২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিভিক ও ভিলেজ পুলিশদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৩, শনিবার
  • / 30

পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের সিভিক ও ভিলেজ পুলিশদের ভোটে অংশগ্রহণ করানো হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।রাজ্যের জেলায় জেলায় কর্মরত   সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জন্য আবারও বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল রাজ্যে ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ঠিক হয়েছে, এখন থেকে কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও সিভিক ভলান্টিয়ার বা ভিলেজ পুলিশের মৃত্যু হলে, তাঁর নিকটাত্মীয়কে ওই পদে চাকরি দেবে রাজ্য সরকার। এমনকী ওই সিভিক শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়লেও এই সুবিধা মিলবে।

নবান্ন সূত্রের খবর, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র দফতরের নিয়োগ সংক্রান্ত এই প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্যের অর্থদফতর। এতকাল কর্তব্যরত অবস্থায় সিভিক বা ভিলেজ পুলিশদের মৃত্যু হলে বা দুর্ঘটনায় অক্ষম হয়ে পড়লে, আইনত চাকরি তো দূরঅস্ত, চিকিৎসার খরচটুকু পর্যন্ত জুটত না। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই এনিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ার এবং ভিলেজ পুলিশদের মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ ছিল। রাজ্য সরকারের এই নয়া সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্য পুলিশে কর্মরত ভিলেজ পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ারের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশে কর্মরত সিভিকরাও এই সুবিধা পাবেন।

আরও পড়ুন: রাজ্যের নয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল

২০১১ সালে পালবদলের পর তৃণমূল সরকার রাজ্যের ক্ষমতায় এসে এরাজ্যে প্রথম সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করেছিল। এবার সেই সরকারের হাত দিয়েই মিটতে চলেছে তাঁদের পারিবারিক সুরক্ষার মতো দীর্ঘদিনের চাহিদা। তবে এর জন্য কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর।

আরও পড়ুন: সউদি আরবে বহু খালি জায়গা, সেখানে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হোক : নেতানিয়াহু

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে কর্মরত এবং শারীরিকভাবে অক্ষম সিভিক ভলান্টিয়ারকে এই সুবিধা পেতে হলে কমপক্ষে দুই বছর চাকরি অবশিষ্ট থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, ওই সিভিককে শারীরিকভাবে অক্ষম ঘোষণা করতে হবে সরকারি হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডকে। তৃতীয়ত, কোনও একজনের চাকরির ক্ষেত্রে পরিবারের অন্য সদস্যদের আপত্তি থাকা চলবে না।

আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশে এই ধরনের নিয়োগের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ডিজি। আর কলকাতা পুলিশের ক্ষেত্রে নেবেন সিপি।

সব থেকে বড় কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মানবিক সিদ্ধান্তের হাত ধরে এরাজ্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রায় লক্ষাধিক পরিবার উপকৃত হতে চলেছেন। এই পদক্ষেপ আগামী দিনে ভোট রাজনীতিতে শাসক দলকে বাড়তি সুবিধা দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

বিশেষ করে যখন রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন কার্যত দুয়ারে এসে কড়া নাড়ছে এবং বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে উঠবে তখন শাসক দল এই সিদ্ধান্তের অ্যাডভান্টেজ অবশ্যই পাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সিভিক ও ভিলেজ পুলিশদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের

আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৩, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের সিভিক ও ভিলেজ পুলিশদের ভোটে অংশগ্রহণ করানো হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।রাজ্যের জেলায় জেলায় কর্মরত   সিভিক ভলেন্টিয়ারদের জন্য আবারও বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল রাজ্যে ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ঠিক হয়েছে, এখন থেকে কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও সিভিক ভলান্টিয়ার বা ভিলেজ পুলিশের মৃত্যু হলে, তাঁর নিকটাত্মীয়কে ওই পদে চাকরি দেবে রাজ্য সরকার। এমনকী ওই সিভিক শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়লেও এই সুবিধা মিলবে।

নবান্ন সূত্রের খবর, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র দফতরের নিয়োগ সংক্রান্ত এই প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্যের অর্থদফতর। এতকাল কর্তব্যরত অবস্থায় সিভিক বা ভিলেজ পুলিশদের মৃত্যু হলে বা দুর্ঘটনায় অক্ষম হয়ে পড়লে, আইনত চাকরি তো দূরঅস্ত, চিকিৎসার খরচটুকু পর্যন্ত জুটত না। ফলে দীর্ঘদিন ধরেই এনিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ার এবং ভিলেজ পুলিশদের মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ ছিল। রাজ্য সরকারের এই নয়া সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্য পুলিশে কর্মরত ভিলেজ পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ারের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশে কর্মরত সিভিকরাও এই সুবিধা পাবেন।

আরও পড়ুন: রাজ্যের নয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল

২০১১ সালে পালবদলের পর তৃণমূল সরকার রাজ্যের ক্ষমতায় এসে এরাজ্যে প্রথম সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করেছিল। এবার সেই সরকারের হাত দিয়েই মিটতে চলেছে তাঁদের পারিবারিক সুরক্ষার মতো দীর্ঘদিনের চাহিদা। তবে এর জন্য কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর।

আরও পড়ুন: সউদি আরবে বহু খালি জায়গা, সেখানে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হোক : নেতানিয়াহু

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে কর্মরত এবং শারীরিকভাবে অক্ষম সিভিক ভলান্টিয়ারকে এই সুবিধা পেতে হলে কমপক্ষে দুই বছর চাকরি অবশিষ্ট থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, ওই সিভিককে শারীরিকভাবে অক্ষম ঘোষণা করতে হবে সরকারি হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডকে। তৃতীয়ত, কোনও একজনের চাকরির ক্ষেত্রে পরিবারের অন্য সদস্যদের আপত্তি থাকা চলবে না।

আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশে এই ধরনের নিয়োগের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ডিজি। আর কলকাতা পুলিশের ক্ষেত্রে নেবেন সিপি।

সব থেকে বড় কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মানবিক সিদ্ধান্তের হাত ধরে এরাজ্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রায় লক্ষাধিক পরিবার উপকৃত হতে চলেছেন। এই পদক্ষেপ আগামী দিনে ভোট রাজনীতিতে শাসক দলকে বাড়তি সুবিধা দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

বিশেষ করে যখন রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন কার্যত দুয়ারে এসে কড়া নাড়ছে এবং বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে উঠবে তখন শাসক দল এই সিদ্ধান্তের অ্যাডভান্টেজ অবশ্যই পাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।