০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া ফের দিল্লিতে! লিভ ইন সঙ্গীকে কুপিয়ে খুন, গ্রেফতার অভিযুক্ত

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার
  • / 57

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া ফের দিল্লিতে। লিভ ইন পার্টনারের দেহ আফতাবের কায়দায় ছুরি দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করল প্রেমিক। দেহ টুকরো করার আগেই গ্রেফতার অভিযুক্ত।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান শ্রদ্ধা খুনের ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই এই পৈশাচিক কাণ্ড ঘটিয়েছে অভিযুক্ত।

আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ নেপাল, নেপালে বসবাসকারী ভারতীয়দের জন্য সতর্কবার্তা জারি

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম রেখা রানি। তার মৃতদেহ দিল্লির গণেশ নগরের বাড়ি থেকে ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। এই ভাড়া বাড়িতেই রেখা রানি তার ১৬ বছরের মেয়ের সঙ্গে থাকতেন। ঘটনায় পঞ্জাব থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রেখা রানির চোয়াল সহ তার দেহে ছুরির ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন: শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম মনপ্রীত। আগে থেকেই বিবাহিত ছিল সে। তার দুটি সন্তান রয়েছে। এর পর মনপ্রীত রেখা রানির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
২০১৫ সাল থেকে গণেশ নগরে রেখা রানির সঙ্গে থাকতে শুরু করে মনপ্রীত। কিছু বছর পরে মনপ্রীত মনে করতে থাকে, সে ক্রমশই রেখা রানির সঙ্গে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। এর পরেই মনপ্রীত রেখার সঙ্গ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য খুনের পরিকল্পনা করতে শুরু করে।

আরও পড়ুন: মিয়ানমারে প্রথম দফার ভোট ২৮ ডিসেম্বর , নজর রাখছে নয়াদিল্লি, চিন

১ ডিসেম্বর রাতে রেখা রানির নাবালিকা মেয়েকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয় মনপ্রীত। রেখা রানির মেয়ে ঘুমিয়ে পড়লেই সে রেখাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। দেহে টুকরো করার পরিকল্পনা ছিল। তাঁর পরিকল্পনা ছিল, আফতাবের মতোই প্রেমিকার দেহ টুকরো টুকরো করে প্রমাণ লোপাট করে দেবে। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্ত ধরা পড়ে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে সেই ছুরিটিকে লুকিয়ে রেখেছিল মনোপ্রীত। মনোপ্রীতের নামে একাধিক অপহরণ ও খুনের অভিযোগ রয়েছে।

রেখা রানির মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মনোপ্রীতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায়(খুন), ২০১ (অপরাধের প্রমাণ লোপাট) অধীনে মামলা নথিভুক্ত করেছে।

বর্তমান সময়ে শ্রদ্ধা-আফতাব কাণ্ডের ঘটনায় দেশের সর্বত্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনায় নারকোটিক্স পরীক্ষায় আবতাফ স্বীকার করেছে, সেই খুন করেছে শ্রদ্ধাকে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া ফের দিল্লিতে! লিভ ইন সঙ্গীকে কুপিয়ে খুন, গ্রেফতার অভিযুক্ত

আপডেট : ৩ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া ফের দিল্লিতে। লিভ ইন পার্টনারের দেহ আফতাবের কায়দায় ছুরি দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করল প্রেমিক। দেহ টুকরো করার আগেই গ্রেফতার অভিযুক্ত।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান শ্রদ্ধা খুনের ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই এই পৈশাচিক কাণ্ড ঘটিয়েছে অভিযুক্ত।

আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ নেপাল, নেপালে বসবাসকারী ভারতীয়দের জন্য সতর্কবার্তা জারি

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম রেখা রানি। তার মৃতদেহ দিল্লির গণেশ নগরের বাড়ি থেকে ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। এই ভাড়া বাড়িতেই রেখা রানি তার ১৬ বছরের মেয়ের সঙ্গে থাকতেন। ঘটনায় পঞ্জাব থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রেখা রানির চোয়াল সহ তার দেহে ছুরির ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন: শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম মনপ্রীত। আগে থেকেই বিবাহিত ছিল সে। তার দুটি সন্তান রয়েছে। এর পর মনপ্রীত রেখা রানির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
২০১৫ সাল থেকে গণেশ নগরে রেখা রানির সঙ্গে থাকতে শুরু করে মনপ্রীত। কিছু বছর পরে মনপ্রীত মনে করতে থাকে, সে ক্রমশই রেখা রানির সঙ্গে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। এর পরেই মনপ্রীত রেখার সঙ্গ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য খুনের পরিকল্পনা করতে শুরু করে।

আরও পড়ুন: মিয়ানমারে প্রথম দফার ভোট ২৮ ডিসেম্বর , নজর রাখছে নয়াদিল্লি, চিন

১ ডিসেম্বর রাতে রেখা রানির নাবালিকা মেয়েকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয় মনপ্রীত। রেখা রানির মেয়ে ঘুমিয়ে পড়লেই সে রেখাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। দেহে টুকরো করার পরিকল্পনা ছিল। তাঁর পরিকল্পনা ছিল, আফতাবের মতোই প্রেমিকার দেহ টুকরো টুকরো করে প্রমাণ লোপাট করে দেবে। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্ত ধরা পড়ে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে সেই ছুরিটিকে লুকিয়ে রেখেছিল মনোপ্রীত। মনোপ্রীতের নামে একাধিক অপহরণ ও খুনের অভিযোগ রয়েছে।

রেখা রানির মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মনোপ্রীতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায়(খুন), ২০১ (অপরাধের প্রমাণ লোপাট) অধীনে মামলা নথিভুক্ত করেছে।

বর্তমান সময়ে শ্রদ্ধা-আফতাব কাণ্ডের ঘটনায় দেশের সর্বত্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনায় নারকোটিক্স পরীক্ষায় আবতাফ স্বীকার করেছে, সেই খুন করেছে শ্রদ্ধাকে।