এটা অমিত শাহের রাজ্য নয়, যেখানে ধর্ষকদের সম্মান করা হয়, বললেন মেয়র

- আপডেট : ২০ জানুয়ারী ২০২৪, শনিবার
- / 13
পুবের কলম প্রতিবেদক: ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধন করা হবে। ওই দিনই রাজ্য জুড়ে সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তৃণমূলের এই সংহতি মিছিল নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। তৃণমূলের সংহতি মিছিল নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। আর সেই প্রশ্নেরই পাল্টা জবাব দিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
শনিবার পুরসভায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র বলেন, আমরা বাংলায় কেউ কারোর গায়ে হাত দিই না। এটা গুজরাট নয়, যে কেটে ফেল, মেরে ফেল, ধর্ষণ কর। তারপরে আবার ধর্ষকদের প্রণাম করে জেল থেকে ছাড়ো। এটা গুজরাট নয়। এটা বাংলা। বাংলায় আমরা দাঙ্গা করি না। যারা বাইরে থেকে চিন্তাধারা ঢোকাচ্ছে তারা দাঙ্গার কথা বলে। বাংলার সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ কখনও দাঙ্গার কথা বলেননি, সুভাষ চন্দ্র বোস কখনও দাঙ্গার কথা বলেননি, কাজি নজরুল ইসলাম বলেননি। এটা অমিত শাহের রাজ্য নয়, যেখানে ধর্ষকদের বলা হয় তারা বড় জাতি তারা এটা করতেই পারে। আমাদের রাজ্যে এসবের কোনও সম্ভাবনাই নেই। যে উস্কানি দিচ্ছে, সে উস্কানি দিচ্ছে কিন্তু, বাংলার মানুষ ওই উস্কানিতে পা দেবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা সংহতিতে বিশ্বাস করি, ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেন, ধর্ম তোমার, ধর্ম আমার উৎসব সবার। তিনি নিজে একজন সাত্ত্বিক ব্রাহ্মণ, সমস্ত পূজা করেন, শ্লোক পাঠ করেন। তারপরেও সব উৎসবে শামিল হন। মসজিদে যান, গীর্জায় যান, গুরুদ্বোয়ারে যান সব উৎসবে যান। ছট পূজায় যান। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সর্ব ধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাস করেন। তাই আমরা সংহতির পথে থাকি। বিচ্ছিন্নতার পথে থাকি না। ধ্বংসের পথে থাকি না। বিভাজনের পথে থাকি না।
মেয়র আরও বলেন, বিজেপি দু-চারজন দশজনকে অযোধ্যায় নিয়ে যেতে পারে কিন্তু বাংলার সংস্কৃতি হচ্ছে সম্প্রীতি। তাই বাংলার সংস্কৃতি রক্ষার জন্য এই সংহতি মিছিল। আর বিজেপি অপসংস্কৃতি করছে তাই একটা ধর্মকে ছোট করে আরেকটা ধর্মকে বড় করে দেখাচ্ছে। রাম ভক্তকে আমিও সম্মান করি। যদি সে সত্যিকারের ভক্ত হয়। যদি সে ভক্ত না হয়ে ভোগী হয়, তখনই তার সম্মান থাকে না। রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করা হচ্ছে। রামকে অবমাননা করা হচ্ছে।