নলহাটি: “এই ভোট আমরা নাগরিক থাকবো কিনা, তার ভোট। আমাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেবে বলছে। প্রধান মন্ত্রী আমাদের ঘুসপেটিয়া বলেছেন। কিন্তু আমি বলছি, মোদী, অমিত শাহর যতটা অধিকার এই দেশে, ততটা আমার, আপনার অধিকার। এই দেশে জন্মেছি, এই শিশুরা একদিন এই দেশের নাগরিক হবে। আমরা এই দেশের মাটিতেই মরবো। এই অধিকার আমাদের কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।” মঙ্গলবার নলহাটির বাঁধখোলা মোড়ের তৃণমূল কংগ্রেসের জনসভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিলেন জনাব ফিরহাদ হাকিম। উপস্থিত ছিলেন লাভপুর বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা, হাঁসন বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়, ডেপুটি স্পীকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফাইভ মেন কমিটির সদস্য আবু জাহের রাণা প্রমুখ।
এদিনের মঞ্চ থেকে প্রধান মন্ত্রীর বিভাজনের রাজনীতির চরম সমালোচনা করেন তিনি। ফিরহাদ বলেন, “দেশের প্রধান মন্ত্রী সবার প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তিনি কী বললেন, ইণ্ডিয়া জোট জিতলে দেশের সম্পদ মুসলিমদের দিয়ে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, তিনি কী বললেন, হিন্দু মা বোনেদের মঙ্গলসূত্র কেড়ে নিয়ে যাদের অধিক সন্তান অর্থাৎ মুসলিমদের দিয়ে দেওয়া হবে। এটা প্রধানমন্ত্রীর মুখের ভাষা? আমি বলি, ফিরহাদ হাকিমের যদি জীবন যায় যাক, কিন্তু হিন্দু মা বোনেদের মঙ্গল সূত্রর ইজ্জত রক্ষা করার অধিকার মোদীরা কেড়ে নিতে পারবে না। বাংলা সবার। রবীন্দ্রনাথ নজরুলের বাংলাকে বিভাজিত করা যাবে না।
এদিন ফিরহাদ বলেন, সন্দেশখালি নিয়ে উত্তম বারিক বা শিবু হাজরার নাম একবারও বলা হচ্ছে না। শুধু শাজাহানের নাম বলা হচ্ছে। কারণ সে মুসলিম। এই বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি। কিন্তু আমি না। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বলছেন, বিজেপি টাকা দিয়ে মেয়েদের দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করিয়েছে। তারা না জেনেই সই করেছে। সারা দেশে মিথ্যাচার করে বাংলার অপমান করলো বিজেপি। মোদী সন্দেশখালি নিয়ে চোখের জল ফেলছেন। আমি বলি, কুমিরের কান্না। মোদী বাবু! আপনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তখন ডবল ইঞ্জিন সরকার। গুজরাটের বিলকিস বানোকে এগারো জন ধর্ষণ করলো। ধর্ষকদের খালাস করে আপনারা বের করে আনলেন। তখন চোখের জল পড়ে নি আপনার। হাতরসে আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারা হলো। তখন আপনার চোখে জল পড়েনি কেন? সিউড়ীতে উত্তর প্রদেশের যোগী মুখ্যমন্ত্রী এসে সভা করলেন। আমি তাকে বলি, আমরা এখানে মজাফ্ফর নগর হতে দেব না। বাংলায় যতদিন মমতা আছেন, ততদিন আমরা সুরক্ষিত। একশো দিনের কাজের টাকার দাবিতে আমরা দিল্লিতে ধর্ণায় বসেছিলাম। রাণা ছিল। আমার শরীর খারাপ হলো। পুলিশ জোর আমাদের করে তুলে দিল। তখন তো কাছেই কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী ছিলেন। তিনি তো কই আপনাদের টাকা আদায়ের দাবিতে এলেন না? এই কংগ্রেসের মিল্টন রসিদকে যদি একটাও ভোট দেন বা আপনারা সবাই ভোট দেন, মিল্টন জিততে পারবে? কোনদিন পারবে না। কিন্তু সেটা হবে আপনার বাচ্চাদের ভবিষ্যতের পাছায় লাথ মারার সমান।