বাহিনী কামানের গোলা ও রকেট ছুড়ছে বলে অভিযোগ এনেছে ব্যাংকক। অপর দিকে নমপেনের অভিযোগ, বিতর্কিত ক্লাস্টার (গুচ্ছ) বোমা ব্যবহার করছে থাই বাহিনী। তবে এমন অভিযোগের কোনো জবাব দেয়নি থাইল্যান্ড।