১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্তের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুললো হাইকোর্ট

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩ এপ্রিল ২০২৩, সোমবার
  • / 19

পারিজাত মোল্লা: সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের সিঙ্গেল বেঞ্চে ফের মুখ পড়লো রাজ্যের? নিয়ম সবার ক্ষেত্রেই এক হওয়া উচিত ।

রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্তর নিরাপত্তা আধিকারিককে প্রত্যাহারের ঘটনায় রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট । রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি থেকে ডিআইজি পর্যন্ত যত অফিসার রয়েছেন তাঁদের সকলের নিরাপত্তা আধিকারিক রয়েছে কি না? সাতদিনের মধ্যে তার জবাব দিতে হবে রাজ্যকে  বলে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশ জারি করেছেন।

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

পুলিশের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা অবসরের পরেও রাজ্যের তরফ থেকে নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। কিন্তু প্রাক্তন আইজি  পঙ্কজ দত্তের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। সেই নিয়ে হাইকোর্টে  মামলা করেন পঙ্কজবাবু।

আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে রাজ্যের করা মামলা খারিজ, ‘অধিকার নেই’ বলল হাইকোর্ট

সোমবার সেই মামলার শুনানি চলে  আদালতে। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে প্রশ্ন তোলেন নিরাপত্তার বিষয়ে কেন সকলের জন্য এক নিয়ম হবে না? বিচারপতি  এদিন বলেন,  প্রাক্তন ডিজি থেকে ডিআইজি পর্যন্ত যত অফিসার রয়েছেন তাঁদের সকলের নিরাপত্তা আধিকারিক রয়েছে কিনা? তা ৭ দিনের মধ্যে রাজ্য জানাতে হবে আদালতে’।

আরও পড়ুন: মানিকের স্ত্রী- পুত্র মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে ইডি

উল্লেখ্য, গত ২০১১ সালে রাজ্য পুলিশের আইজি পদ থেকে অবসর নেন পঙ্কজ দত্ত। অবসর নেওয়ার পর এই পঙ্কজ দত্তকে বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে সরকারি নীতি, রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে। এমনকী সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁকে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে দেখা গেছে। সেই পঙ্কজ দত্তের নিরাপত্তা একসময় তুলে নেয় রাজ্য পুলিশ।

পঙ্কজ দত্তের পক্ষের আইনজীবী এদিন আদালতে সওয়াল-জবাব পর্বে বলেন,  বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নীতি নিয়ে সমালোচনা করায় পঙ্কজবাবুকে শিক্ষা দিতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য’।

এই মামলার শুনানি শেষে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, -‘যদি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার নেয় তো, সেটা সব অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকের ক্ষেত্রেই নেওয়া উচিত। শুধু একজনের ক্ষেত্রে নয়’। এইসব বিষয় নিয়ে আদালত রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্য এর কাছে।এখন দেখার রাজ্য কি অবস্থান নেয় এই মামলার পরিপেক্ষিতে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্তের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুললো হাইকোর্ট

আপডেট : ৩ এপ্রিল ২০২৩, সোমবার

পারিজাত মোল্লা: সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের সিঙ্গেল বেঞ্চে ফের মুখ পড়লো রাজ্যের? নিয়ম সবার ক্ষেত্রেই এক হওয়া উচিত ।

রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্তর নিরাপত্তা আধিকারিককে প্রত্যাহারের ঘটনায় রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট । রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি থেকে ডিআইজি পর্যন্ত যত অফিসার রয়েছেন তাঁদের সকলের নিরাপত্তা আধিকারিক রয়েছে কি না? সাতদিনের মধ্যে তার জবাব দিতে হবে রাজ্যকে  বলে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশ জারি করেছেন।

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

পুলিশের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা অবসরের পরেও রাজ্যের তরফ থেকে নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। কিন্তু প্রাক্তন আইজি  পঙ্কজ দত্তের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। সেই নিয়ে হাইকোর্টে  মামলা করেন পঙ্কজবাবু।

আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে রাজ্যের করা মামলা খারিজ, ‘অধিকার নেই’ বলল হাইকোর্ট

সোমবার সেই মামলার শুনানি চলে  আদালতে। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে প্রশ্ন তোলেন নিরাপত্তার বিষয়ে কেন সকলের জন্য এক নিয়ম হবে না? বিচারপতি  এদিন বলেন,  প্রাক্তন ডিজি থেকে ডিআইজি পর্যন্ত যত অফিসার রয়েছেন তাঁদের সকলের নিরাপত্তা আধিকারিক রয়েছে কিনা? তা ৭ দিনের মধ্যে রাজ্য জানাতে হবে আদালতে’।

আরও পড়ুন: মানিকের স্ত্রী- পুত্র মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে ইডি

উল্লেখ্য, গত ২০১১ সালে রাজ্য পুলিশের আইজি পদ থেকে অবসর নেন পঙ্কজ দত্ত। অবসর নেওয়ার পর এই পঙ্কজ দত্তকে বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে সরকারি নীতি, রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে। এমনকী সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁকে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে দেখা গেছে। সেই পঙ্কজ দত্তের নিরাপত্তা একসময় তুলে নেয় রাজ্য পুলিশ।

পঙ্কজ দত্তের পক্ষের আইনজীবী এদিন আদালতে সওয়াল-জবাব পর্বে বলেন,  বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নীতি নিয়ে সমালোচনা করায় পঙ্কজবাবুকে শিক্ষা দিতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য’।

এই মামলার শুনানি শেষে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, -‘যদি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার নেয় তো, সেটা সব অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকের ক্ষেত্রেই নেওয়া উচিত। শুধু একজনের ক্ষেত্রে নয়’। এইসব বিষয় নিয়ে আদালত রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্য এর কাছে।এখন দেখার রাজ্য কি অবস্থান নেয় এই মামলার পরিপেক্ষিতে।