০৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমেরিকায় পড়তে যাওয়া নিখোঁজ ভারতীয় ছাত্র মুহাম্মদ আবদুল আরাফতের দেহ উদ্ধার

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৯ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার
  • / 27

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : আমেরিকায় একের পর এক ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ক্রমশ পরিস্থিতি জটিল আকার নিচ্ছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই খোঁজ মিলছিল না ২৫ বছরের যুবক মুহাম্মদ আবদুল আরাফতের। মঙ্গলবার সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মুহাম্মদ আবদুল আরাফত হায়দরাবাদের বাসিন্দা, ২০২৩ সালে আমেরিকায় মাস্টার’স করতে ক্লিভল্যান্ড রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে আসেন। এদিন ছাত্রমৃত্যুর খবর জানিয়েছে নিউইয়র্কের ভারতীয় কনস্যুলেট। গত তিন সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ ছিল আবদুল আরাফত। কনস্যুলেট জানিয়েছিল, আবদুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। স্থানীয় তদন্ত এজেন্সিগুলি ছাত্রের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।

এদিন কনস্যুলেটের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে মুহাম্মদ আবদুল আরাফতের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে জানানো হয়েছে, ‘জনাব মুহাম্মদ আবদুল আরাফতের খোঁজ চলছিল, তার দেহ উদ্ধার হয়েছে। তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। ইন্ডিয়ানা নিউইয়র্ক, স্থানীয় তদন্তকারি এজেন্সিগুলির সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে। ছাত্রের মৃতদেহ ভারতে নিয়ে যাওয়ার জন্য শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে’।

আরাফতের বাবা মুহাম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, গত ৭ মার্চ ছেলের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা হয়েছিল। তার পর থেকে ফোনের সুইচ অফ ছিল। ১৯ মার্চ সেলিমের কাছে এক অজ্ঞাতব্যক্তি ফোন করে জানায় মাদকবিক্রি চক্র আরাফতকে কিডন্যাপ করেছে, ১২০০ ডলার দাবি করা হয়। সেলিম জানান, কিভাবে সেই টাকা দেব, সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি ওই ব্যক্তি। সেলিম বলেন, তিনি যখন ওই ব্যক্তিকে বলেছিলেন তিনি তার ছেলের সঙ্গে একবার কথা বলতে চান, সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেওয়া হয়। মুহাম্মদ আবদুল আরাফতের মৃত্যুতে ছাত্রমৃত্যুর সংখ্যা ১১।

উল্লেখ্য, উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে আগ্রহী ভারতীয় শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিগত চারমাসে একের পর এক ছাত্রের নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন দিল্লির কেন্দ্র সরকার। অপরদিকে হোয়াইট হাউসের তরফেও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, কোনও ধরনের অপরাধ বরদাস্ত করা হবে না।

গত ৬ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর ক্লিভল্যান্ডে উমা সত্য সাই গড্ডে নামে এক ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। ১৮ মার্চ অভিজিৎ পারুচুরি নিহত হন, ১ ফেব্রুয়ারি ওহাইওতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্র শ্রেয়াস রেড্ডি বেনিগেরিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পারডু ইউনিভার্সিটির ২৩ বছরের সমীর কামাথকে ৫ ফেব্রুয়ারি ইন্ডিয়ানার একটি প্রকৃতি সংরক্ষণে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। জানুয়ারিতে জর্জিয়ায় ২৫ বছর বয়সী বিবেক সাইনি গৃহহীন মাদকাসক্তের হাতে খুন হন। পাশাপাশি ইন্ডিয়ানার পার্দো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নীল আচার্যের দেহ উদ্ধার হয়।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আমেরিকায় পড়তে যাওয়া নিখোঁজ ভারতীয় ছাত্র মুহাম্মদ আবদুল আরাফতের দেহ উদ্ধার

আপডেট : ৯ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : আমেরিকায় একের পর এক ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ক্রমশ পরিস্থিতি জটিল আকার নিচ্ছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই খোঁজ মিলছিল না ২৫ বছরের যুবক মুহাম্মদ আবদুল আরাফতের। মঙ্গলবার সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মুহাম্মদ আবদুল আরাফত হায়দরাবাদের বাসিন্দা, ২০২৩ সালে আমেরিকায় মাস্টার’স করতে ক্লিভল্যান্ড রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে আসেন। এদিন ছাত্রমৃত্যুর খবর জানিয়েছে নিউইয়র্কের ভারতীয় কনস্যুলেট। গত তিন সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ ছিল আবদুল আরাফত। কনস্যুলেট জানিয়েছিল, আবদুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। স্থানীয় তদন্ত এজেন্সিগুলি ছাত্রের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।

এদিন কনস্যুলেটের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে মুহাম্মদ আবদুল আরাফতের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে জানানো হয়েছে, ‘জনাব মুহাম্মদ আবদুল আরাফতের খোঁজ চলছিল, তার দেহ উদ্ধার হয়েছে। তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। ইন্ডিয়ানা নিউইয়র্ক, স্থানীয় তদন্তকারি এজেন্সিগুলির সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে। ছাত্রের মৃতদেহ ভারতে নিয়ে যাওয়ার জন্য শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে’।

আরাফতের বাবা মুহাম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, গত ৭ মার্চ ছেলের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা হয়েছিল। তার পর থেকে ফোনের সুইচ অফ ছিল। ১৯ মার্চ সেলিমের কাছে এক অজ্ঞাতব্যক্তি ফোন করে জানায় মাদকবিক্রি চক্র আরাফতকে কিডন্যাপ করেছে, ১২০০ ডলার দাবি করা হয়। সেলিম জানান, কিভাবে সেই টাকা দেব, সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি ওই ব্যক্তি। সেলিম বলেন, তিনি যখন ওই ব্যক্তিকে বলেছিলেন তিনি তার ছেলের সঙ্গে একবার কথা বলতে চান, সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেওয়া হয়। মুহাম্মদ আবদুল আরাফতের মৃত্যুতে ছাত্রমৃত্যুর সংখ্যা ১১।

উল্লেখ্য, উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে আগ্রহী ভারতীয় শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিগত চারমাসে একের পর এক ছাত্রের নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন দিল্লির কেন্দ্র সরকার। অপরদিকে হোয়াইট হাউসের তরফেও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, কোনও ধরনের অপরাধ বরদাস্ত করা হবে না।

গত ৬ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর ক্লিভল্যান্ডে উমা সত্য সাই গড্ডে নামে এক ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। ১৮ মার্চ অভিজিৎ পারুচুরি নিহত হন, ১ ফেব্রুয়ারি ওহাইওতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্র শ্রেয়াস রেড্ডি বেনিগেরিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পারডু ইউনিভার্সিটির ২৩ বছরের সমীর কামাথকে ৫ ফেব্রুয়ারি ইন্ডিয়ানার একটি প্রকৃতি সংরক্ষণে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। জানুয়ারিতে জর্জিয়ায় ২৫ বছর বয়সী বিবেক সাইনি গৃহহীন মাদকাসক্তের হাতে খুন হন। পাশাপাশি ইন্ডিয়ানার পার্দো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নীল আচার্যের দেহ উদ্ধার হয়।