২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘নফরত ছোড়ো, ভারত জোড়ো’ স্লোগানে মুখর রাজধানী দিল্লি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার
  • / 53

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ১০০ দিন পার করেছে ভারত  জোড়ো যাত্রা। হাঁটা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার পথ।  সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিজেপির কাছ থেকে সমালোচনা ও  আক্রমণ ধেয়ে আসছে এর বিরুদ্ধে। করোনা আবহে এই  যাত্রাকে বন্ধ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে তারা। এই আবহে  তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শনিবার দিল্লিতে প্রবেশ করল এই পদযাত্রা।

 

আরও পড়ুন: কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে মোদিকে চিঠি রাহুলের

মানুষের উৎসাহ ও ভিড় ছিল চোখের পড়ার মতো। বিদ্বেষের  বিরুদ্ধে ভালোবাসার দোকান খুলতে এই পদযাত্রা করছেন  রাহুল গান্ধি। এদিনই এই যাত্রায় অংশ নিতে ছুটে আসেন  সোনিয়া গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি এবং খ্যাতনামা অভিনেতা কমল  হাসান। মা ও ছেলের ছবি টুইটারে ভাইরাল হয়েছে। রাহুল টুইট  করে লিখেছেন, মায়ের কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসাই তিনি  ছড়াচ্ছেন ঘৃণার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। একজন ভারতীয় হিসেবে  এই পদযাত্রায় এসেছি, ঐতিহাসিক লালকেল্লার সামনে সমাবেশ  থেকে উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে জানান অভিনেতা কমল হাসান।

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রতিবাদে ৯ জুলাই বিহারে ‘ইন্ডিয়া’-র ‘বনধ’, বনধে সামিল হতে পারেন রাহুল গান্ধী

 

আরও পড়ুন: ‘ট্রাম্পের ডেডলাইনের কাছে মাথানত করবেন মোদি’, নিশানা রাহুলের

এদিন রাজধানীতে হাজার হাজার মানুষ রাহুলের সঙ্গে পা মেলান। কংগ্রেস নেতাকর্মীরা সোল্লাসে তাকে স্বাগত জানান দিল্লিতে। সঙ্গে ছিলেন জয়রাম রমেশ, পবন খেরা, রণদীপ সুরজেওয়ালা, ভুপন্দর সিং হুডার মতো সিনিয়র নেতৃত্ব। অন্ধ  পড়ুয়ারাও এদিন এই পদযাত্রায় অংশ নেয়। ‘নফরত ছোড়ো, ভারত জোড়ো’ স্লোগানে দিল্লির আকাশ-বাতাস মুখরিত করে তোলে পড়ুয়ারা। তারা জানায়, দেশে যেভাবে বেরোজগারি  বাড়ছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই তারা রাহুলের সঙ্গে পা  মেলাচ্ছে। দেশে ঘৃণা-বিদ্বেষের কারবারীদের পতন ঘটাতেই তাদের এই পদযাত্রা।

 

ভিড় সামাল দিতে দিল্লি পুলিশের তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার  মতো। দিল্লি শহরে এমনিতে যানজট বেশি। ভারত জোড়ো যাত্রা  যাতে সেই দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে না দেয়, তা নিয়ে সচেষ্ট ছিল  পুলিশ ও ট্রাফিক কর্মীরা। লালকেল্লার সামনে এসে এদিনের যাত্রা  স্থগিত করা হয়। ৯ দিনের বিরতির পর ফের যাত্রা শুরু হবে ৩  জানুয়ারি। কোভিড প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্র তার যাত্রা বন্ধ করে দিতে  চাইছে বলে আগের দিনই অভিযোগ তুলেছিলেন রাহুল।

 

সেইসঙ্গে দৃঢ়ভাবে জানিয়েছিলেন, তার যাত্রা ফালতু অজুহাত  খাঁড়া করে রোখা যাবে না। কাশ্মীরে গিয়েই থামবে এই মহতী  পদযাত্রা। এদিন একই সুর শোনা গিয়েছে কানহাইয়া কুমারের  গলাতেও। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধি দিল্লির তীব্র শীতেও হাফ  হাতা টি-শার্ট পরে চলতে পারছেন। বিজেপি যেভাবে তার বিরুদ্ধে বিদ্বেষী আক্রমণ করে চলেছে তার বিরুদ্ধে তাতে রাহুলের শরীর শীতের কাছে দুর্ভেদ্য হয়ে উঠেছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘নফরত ছোড়ো, ভারত জোড়ো’ স্লোগানে মুখর রাজধানী দিল্লি

আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ১০০ দিন পার করেছে ভারত  জোড়ো যাত্রা। হাঁটা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার পথ।  সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিজেপির কাছ থেকে সমালোচনা ও  আক্রমণ ধেয়ে আসছে এর বিরুদ্ধে। করোনা আবহে এই  যাত্রাকে বন্ধ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে তারা। এই আবহে  তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শনিবার দিল্লিতে প্রবেশ করল এই পদযাত্রা।

 

আরও পড়ুন: কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে মোদিকে চিঠি রাহুলের

মানুষের উৎসাহ ও ভিড় ছিল চোখের পড়ার মতো। বিদ্বেষের  বিরুদ্ধে ভালোবাসার দোকান খুলতে এই পদযাত্রা করছেন  রাহুল গান্ধি। এদিনই এই যাত্রায় অংশ নিতে ছুটে আসেন  সোনিয়া গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি এবং খ্যাতনামা অভিনেতা কমল  হাসান। মা ও ছেলের ছবি টুইটারে ভাইরাল হয়েছে। রাহুল টুইট  করে লিখেছেন, মায়ের কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসাই তিনি  ছড়াচ্ছেন ঘৃণার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। একজন ভারতীয় হিসেবে  এই পদযাত্রায় এসেছি, ঐতিহাসিক লালকেল্লার সামনে সমাবেশ  থেকে উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে জানান অভিনেতা কমল হাসান।

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রতিবাদে ৯ জুলাই বিহারে ‘ইন্ডিয়া’-র ‘বনধ’, বনধে সামিল হতে পারেন রাহুল গান্ধী

 

আরও পড়ুন: ‘ট্রাম্পের ডেডলাইনের কাছে মাথানত করবেন মোদি’, নিশানা রাহুলের

এদিন রাজধানীতে হাজার হাজার মানুষ রাহুলের সঙ্গে পা মেলান। কংগ্রেস নেতাকর্মীরা সোল্লাসে তাকে স্বাগত জানান দিল্লিতে। সঙ্গে ছিলেন জয়রাম রমেশ, পবন খেরা, রণদীপ সুরজেওয়ালা, ভুপন্দর সিং হুডার মতো সিনিয়র নেতৃত্ব। অন্ধ  পড়ুয়ারাও এদিন এই পদযাত্রায় অংশ নেয়। ‘নফরত ছোড়ো, ভারত জোড়ো’ স্লোগানে দিল্লির আকাশ-বাতাস মুখরিত করে তোলে পড়ুয়ারা। তারা জানায়, দেশে যেভাবে বেরোজগারি  বাড়ছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই তারা রাহুলের সঙ্গে পা  মেলাচ্ছে। দেশে ঘৃণা-বিদ্বেষের কারবারীদের পতন ঘটাতেই তাদের এই পদযাত্রা।

 

ভিড় সামাল দিতে দিল্লি পুলিশের তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার  মতো। দিল্লি শহরে এমনিতে যানজট বেশি। ভারত জোড়ো যাত্রা  যাতে সেই দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে না দেয়, তা নিয়ে সচেষ্ট ছিল  পুলিশ ও ট্রাফিক কর্মীরা। লালকেল্লার সামনে এসে এদিনের যাত্রা  স্থগিত করা হয়। ৯ দিনের বিরতির পর ফের যাত্রা শুরু হবে ৩  জানুয়ারি। কোভিড প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্র তার যাত্রা বন্ধ করে দিতে  চাইছে বলে আগের দিনই অভিযোগ তুলেছিলেন রাহুল।

 

সেইসঙ্গে দৃঢ়ভাবে জানিয়েছিলেন, তার যাত্রা ফালতু অজুহাত  খাঁড়া করে রোখা যাবে না। কাশ্মীরে গিয়েই থামবে এই মহতী  পদযাত্রা। এদিন একই সুর শোনা গিয়েছে কানহাইয়া কুমারের  গলাতেও। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধি দিল্লির তীব্র শীতেও হাফ  হাতা টি-শার্ট পরে চলতে পারছেন। বিজেপি যেভাবে তার বিরুদ্ধে বিদ্বেষী আক্রমণ করে চলেছে তার বিরুদ্ধে তাতে রাহুলের শরীর শীতের কাছে দুর্ভেদ্য হয়ে উঠেছে।