০৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইইউ-র মধ্যস্থতায় আমেরিকা-ইরান বৈঠক হবে কাতারে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৮ জুন ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 69

পূবের কলম ওয়েবডেস্কঃ আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে হাই-ভোল্টেজ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে কাতারে। দুই দেশের মধ্যে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি নিয়ে বিরোধিতা কমাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় হবে এ বৈঠক। ইরানের শীর্ষস্থানীয় নিরাপত্তা সংস্থা সূত্রে জানানো হয়, ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে বৈঠকটি কাতারে হতে পারে। ভিয়েনায় পরমাণু আলোচনা পুনরায় শুরু করতে সম্প্রতি ইরান সফর করেন ইইউ-এর বিদেশনীতি বিষয় প্রধান জোসেফ বোরেল।

 

আরও পড়ুন: গাজা যুদ্ধ, ইরান হামলা: ইসরাইলের পাশে ছিল ৬ আরব দেশ

জোসেফের কথায় পরমাণু আলোচনা চালিয়ে যেতে রাজি হয় ইরান। তারপরই ইরান ও আমেরিকার মধ্যে কাতারে বৈঠক সম্ভাবনার খবর মিলল। ইরানি বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠকের পর ইইউ প্রতিনিধি বোরেল ঘোষণা করেন, পরবর্তী ধাপের আলোচনা পারস্য উপসাগরীয় কোনও এক দেশে অনুষ্ঠিত হবে। এটি ভিয়েনার পরমাণু আলোচনা থেকে ভিন্ন হবে। বোরেল বলেন, আসন্ন বৈঠকটি ইইউ-এর মধ্যস্থতায় ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে হবে।

আরও পড়ুন: কাতারের সঙ্গে ২৪৩.৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি ঘোষণা ট্রাম্পের

 

আরও পড়ুন: রমযানে ৯০০ পণ্যের দাম কমল কাতারে

তবে এই বৈঠকের সফলতা নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন থাকছে। কারণ, ইরান ও আমেরিকার মধ্যে মতভেদের কারণ অনেক। ইরানের বিপ্লবী সেনাকে কালো তালিকাভুক্ত করা, ইরানি বিজ্ঞানী হত্যায় ইসরাইলকে মার্কিন মদদ ও ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে আমেরিকা। প্রসঙ্গত, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি গত মাসে তেহরান সফর করেছেন। সেখানে পরমাণু চুক্তির বিষয়সহ নানা বিষয়ে বৃহত্তর পরিসরে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। কাতারের নেতা বলেছিলেন, আমার দেশের ‘সবসময় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল’ ভিয়েনায় আলোচনা সম্পর্কে এবং চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আলোচনাই একমাত্র পথ। তবে কাতারেই বৈঠক আয়োজন হচ্ছে কিনা এ বিষয়ে ইরানের পক্ষ থেকে পাকাপাকিভাবে কিছু বলা হয়নি।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইইউ-র মধ্যস্থতায় আমেরিকা-ইরান বৈঠক হবে কাতারে

আপডেট : ২৮ জুন ২০২২, মঙ্গলবার

পূবের কলম ওয়েবডেস্কঃ আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে হাই-ভোল্টেজ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে কাতারে। দুই দেশের মধ্যে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি নিয়ে বিরোধিতা কমাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় হবে এ বৈঠক। ইরানের শীর্ষস্থানীয় নিরাপত্তা সংস্থা সূত্রে জানানো হয়, ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে বৈঠকটি কাতারে হতে পারে। ভিয়েনায় পরমাণু আলোচনা পুনরায় শুরু করতে সম্প্রতি ইরান সফর করেন ইইউ-এর বিদেশনীতি বিষয় প্রধান জোসেফ বোরেল।

 

আরও পড়ুন: গাজা যুদ্ধ, ইরান হামলা: ইসরাইলের পাশে ছিল ৬ আরব দেশ

জোসেফের কথায় পরমাণু আলোচনা চালিয়ে যেতে রাজি হয় ইরান। তারপরই ইরান ও আমেরিকার মধ্যে কাতারে বৈঠক সম্ভাবনার খবর মিলল। ইরানি বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠকের পর ইইউ প্রতিনিধি বোরেল ঘোষণা করেন, পরবর্তী ধাপের আলোচনা পারস্য উপসাগরীয় কোনও এক দেশে অনুষ্ঠিত হবে। এটি ভিয়েনার পরমাণু আলোচনা থেকে ভিন্ন হবে। বোরেল বলেন, আসন্ন বৈঠকটি ইইউ-এর মধ্যস্থতায় ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে হবে।

আরও পড়ুন: কাতারের সঙ্গে ২৪৩.৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি ঘোষণা ট্রাম্পের

 

আরও পড়ুন: রমযানে ৯০০ পণ্যের দাম কমল কাতারে

তবে এই বৈঠকের সফলতা নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন থাকছে। কারণ, ইরান ও আমেরিকার মধ্যে মতভেদের কারণ অনেক। ইরানের বিপ্লবী সেনাকে কালো তালিকাভুক্ত করা, ইরানি বিজ্ঞানী হত্যায় ইসরাইলকে মার্কিন মদদ ও ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে আমেরিকা। প্রসঙ্গত, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি গত মাসে তেহরান সফর করেছেন। সেখানে পরমাণু চুক্তির বিষয়সহ নানা বিষয়ে বৃহত্তর পরিসরে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। কাতারের নেতা বলেছিলেন, আমার দেশের ‘সবসময় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল’ ভিয়েনায় আলোচনা সম্পর্কে এবং চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আলোচনাই একমাত্র পথ। তবে কাতারেই বৈঠক আয়োজন হচ্ছে কিনা এ বিষয়ে ইরানের পক্ষ থেকে পাকাপাকিভাবে কিছু বলা হয়নি।