২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেন ও মলদোভাকে প্রার্থীর মর্যাদা দিল ইইউ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ জুন ২০২২, শুক্রবার
  • / 52

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ­ রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য প্রার্থীর মর্যাদা পেল ইউক্রেন। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির মতো এ দিন একই মর্যাদা পেয়েছে মলদোভাও। বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল এই ঘোষণা দেন।

 

আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য বন্ধ আমেরিকার

এ দিকে ইইউয়ের সদস্যপ্রার্থীর মর্যাদা পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেন ও মলদোভাকে প্রার্থীর মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে ইউরোপীয় কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন চার্লস মিশেল। তিনি বলেন, ‘ইইউয়ের সদস্য হওয়ার বিষয়ে আপনাদের জন্য আজ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন: জামাত ভেঙে নতুন রাজনৈতিক দল জেডিএফ

 

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের প্রস্তাবে সায় পুতিনের, মঙ্গলে সউদিতে ইউক্রেন আলোচনা

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।

 

মস্কো অবশ্য ইউক্রেনে তাদের এই আগ্রাসনকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে উল্লেখ করছে। এ ছাড়া যুদ্ধের শুরুতে পুরো ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড আক্রান্ত হলেও রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর মূল মনোযোগ এখন দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় দোনবাস এলাকায়। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পরই সংস্থাটিতে যোগ দিতে আবেদন করে কিয়েভ। আর এরপর থেকে এই প্রক্রিয়াটি গতিতে এগিয়ে যায়। অবশেষে বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য প্রার্থীর মর্যাদা লাভ করে ইউক্রেন।

 

ইইউয়ের সদস্যপ্রার্থীর মর্যাদা পাওয়ার বিষয়ে জোটের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। বলেছেন, ‘এটি ইউক্রেন- ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কের একটি অনন্য এবং ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’ জর্জিয়াও সম্প্রতি ইইউ সদস্য পদ পেতে আগ্রহী বলে জানিয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার বলেন, ‘এ পদক্ষেপ রুশ সাম্রাজ্যবাদের মোকাবিলার পাশাপাশি ইইউকে শক্তিশালী করবে।

 

বাইরের হুমকির মুখে ইইউ দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী তা বিশ্ব দেখতে পেরেছে।’ উল্লেখ্য, ক্রেমলিন আগে থেকে জানত ইউক্রেন ও মলদোভা ইইউ প্রার্থিতা পেতে যাচ্ছে, কিন্তু দেশটি তা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামায়নি। গত সপ্তাহে সেন্ট পিটার্সবার্গে রুশ প্রেসিডেন্ট দাবি করেছিলেন, ইউক্রেনের ইইউ সদস্য হওয়া বা না হওয়ায় তাদের কিছুই যায়-আসে না।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইউক্রেন ও মলদোভাকে প্রার্থীর মর্যাদা দিল ইইউ

আপডেট : ২৪ জুন ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ­ রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য প্রার্থীর মর্যাদা পেল ইউক্রেন। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির মতো এ দিন একই মর্যাদা পেয়েছে মলদোভাও। বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল এই ঘোষণা দেন।

 

আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য বন্ধ আমেরিকার

এ দিকে ইইউয়ের সদস্যপ্রার্থীর মর্যাদা পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেন ও মলদোভাকে প্রার্থীর মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে ইউরোপীয় কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন চার্লস মিশেল। তিনি বলেন, ‘ইইউয়ের সদস্য হওয়ার বিষয়ে আপনাদের জন্য আজ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন: জামাত ভেঙে নতুন রাজনৈতিক দল জেডিএফ

 

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের প্রস্তাবে সায় পুতিনের, মঙ্গলে সউদিতে ইউক্রেন আলোচনা

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।

 

মস্কো অবশ্য ইউক্রেনে তাদের এই আগ্রাসনকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে উল্লেখ করছে। এ ছাড়া যুদ্ধের শুরুতে পুরো ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড আক্রান্ত হলেও রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর মূল মনোযোগ এখন দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় দোনবাস এলাকায়। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পরই সংস্থাটিতে যোগ দিতে আবেদন করে কিয়েভ। আর এরপর থেকে এই প্রক্রিয়াটি গতিতে এগিয়ে যায়। অবশেষে বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য প্রার্থীর মর্যাদা লাভ করে ইউক্রেন।

 

ইইউয়ের সদস্যপ্রার্থীর মর্যাদা পাওয়ার বিষয়ে জোটের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। বলেছেন, ‘এটি ইউক্রেন- ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কের একটি অনন্য এবং ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’ জর্জিয়াও সম্প্রতি ইইউ সদস্য পদ পেতে আগ্রহী বলে জানিয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার বলেন, ‘এ পদক্ষেপ রুশ সাম্রাজ্যবাদের মোকাবিলার পাশাপাশি ইইউকে শক্তিশালী করবে।

 

বাইরের হুমকির মুখে ইইউ দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী তা বিশ্ব দেখতে পেরেছে।’ উল্লেখ্য, ক্রেমলিন আগে থেকে জানত ইউক্রেন ও মলদোভা ইইউ প্রার্থিতা পেতে যাচ্ছে, কিন্তু দেশটি তা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামায়নি। গত সপ্তাহে সেন্ট পিটার্সবার্গে রুশ প্রেসিডেন্ট দাবি করেছিলেন, ইউক্রেনের ইইউ সদস্য হওয়া বা না হওয়ায় তাদের কিছুই যায়-আসে না।