২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পৌষ মেলায় মাঠ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্বভারতীই জানিয়ে দিল হাইকোর্ট

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ৭ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 78

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পৌষমেলার জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ ব্যবহার করার অনুমতি দিল না কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানান , পৌষমেলার জন্য মাঠ ব্যবহার করা যাবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একমাত্র বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষেরই রয়েছে। তাঁরাই ঠিক করবেন, ওই মাঠে মেলা হবে কি না।

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

বোলপুরের একটি অন্যতম বড় উৎসব পৌষমেলা। বহু মানুষের সমাগম হয় সেখানে। যার ফলে পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনা থাকেই। পরিবেশ দূষণের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গুরুমুখ জেঠওয়ানি নামে এক বোলপুরের বাসিন্দা। তাঁর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বভারতীর অবস্থান জানতে চেয়েছিল আদালত। সেখানে বিশ্বভারতী জানায়, আগে শর্তসাপেক্ষে মেলার অনুমতি দিয়েছিল পরিবেশ আদালত। কিন্তু কেউ-ই সেই শর্ত মানার উৎসাহ দেখান না। ফলে মেলা নিয়ে আপত্তি না থাকলেও বিশ্বভারতীর মাঠে মেলার আয়োজনে আপত্তি জানায় কর্তৃপক্ষ। এরপর রাজ্যের তরফে বিকল্প জায়গায় মেলার আয়োজনের পরামর্শ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে রাজ্যের করা মামলা খারিজ, ‘অধিকার নেই’ বলল হাইকোর্ট

যদিও উচ্চ আদালত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে আরও এক বার মেলার বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করতে বলেছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তাঁরাই নেবেন বলে নির্দেশ আদালতের। অন্য দিকে, রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, বিশ্বভারতী তাদের মাঠ ব্যবহারের অনুমতি না দিলে বিকল্প মাঠের ব্যবস্থা করা হবে।

আরও পড়ুন: মানিকের স্ত্রী- পুত্র মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে ইডি

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে শেষ বার শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মাঠে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হয়। এর পর করোনা আবহে এক বছর বন্ধ ছিল পৌষমেলা। গত বছরও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে মেলা করা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। শেষমেশ বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ ও বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা নিয়ে বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হয়।এ বার পূর্বপল্লীর পৌষমেলার মাঠেই মেলা করার আবেদন জানিয়ে বোলপুর পুরসভাকে চিঠি দেয় শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। যদিও তা নিয়ে জটিলতা চলছে। অন্য দিকে, কিছু দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে পৌষ মেলা করার দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখানো হয়।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পৌষ মেলায় মাঠ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্বভারতীই জানিয়ে দিল হাইকোর্ট

আপডেট : ৭ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পৌষমেলার জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ ব্যবহার করার অনুমতি দিল না কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানান , পৌষমেলার জন্য মাঠ ব্যবহার করা যাবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একমাত্র বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষেরই রয়েছে। তাঁরাই ঠিক করবেন, ওই মাঠে মেলা হবে কি না।

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

বোলপুরের একটি অন্যতম বড় উৎসব পৌষমেলা। বহু মানুষের সমাগম হয় সেখানে। যার ফলে পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনা থাকেই। পরিবেশ দূষণের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গুরুমুখ জেঠওয়ানি নামে এক বোলপুরের বাসিন্দা। তাঁর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বভারতীর অবস্থান জানতে চেয়েছিল আদালত। সেখানে বিশ্বভারতী জানায়, আগে শর্তসাপেক্ষে মেলার অনুমতি দিয়েছিল পরিবেশ আদালত। কিন্তু কেউ-ই সেই শর্ত মানার উৎসাহ দেখান না। ফলে মেলা নিয়ে আপত্তি না থাকলেও বিশ্বভারতীর মাঠে মেলার আয়োজনে আপত্তি জানায় কর্তৃপক্ষ। এরপর রাজ্যের তরফে বিকল্প জায়গায় মেলার আয়োজনের পরামর্শ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে রাজ্যের করা মামলা খারিজ, ‘অধিকার নেই’ বলল হাইকোর্ট

যদিও উচ্চ আদালত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে আরও এক বার মেলার বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করতে বলেছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তাঁরাই নেবেন বলে নির্দেশ আদালতের। অন্য দিকে, রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, বিশ্বভারতী তাদের মাঠ ব্যবহারের অনুমতি না দিলে বিকল্প মাঠের ব্যবস্থা করা হবে।

আরও পড়ুন: মানিকের স্ত্রী- পুত্র মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে ইডি

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে শেষ বার শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মাঠে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হয়। এর পর করোনা আবহে এক বছর বন্ধ ছিল পৌষমেলা। গত বছরও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে মেলা করা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। শেষমেশ বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ ও বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা নিয়ে বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হয়।এ বার পূর্বপল্লীর পৌষমেলার মাঠেই মেলা করার আবেদন জানিয়ে বোলপুর পুরসভাকে চিঠি দেয় শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। যদিও তা নিয়ে জটিলতা চলছে। অন্য দিকে, কিছু দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে পৌষ মেলা করার দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখানো হয়।