০৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোলাপ পানি-অউদ দিয়ে ধোয়া হল পবিত্র কাবাগৃহ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৬ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 85

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামে অবস্থিত কাবা শরিফের সাফ-সাফাই ও ধোয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের হয়ে এবছর এই কাজে অংশ নেন তার পুত্র যুবরাজ বিন সালমান।

 

আরও পড়ুন: সমালোচকদের ধুয়ে দিলেন বিরাট কোহলি

সাফ-সাফাইয়ের জন্য পবিত্র  কাবাগৃহের দরজা প্রতি বছর (মহরম-শাবান মাসে) দু’বার খোলা হয়। এছাড়া রাষ্ট্রীয় কিংবা বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ মেহমানের জন্য সউদি সরকারের অনুমতিতে খোলা হয়। মূলত প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুসরণে পবিত্র কাবা শরিফ ধোয়ার মহৎ কাজটি বড় উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ৬৩০ সালে যখন রাসূল (সা.)-এর নেতৃত্বে মুসলমানরা মক্কা বিজয় করেছিল, তখন তিনি মহান আল্লাহর এ পবিত্র ঘর ধৌত করেছিলেন।

 

মঙ্গলবার পরিচ্ছন্নতা কাজে অংশ নেওয়ার আগে যুবরাজ কাবা শরিফ তাওয়াফ করেন এবং সেখানে নামায আদায় করেন। কাবাঘর ধোয়া শেষে ভেতর থেকে বের হয়ে সবাই ধারাবাহিকভাবে হাজরে আসওয়াদ (কালো পাথর) চুম্বন করেন। এরপর পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ করেন। তাওয়াফ শেষে মাকামে ইব্রাহিমে দুই রাকাত নামায আদায় করেন।

 

আবার অনেকে ধোয়ার জন্য ভেতরে প্রবেশের আগে একবার নফল তাওয়াফ ও দুই রাকাত নফল নামায আদায় করে নেন।সাধারণত কাবাঘর ধুতে জমজমের পানি, খাঁটি গোলাপ পানি, উন্নতমানের সুগন্ধি ‘অউদ’ ও কস্তুরি ব্যবহার করা হয়। প্রথমে গোলাপ পানি ও অউদ মেশানো খুশবুদার জমজমের পানি মেঝেতে ঢালা হয়। তারপর খালি হাতে খেজুরপাতা দিয়ে সাফ করা হয়। এরপর মেঝে ও দেওয়াল কোমল সাদা কাপড় ও উন্নত মানের টিস্যু দিয়ে মোছা হয়। কাবা শরিফ ধোয়ার সময় প্রায় দুই ঘণ্টা দরজা খোলা থাকে।

 

এটাই মসজিদুল হারাম কর্তৃপক্ষের দীর্ঘদিনের রীতি। মঙ্গলবারের এই সাফাই কাজে যুবরাজ সালমানের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন দুই পবিত্র মসজিদের  জেনারেল প্রেসিডেন্সির প্রধান ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আস-সুদাইস, মক্কার ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স সাউদ বিন খালিদ আল ফয়সাল, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, বিশেষ জরুরি বাহিনীর প্রধান এবং হজ নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডার ও নিরাপত্তারক্ষীরা।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গোলাপ পানি-অউদ দিয়ে ধোয়া হল পবিত্র কাবাগৃহ

আপডেট : ১৬ অগাস্ট ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামে অবস্থিত কাবা শরিফের সাফ-সাফাই ও ধোয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের হয়ে এবছর এই কাজে অংশ নেন তার পুত্র যুবরাজ বিন সালমান।

 

আরও পড়ুন: সমালোচকদের ধুয়ে দিলেন বিরাট কোহলি

সাফ-সাফাইয়ের জন্য পবিত্র  কাবাগৃহের দরজা প্রতি বছর (মহরম-শাবান মাসে) দু’বার খোলা হয়। এছাড়া রাষ্ট্রীয় কিংবা বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ মেহমানের জন্য সউদি সরকারের অনুমতিতে খোলা হয়। মূলত প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুসরণে পবিত্র কাবা শরিফ ধোয়ার মহৎ কাজটি বড় উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ৬৩০ সালে যখন রাসূল (সা.)-এর নেতৃত্বে মুসলমানরা মক্কা বিজয় করেছিল, তখন তিনি মহান আল্লাহর এ পবিত্র ঘর ধৌত করেছিলেন।

 

মঙ্গলবার পরিচ্ছন্নতা কাজে অংশ নেওয়ার আগে যুবরাজ কাবা শরিফ তাওয়াফ করেন এবং সেখানে নামায আদায় করেন। কাবাঘর ধোয়া শেষে ভেতর থেকে বের হয়ে সবাই ধারাবাহিকভাবে হাজরে আসওয়াদ (কালো পাথর) চুম্বন করেন। এরপর পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ করেন। তাওয়াফ শেষে মাকামে ইব্রাহিমে দুই রাকাত নামায আদায় করেন।

 

আবার অনেকে ধোয়ার জন্য ভেতরে প্রবেশের আগে একবার নফল তাওয়াফ ও দুই রাকাত নফল নামায আদায় করে নেন।সাধারণত কাবাঘর ধুতে জমজমের পানি, খাঁটি গোলাপ পানি, উন্নতমানের সুগন্ধি ‘অউদ’ ও কস্তুরি ব্যবহার করা হয়। প্রথমে গোলাপ পানি ও অউদ মেশানো খুশবুদার জমজমের পানি মেঝেতে ঢালা হয়। তারপর খালি হাতে খেজুরপাতা দিয়ে সাফ করা হয়। এরপর মেঝে ও দেওয়াল কোমল সাদা কাপড় ও উন্নত মানের টিস্যু দিয়ে মোছা হয়। কাবা শরিফ ধোয়ার সময় প্রায় দুই ঘণ্টা দরজা খোলা থাকে।

 

এটাই মসজিদুল হারাম কর্তৃপক্ষের দীর্ঘদিনের রীতি। মঙ্গলবারের এই সাফাই কাজে যুবরাজ সালমানের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন দুই পবিত্র মসজিদের  জেনারেল প্রেসিডেন্সির প্রধান ইমাম শায়খ আবদুর রহমান আস-সুদাইস, মক্কার ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স সাউদ বিন খালিদ আল ফয়সাল, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, বিশেষ জরুরি বাহিনীর প্রধান এবং হজ নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডার ও নিরাপত্তারক্ষীরা।