০৭ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এই বৈশাখে ব্যবসায়ীদের ভরসা প্লাস্টিকের লেবু-লঙ্কার চেন! নেপথ্যে কোন ঘটনা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার
  • / 80

প্রতীকী ছবি

পুবের কলম  ওয়েবডেস্ক : পাতি লেবু আর পাতি নেই। এখন অগ্নিমূল্যে বিকচ্ছে পাতি লেবু। দু’ই টাকা পিস বিক্রি হওয়া পাতি লেবুর এখন এক একটার দাম ৮/৯ টাকা । কোথাও কোথাও আবার ১০ টাকা প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগে থেকেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে, একের পর এক দ্রব্যর  মূল্যবৃদ্ধি  হয়ে চলেছে। আর ঠিক সমানভাবে অগ্নিমূল্যের কুনজর পড়েছে লেবুর ওপর। পয়লা  বৈশাখের এই মরশুমে নিত্যরকমের পূজা হয় নানান দোকানে। আর সেই খানেই ব্যবহৃত হয় লেবু লঙ্কার চেন। সাধারনত কুনজর থেকে রক্ষা করে এই চেন ,এমনটাই বিশ্বাস করেন ব্যবসায়ীরা।

 

আরও পড়ুন: প্লাস্টিক মুক্ত দিবস ও বাল্যবিবাহ রোধ বিষয়ক আলোচনা সভা হয়ে গেল বহড়ুতে

দোকানের গেটের সম্মুখ্যে এই লেবু লঙ্কার চেন লাগানো হয়। যেটার দাম খুব কম করে হলেও ১০ থেকে ১৫ টাকার মধ্যে। কিন্তু এখন এই সব কিছু অতীত। এখন এক একটা চেনের দাম অগ্নিছোঁয়া। এক একটা লেবুর দামি যদি ১০ টাকা হয়, তাহলে চেনের দাম কত হবে, সেটা কারোর বোঝার বাকি থাকে না। ২০ টাকার নীচে একটাও লেবু লঙ্কার চেন পাওয়া যাচ্ছে না। যেইখানে চারটে লেবু, চারটে লঙ্কা দিয়ে একটা চেনের দাম ছিল ১০ টাকা। তাই অনেক দোকানেই প্লাস্টিক, শোলার চেনেই কাজ চালাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তার দাম যেমন কম ঠিক তেমনই টেকসই। অগত্যা শোলার বা প্লাস্টিকের চেন এখন একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে।অনেক দোকানে আবার প্রতি সপ্তাহে একবার, দুইবার করে এই চেন পরিবর্তন করা হয়। যার জন্য আলাদা করে টাকা নিয়ে থাকেন পুরোহিত মশাই, কিন্তু এক্ষেত্রে প্লাস্টিকের বা শোলার চেন দীর্ঘদিন থাকে। তাই  কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন: আলিগড়ে মাংস ব্যবসায়ীর উপর আইটি অভিযান অব্যাহত

 

আরও পড়ুন: গরুর পেট থেকে উদ্ধার ৬৫ কেজির প্লাস্টিক, অবাক  চিকিৎসকরা 

হঠাৎ লেবুর , এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য চেন্নাইয়ের বন্যাকেই দায়ী করেছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ভেন্ডর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কমল দে। বন্যাতে লেবুর বাগানের অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। ফলে লেবুর আমদানি রফতানিতে সমস্যা হচ্ছে।  জানিয়েছেন, কলকাতার অধিকাংশ লেবু আসে চেন্নাই থেকে। তাই এত ভোগান্তির মুখে আম জনতা।

 

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এই বৈশাখে ব্যবসায়ীদের ভরসা প্লাস্টিকের লেবু-লঙ্কার চেন! নেপথ্যে কোন ঘটনা

আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম  ওয়েবডেস্ক : পাতি লেবু আর পাতি নেই। এখন অগ্নিমূল্যে বিকচ্ছে পাতি লেবু। দু’ই টাকা পিস বিক্রি হওয়া পাতি লেবুর এখন এক একটার দাম ৮/৯ টাকা । কোথাও কোথাও আবার ১০ টাকা প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগে থেকেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে, একের পর এক দ্রব্যর  মূল্যবৃদ্ধি  হয়ে চলেছে। আর ঠিক সমানভাবে অগ্নিমূল্যের কুনজর পড়েছে লেবুর ওপর। পয়লা  বৈশাখের এই মরশুমে নিত্যরকমের পূজা হয় নানান দোকানে। আর সেই খানেই ব্যবহৃত হয় লেবু লঙ্কার চেন। সাধারনত কুনজর থেকে রক্ষা করে এই চেন ,এমনটাই বিশ্বাস করেন ব্যবসায়ীরা।

 

আরও পড়ুন: প্লাস্টিক মুক্ত দিবস ও বাল্যবিবাহ রোধ বিষয়ক আলোচনা সভা হয়ে গেল বহড়ুতে

দোকানের গেটের সম্মুখ্যে এই লেবু লঙ্কার চেন লাগানো হয়। যেটার দাম খুব কম করে হলেও ১০ থেকে ১৫ টাকার মধ্যে। কিন্তু এখন এই সব কিছু অতীত। এখন এক একটা চেনের দাম অগ্নিছোঁয়া। এক একটা লেবুর দামি যদি ১০ টাকা হয়, তাহলে চেনের দাম কত হবে, সেটা কারোর বোঝার বাকি থাকে না। ২০ টাকার নীচে একটাও লেবু লঙ্কার চেন পাওয়া যাচ্ছে না। যেইখানে চারটে লেবু, চারটে লঙ্কা দিয়ে একটা চেনের দাম ছিল ১০ টাকা। তাই অনেক দোকানেই প্লাস্টিক, শোলার চেনেই কাজ চালাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তার দাম যেমন কম ঠিক তেমনই টেকসই। অগত্যা শোলার বা প্লাস্টিকের চেন এখন একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে।অনেক দোকানে আবার প্রতি সপ্তাহে একবার, দুইবার করে এই চেন পরিবর্তন করা হয়। যার জন্য আলাদা করে টাকা নিয়ে থাকেন পুরোহিত মশাই, কিন্তু এক্ষেত্রে প্লাস্টিকের বা শোলার চেন দীর্ঘদিন থাকে। তাই  কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন: আলিগড়ে মাংস ব্যবসায়ীর উপর আইটি অভিযান অব্যাহত

 

আরও পড়ুন: গরুর পেট থেকে উদ্ধার ৬৫ কেজির প্লাস্টিক, অবাক  চিকিৎসকরা 

হঠাৎ লেবুর , এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য চেন্নাইয়ের বন্যাকেই দায়ী করেছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ভেন্ডর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কমল দে। বন্যাতে লেবুর বাগানের অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। ফলে লেবুর আমদানি রফতানিতে সমস্যা হচ্ছে।  জানিয়েছেন, কলকাতার অধিকাংশ লেবু আসে চেন্নাই থেকে। তাই এত ভোগান্তির মুখে আম জনতা।