১০ মে ২০২৫, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রয়াগরাজ খুনে সিবিআই দাবি তৃণমূলের, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে শ্বেতপত্র দিলেন দোলা সেনরা

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার
  • / 35

পুবের কলম ওয়েডেস্ক : প্রয়াগরাজের হাড়হিম করা ঘটনা হতভম্ব করেছে গোটা দেশকে। একই পরিবারের পাঁচ জনকে খুন করে, বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার বর্বরতা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য কোনও গণতান্ত্রিক দেশে যে  এমন ঘটনা ঘটতে পারে তা তাদের কল্পনার অতীত।শুক্রবার পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের একই পরিবারের পাঁচজন খুনের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন।

শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির তিন সদস্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেন। এই তিন সদস্যের দলে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, তৃণমূল নেতা ললিতেশ ত্রিপাঠী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র তথা আরটিআই কর্মী সাকেত গোখলে ।দুপুর ১২টায় তাঁদের দেখা করার জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল। সেখানে গিয়ে দুর্গত পরিবারের অবস্থা মানবাধিকার কমিশনের কাছে বর্ণনা করেন তৃণমূলের এই প্রতিনিধিরা । তৃণমূলের দাবি, এই মামলাটি অবিলম্বে সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করা হয়।

আরও পড়ুন: অশান্ত মণিপুরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল,  রয়েছেন ডেরেক, দোলা সেন, কাকলি, কল্যাণ

প্রয়াগরাজ জেলার কেবরাজপুর গ্রামে একই পরিবারের মহিলা, শিশুসহ পাঁচ সদস্যকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল।উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, সম্ভবত লোহার রড জাতীয় ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে মারধর করা হয় মৃতদের। ফরেনসিক টিম, ডগ স্কোয়াডও ঘটনাস্থলে আসে। কিন্ত কী কারণে এই ঘটনা তা এখনও পরিষ্কার করতে পারেনি যোগীর পুলিশ। তৃণমূলের দাবি, পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য সুনীল যাদবের সঙ্গে কথা বলে তারা জানতে পারে যে তাঁর স্ত্রী ও বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। পাশাপাশি আরও অভিযোগ, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির নামে অভিযোগ নিতে চাইছে না পুলিশ। এই আবহে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির।

আরও পড়ুন: এবার ধরনায় বসছেন ১২ জন সাসপেন্ডেড সাংসদ

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে উত্তরপ্রদেশের ইলাহাবাদে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম । এই টিমের তরফ থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে একটি শ্বেতপত্র জমা দেওয়া হয় । এই শ্বেতপত্র জমা দেওয়ার পর দোলা সেন জানিয়েছেন, ‘প্রয়াগরাজ(ইলাহাবাদ) থেকে আমরা যে তথ্য সংগ্রহ করেছি, সেটাই মানবাধিকার কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছি । যে কোনও ঘটনা ঘটলেই পশ্চিমবঙ্গে টিম পাঠায় মানবাধিকার কমিশন । এ ক্ষেত্রে আমরা দেখতে চাই কমিশন শেষ পর্যন্ত কী ব্যবস্থা নেয় ।‘

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রয়াগরাজ খুনে সিবিআই দাবি তৃণমূলের, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে শ্বেতপত্র দিলেন দোলা সেনরা

আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েডেস্ক : প্রয়াগরাজের হাড়হিম করা ঘটনা হতভম্ব করেছে গোটা দেশকে। একই পরিবারের পাঁচ জনকে খুন করে, বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার বর্বরতা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য কোনও গণতান্ত্রিক দেশে যে  এমন ঘটনা ঘটতে পারে তা তাদের কল্পনার অতীত।শুক্রবার পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের একই পরিবারের পাঁচজন খুনের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন।

শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির তিন সদস্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেন। এই তিন সদস্যের দলে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, তৃণমূল নেতা ললিতেশ ত্রিপাঠী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র তথা আরটিআই কর্মী সাকেত গোখলে ।দুপুর ১২টায় তাঁদের দেখা করার জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল। সেখানে গিয়ে দুর্গত পরিবারের অবস্থা মানবাধিকার কমিশনের কাছে বর্ণনা করেন তৃণমূলের এই প্রতিনিধিরা । তৃণমূলের দাবি, এই মামলাটি অবিলম্বে সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করা হয়।

আরও পড়ুন: অশান্ত মণিপুরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল,  রয়েছেন ডেরেক, দোলা সেন, কাকলি, কল্যাণ

প্রয়াগরাজ জেলার কেবরাজপুর গ্রামে একই পরিবারের মহিলা, শিশুসহ পাঁচ সদস্যকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল।উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, সম্ভবত লোহার রড জাতীয় ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে মারধর করা হয় মৃতদের। ফরেনসিক টিম, ডগ স্কোয়াডও ঘটনাস্থলে আসে। কিন্ত কী কারণে এই ঘটনা তা এখনও পরিষ্কার করতে পারেনি যোগীর পুলিশ। তৃণমূলের দাবি, পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য সুনীল যাদবের সঙ্গে কথা বলে তারা জানতে পারে যে তাঁর স্ত্রী ও বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। পাশাপাশি আরও অভিযোগ, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির নামে অভিযোগ নিতে চাইছে না পুলিশ। এই আবহে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির।

আরও পড়ুন: এবার ধরনায় বসছেন ১২ জন সাসপেন্ডেড সাংসদ

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে উত্তরপ্রদেশের ইলাহাবাদে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম । এই টিমের তরফ থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে একটি শ্বেতপত্র জমা দেওয়া হয় । এই শ্বেতপত্র জমা দেওয়ার পর দোলা সেন জানিয়েছেন, ‘প্রয়াগরাজ(ইলাহাবাদ) থেকে আমরা যে তথ্য সংগ্রহ করেছি, সেটাই মানবাধিকার কমিশনের হাতে তুলে দিয়েছি । যে কোনও ঘটনা ঘটলেই পশ্চিমবঙ্গে টিম পাঠায় মানবাধিকার কমিশন । এ ক্ষেত্রে আমরা দেখতে চাই কমিশন শেষ পর্যন্ত কী ব্যবস্থা নেয় ।‘