উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: জয়নগর বিধানসভার জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের বিজেপি পরিচালিত বেলে দূর্গানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল বিরোধী তৃণমূল। বিজেপির প্রধান মানু মণ্ডলের বিরুদ্ধে উন্নয়নের কাজে বাধা দেওয়া, এলাকায় উন্নয়ন না হওয়ার অভিযোগ এনে অনাস্থা আনা হয়। বুধবার বিশাল পুলিশি পাহারার মধ্যে দিয়ে জয়নগর দু’নম্বর বিডিওর উপস্থিতিতে এই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। উল্লেখ্য ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৮ জন সদস্য বিশিষ্ট এই পঞ্চায়েতে বিজেপি ৬টি, সিপিএম ৩ টি, তৃণমূল ৬ টি এবং নির্দল তিনটি আসন পায়। বিজেপির ৬ জন, সিপিএমের ৩ জন ও ১ জন নির্দল মিলে বোর্ড গঠন করে।
প্রধান নির্বাচিত হন বিজেপির মানু মন্ডল ও উপপ্রধান নির্বাচিত হন সিপিএমের নাসির উদ্দিন মন্ডল। জয়নগর বিধানসভার ভোটে তৃণমূল দ্বিতীয় বার বিপুল ভোটে ক্ষমতায় আসার পরে উন্নয়নের ধারাকে বজায় রাখতে ক্ষমতা বদল হতে শুরু করে। আর সেইমতো এই পঞ্চায়েতেও ক্ষমতায় থাকা সিপিএমের উপ প্রধান সহ তাঁর দলের ৩ জন ও ১ জন নির্দল সদস্য তৃনমূলে যোগ দেন। আর বুধবার ভোটাভুটিতে তৃনমূল ১৩-০ ভোটে জয়ী হয়। এদিনের ভোটাভুটিতে বিজেপির প্রধান মানু মন্ডল সহ ৫ জন সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জয়নগর ২ নং বিডিও মনোজ মল্লিক বলেন, প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থার ভোটাভুটি সম্পন্ন হয়েছে। সরকারি নিয়ম মেনে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নতুন প্রধান নির্বাচন করা হবে। এ দিকে তৃনমুল অনৈতিক ভাবে ভয় দেখিয়ে এই পঞ্চায়েতের বিজেপি, সিপিএম ও নির্দল সদস্যদের নিজেদের দলে টেনে ক্ষমতা দখল করেছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপির বারুইপুর পূর্ব জেলা সভাপতি সুনিপ দাস।
তাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেন জয়নগর ২ নং ব্লকের তৃনমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি শিক্ষক সাহাবুদ্দিন শেখ। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখেই বিরোধী দল থেকে সবাই তৃনমূলে যোগ দিচছেন। আমাদের ভয় দেখাতে হয় না। আর বিজেপির হাতে থেকে এই এলাকা এত দিন উন্নয়নে পিছিয়ে পড়েছিল। তাই দেরিতে হলেও এবারে এখানে উন্নয়নের কাজ খুব দ্রুত গতিতে হবে।