০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রোহিঙ্গারা, উদ্বেগ প্রকাশ বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 47

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মায়ানমারে সেনাবাহিনীর অত্যাচারের মুখে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল। বর্তমানে এই রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার এই রোহিঙ্গাদের ফেরত না পাঠালে তাদের বিপদ আরও বাড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার ইন্দো – প্যাসিফিক আমিজ় ম্যানেজমেন্ট সেমিনারে ভিডিয়ো কনফারেন্সের যোগ দিয়ে এমনটাই মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। এদিন তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে থাকায় তাদের পরিবেশগত এবং অর্থনৈতিক অনেক ক্ষতির শিকার হচ্ছে। একটা মানবিক জায়গা থেকে আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন তারা বাংলাদেশে অবাধ বিচরণ করছে। এর মাধ্যমে দেশের ব্যাপক নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। আমরা মায়ানমারকে আগেও অনুরোধ করেছি, এখনও করছি, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিন এমনটাই মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে স্টারলিংক চালু

সম্প্রতি ভারত সফরে এসেছিলেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বর্তমানে বাংলাদেশের মাথা ব্যথার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘July uprising anniversary’: স্বৈরাচার যেন আর মাথাচাড়া দিতে না পারে: প্রধান উপদেষ্টা

 

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

তিনি আরও বলেছিলেন, বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা সমাধানে ভারত একটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের থেকে অনেক বড় দেশ।তবুও ভারতে খুব কম সংখ্যক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। যেখানে বাংলাদেশে প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গা শরনার্থী ইস্যুতে বার বার আন্তর্জাতিক মহলের কাছে সাহায্যের আবেদন চেয়েও কোনো লাভ হয়নি। এখানে ভারত যদি একটু সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে, তাহলে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারেন।’

 

তবে এই প্রসঙ্গে মায়ানমারের দাবি, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশেরই নাগরিক। সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে সেদেশে বসবার করছিল রোহিঙ্গারা।

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রোহিঙ্গারা, উদ্বেগ প্রকাশ বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মায়ানমারে সেনাবাহিনীর অত্যাচারের মুখে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল। বর্তমানে এই রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার এই রোহিঙ্গাদের ফেরত না পাঠালে তাদের বিপদ আরও বাড়বে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার ইন্দো – প্যাসিফিক আমিজ় ম্যানেজমেন্ট সেমিনারে ভিডিয়ো কনফারেন্সের যোগ দিয়ে এমনটাই মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। এদিন তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে থাকায় তাদের পরিবেশগত এবং অর্থনৈতিক অনেক ক্ষতির শিকার হচ্ছে। একটা মানবিক জায়গা থেকে আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন তারা বাংলাদেশে অবাধ বিচরণ করছে। এর মাধ্যমে দেশের ব্যাপক নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। আমরা মায়ানমারকে আগেও অনুরোধ করেছি, এখনও করছি, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিন এমনটাই মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে স্টারলিংক চালু

সম্প্রতি ভারত সফরে এসেছিলেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বর্তমানে বাংলাদেশের মাথা ব্যথার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘July uprising anniversary’: স্বৈরাচার যেন আর মাথাচাড়া দিতে না পারে: প্রধান উপদেষ্টা

 

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

তিনি আরও বলেছিলেন, বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা সমাধানে ভারত একটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের থেকে অনেক বড় দেশ।তবুও ভারতে খুব কম সংখ্যক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। যেখানে বাংলাদেশে প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গা শরনার্থী ইস্যুতে বার বার আন্তর্জাতিক মহলের কাছে সাহায্যের আবেদন চেয়েও কোনো লাভ হয়নি। এখানে ভারত যদি একটু সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে, তাহলে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারেন।’

 

তবে এই প্রসঙ্গে মায়ানমারের দাবি, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশেরই নাগরিক। সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে সেদেশে বসবার করছিল রোহিঙ্গারা।