পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: এবার লোকসভা ভোটের আগে গেরুয়া শিবির যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে হাতিয়ার করবে তা বোঝা গিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির ভোপালের ভাষণে। আসন্ন বাদল অধিবেশনেও কেন্দ্র সংসদে পেশ করতে পারে ইউসিসি বিল। বেশিরভাগ বিরোধী দলই বলপূর্বক অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে আসার বিরোধিতা করেছে। তারা এই ইস্যুতে বিজেপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছে।
দেশের অন্যতম বৃহত্তম ইসলামি সংগঠন জামায়াতে ইসলামি হিন্দ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে সংগঠনের পক্ষে দেশবাসীকে সতর্ক করে বলা হয়েছে যে এই উদ্যোগ দেশের ঐক্য ও সংহতির জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। জামায়াতের তরফে অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়েছে দেশের আইন কমিশন যেন অভিন্ন দেওয়ানি ইস্যুতে তার আগের অবস্থানেই অনড় থাকে। এক্ষত্রে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত আইন সংশোধনের কোনও প্রয়োজন আছে বলে জামায়াত মনে করে না। ইউসিসির সমর্থকদের যুক্তি, অভিন্ন বিধি নাকি লিঙ্গ সমতাকে উন্নীত করবে। তবে জামায়াতের বক্তব্য, এই ইউসিসি দেশের ‘বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য’-এর ধারণাকে দুর্বল করতে পারে।
জামায়াতে ইসলামী হিন্দের আশঙ্কা, এই ইউসিসি কার্যকর হলে দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় ব্যাপক সমস্যায় পড়বে। তাদের দাবি, এর ফলে নতুন করে মেরুকরণ হতে পারে । দশের ঐক্য যাতে বিপন্ন হতে পারে এমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক হবে না বলেও জামায়াত মনে করে।
এর টাইমিং নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে জামায়াত। কেন এত তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য কি? এমন জটিল ও সংবেদনশীল ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে হলে তা সার্বিক ও গভীরভাবে করতে হবে। আর তা না হলে এমন তাড়াহুড়ো দেশের জন্য ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে । জামায়াত ২১ তম আইন কমশিনের প্রস্তবনার কথা উল্লেখ করে বলেছে, ২০১৬ -১৮ তে আইনকমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল ভারতের মত বৈচিত্রপূর্ণ দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে আসার চেষ্টা অবাঞ্ছিত এবং অপ্রয়োজনীয়। জামায়াত মনে করে ইউসিসির প্রস্তাবে অনেক অস্পষ্টতা রয়েছে।